১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে - ক্যামেরার জন্য সেরা তিনটি ফোন

অনেকেই তার বাজেটের মধ্যে ভালো ক্যামেরার একটি ফোন নিতে চান। কারণ বর্তমানে যে ফোনের ক্যামেরা ভালো নয় সে ফোনের ব্যবহারও ভালো নয়। অর্থাৎ সে ফোন খুব কম ব্যবহার হয়। বর্তমানে ফোনগুলোর ভালো এবং খারাপ দিক গুলো নির্দেশ করা হয় ক্যামেরার মাধ্যমে। আমরা আমাদের নিজেদের বাজেটের মধ্যে ভালো ক্যামেরা একটি ফোন পেতে চাই। 

বাজারে তো অনেক ধরনের ফোন রয়েছে । সব ধরনের ফোনের ক্যামেরা ভাল হয় না। তাই অনেকে এনে দ্বিধায় ভোগেন। যে তাদের কোন ফোনটি কেনা বেশি ভালো। যেটা ক্যামেরার পাশাপাশি অনেক ভালো কাজ করবে। শুধু ক্যামেরা নয় এর ডিসপ্লে এবং  গেমিং কেমন হয়। সব ফোনের ক্যামেরা থাকার পাশাপাশি কিন্তু ভালো ডিসপ্লে থাকে না। আবার এরকম অনেক ফোন রয়েছে যেগুলো ভালো ডিসপ্লে রয়েছে এবং ক্যামেরাও রয়েছে কিন্তু গেমিং এর জন্য ফোনটি ভালো নয়। 

ভূমিকা

বাজারে অনেক ফোন রয়েছে যেগুলোতে ভালো গেমিং করা যায় কিন্তু অন্যান্য সুবিধা থাকে না। কিন্তু কোন ফোন গুলোতে কোন কোন সুবিধা থাকে সেটি অনেকে জানেন না। তা এটি জানতে হবে এবং এই তিনটি সুবিধা কোন কোন ফোনে রয়েছে এগুলো জানতে হবে। তাহলে ফোন কেনার সময় আপনাকে কোন ধরনের দ্বিধায় ভুগতে হবে না। তাহলে এগুলোর জন্য কোন ফোনটি ভালো হবে এটি জানতে হলে, এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে । 

তাহলে চলুন দেখে নেই কোন ফোন গুলোতে ভালো ক্যামেরা যেগুলো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। এই পর্বে আমরা আপনাদের সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করবো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে ভাল ক্যামেরা তিনটি ফোন সম্পর্কে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ক্যামেরার জন্য সেরা তিনটি ফোনঃ

Tecno sprak 10 pro

৪/১২৮ GB , এর দাম ১৫৬৯০ টাকা। এর ফোনের ক্যামেরাটি ৫০ মেগাপিক্সেল এরপরে দুই মেগাপিক্সেল এর গেম সেন্সরও রয়েছে। এই ফোনটি ক্যামেরার পাশাপাশি গেম খেলার জন্যও অনেক ভাল হবে এবং অন্যান্য ব্যাটারি তুলনায় এই ফোনের ব্যাটারিও অনেক ভালো। এর ফোনের সেলফি ক্যামেরাটা ও অন্যান্য ফোনের তুলনায় অনেক ভালো। 

আবার এই ফোনে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জ এর সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। আপনারা যদি ১৫ হাজার টাকার মধ্যে কোন ফোন নিতে চান তাহলে এই ফোনটি নিতে পারেন। এর দাম অনুযায়ী ফোনটি যথেষ্ট ভালো। আপনারা এটি কে ব্যবহার করে করতে পারেন। বর্তমানে অন্যান্য ফোনের পাশাপাশি এই ফোনটিও দামের জন্য অনেকেই ব্যবহার করছেন।

Moto g 31

এই ফোনটি কিছুদিন আগেই লঞ্চ করা হয়েছে।। আগে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে পাওয়া যেত তবে কিছুদিনের মধ্যে এর দাম অনেক বেড়ে গেছে। দাম বাড়ারপাশাপাশি এর ব্যবহারও বেড়েছে। এই ফোনটি যদি আপনারা কিনতে চান তাহলে, ২০হাজার টাকার মতো লেগে যেতে পারে। এই ফোনে যে মেইন ক্যামেরা অর্থাৎ পেছনদিকের ক্যামেরা ৫০ মেগা পিক্সেলের। 

এর ফোনের ডিসপ্লেটা ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে হবে। এর ব্যাটারি টি টেন ওয়ার্ড এর চার্জিং সিস্টেমের হয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে তারা এই ফোনটি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি আপনাদের  বাজেটের মধ্যে ভালো একটি ফোন । দিনে এবং রাতে এই ফোনটির ক্যামেরা ন্যাচারাল টোয়েন্টি ধরে রাখতে পারবে। তাই আপনার বাজেটের মধ্যে এটি অনেক ভালো ফোন হবে। ফোনটিতে রয়েছে পাঁচ হাজার mah ব্যাটারি। তাইএই ফোনে একবার চার্জ দিলে ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত চালানো যাবে।

Realme c53

এই ফোনের মেইন ক্যামেরা ৫০ মেগাপিক্সেলের। এছাড়াও তো ৩৩ ওয়ার্ডের ফার্স্ট চার্জিং রয়েছে। এই ফোনটি বের হওয়ার অনেকদিন হয়নি তবুও এটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এটি জনপ্রিয়তা লাভ করার কারণে মূলত এর ভালো ক্যামেরা, গেমিং এবং ডিসপ্লের জন্য। তাই আপনারা যদি ভালো মানের ক্যামেরার ফোন খুজে থাকেন তাহলে এই ফোনটি ব্যবহার করতে পারেন। 

ফোনের ডিসপ্লের কালারটা যথেষ্ট ব্রাইট। এই ফোনের মেইন ক্যামেরা ভাল হওয়ার পাশাপাশি এর সেলফি ক্যামেরাটা অনেক ভালো হবে। জুম ক্যামেরার জন্য কিন্তু অনেক ভালো হবে। অনেক ফোনে আছে জুম করলে ছবিটা আরো ঝাপসা হয়েছে থাকে তবে। এই ফোন দিয়ে জুম করেও অনেক ভালো ছবি তুলতে পারবেন। তাই ক্যামেরার দিক দিয়ে এ ফোনটি কিন্তু অনেক ভালো হবে।

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার অফিশিয়াল ফোনঃ

অফিসিয়াল ফোন মানে হলো যে আইনত দেশে প্রবেশ করেছে এবং কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনে ভ্যাট এবং অন্যান্য কর প্রদান করেছে। আমাদের দেশে থেকে অনেক সময় বেআইনি ভাবে ফোন আমদানি করা হয়। তাই অনেকে অফিশিয়াল ফোন কিনতে চান।এ মুহূর্তে যাদের বাজেট ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে কিন্তু তারা ভালো মানের একটি ফোন নিতে চান। 

অর্থাৎ অফিসিয়াল ফোন নিতে চান তাদের জন্য এই পোস্ট। কোন ফোনটি আমাদের জন্য ভালো হবে এই নিয়ে আমরা অনেক দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যাই। তাই এর দ্বিধাদ্বন্দ দূর করতে হলে প্রথমে আমাদের ফোন সম্পর্কে জানতে হবে। অর্থাৎ কোন কোন গুলো আমাদের জন্য বেশি ভালো হবে। তাই ফোন কেনার আগে সেই ফোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। জিনিসের মধ্যে ফোন  অন্যতম।

 তাই যেই ফোন নেন না কেন ভালো মানের একটি ফোন নিবেন। তাহলে চলুন জেনে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে অফিশিয়াল ফোন কোনগুলো এবং কোন গুলো সব থেকে ভালো।

Redmi 13c

এই ফোনের ডিসপ্লে ভালো মানের পাবেন। এর পাশাপাশি ভালো মানের ক্যামেরাও রয়েছে। এস আই মেইন ক্যামেরাটি থাকবে ব্যাক সাইডে। ক্যামেরা ৫০ মেগাপিক্সেলের। আর একটি মাইক্রো লেন্সও রয়েছে। যেটি ফোনের ক্যামেরাকে আর আকর্ষণীয় করে তুলে। এর পাশাপাশি এই ফোনে ৬.৪৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে রয়েছে। আর এই ডিসপ্লের ব্রাইটনেসটাও অনেক ভালো। 

এই ফোন একটি অক টাকার প্রসেসর যেটি ২.০ গিগা হার্ট পর্যন্ত ক্লক্স স্পিডে কাজ করবে। এই ফোনটি গত বছরে লঞ্চ করা হয়েছে। গত বছরের লঞ্চ করা হলো এটি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে ফেলেছে। আবার এতে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জের সুবিধাও রয়েছে। 

ফটোগ্রাফির জন্য আপনারা যদি কোন কম দামের মধ্যে অর্থাৎ আপনার বাজেটের মধ্যে খুঁজছেন তাহলে এই ফোনটি তার জন্য অনেক ভালো হবে। আপনারা যদি এটিকে বাংলাদেশ থেকে কিনতে চান তাহলে ১৪,৯০০টাকা পড়বে।

Realme Narzo 50

সব ধরনের ফোনে গেমিং এর সুবিধা থাকেনা। আপনারা যদি গেমিংয়ের জন্য কোন ফোন খুজে থাকেন তাহলে এই ফোনটি অনেক ভালো হবে। কারণ কি এটি গেমিং এর জন্য অনেক ভালো একটি ফোন। আর অফিসিয়ালি 4/64  ভেরিয়েন্ট এর প্রাইস ১৫৪০০ টাকা। আর যদি অফিসিয়ালি নিতে চান তাহলে ১৭৯০০ টাকা পড়বে। এ টাকার মধ্যেই আপনি একটা ভালো ডিসপ্লে ফোন পেয়ে যাবেন গেমিং এর পাশাপাশি। 

তাই ডিসপ্লের জন্য কিন্তু এই ফোনটি অনেক ভালো হবে। এছাড়া এখানে দেওয়া হয়েছে  Midia Tek hellio G96, গেমিং প্রসেসর। এই মুহূর্তে গেমিং এর জন্য এত ভালো ফোন পাওয়াটা সত্যি মুশকিল। তাই এটি কিন্তু গেমিং এর জন্য অনেক ভালো একটি ফোন হবে। এটি শুধু গেমিং এর জন্য নয় ক্যামেরার জন্য কিন্তু অনেক ভালো একটি ফোন। এর ফোনে থাকছে ৫০ মেগাপিক্স জেলার ক্যামেরা। 

তাই ভালো ক্যামেরার পাশাপাশি গেমিং এর জন্য এই ফোনটি অনেক ভালো হবে। আর এই ফোনটি আন অফিসিয়ালি নেওয়ার থেকে অফিশিয়ালি নেওয়াটাই ভালো কারণ, ১৫০০০ টাকার ফোনের থেকে ১৮০০০ টাকার ফোনে অনেক ভালো ভালো সুবিধা রয়েছে। যেটি অন্যান্য ফোনে পাওয়া যায় না।

Infinix Hot 20s

ফিলিপিনে এ ফোনটি লঞ্চ করা হয়েছে এ ফোনটিr 8 অথবা ১২৮ জিবি ভেরিয়েন্ট এর জন্য ১৮ হাজার টাকা পড়বে। অর্থাৎ বাংলাদেশে এ ফোনের দাম ১৮০০০ টাকা। আর এই ফোনটি আপনার অফিসিয়ালি পেয়ে যাবেন। এই ডিসপ্লে ৬.৮ ইঞ্চি। একই সঙ্গে গেমিংয়ের জন্য এই ফোনটি অনেক ভালো হবে। এই ফোনের  Midia Tek hellio G96। 

তাই এই প্রসেসরের সাহায্যে আপনি খুব সহজে গেমিং করতে পারবেন। এই ফোনের মেন তিনটা লেয়ারের ক্যামেরা রয়েছে যেগুলো ৫০ মেগাপিক্সেল। আর সেলফি ক্যামেরার জন্য ৮ মেগাপিক্সেল দেওয়া রয়েছে। তাই ভালো ক্যামেরার জন্য এই ফোনটি অনেক এগিয়ে রয়েছে। এছাড়াও এর ফোনে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ব্যবস্থা রয়েছে। 

এছাড়া এ ফোনের ডিজাইন টা অনেক সুন্দর। যে কারণে এ ফোনটি ভালো লেগে যাবে। শুধু ফোনটি ডিজাইন নয় এর ডিসপ্লেটার জন্য কিন্তু ফোনটি আপনার অনেক ভালো লাগবে। কারণ কম বাজেটের মধ্যে ভালো ডিসপ্লে ফোন পাওয়া যায় না। এছাড়াও অন্যান্য ফোনের তুলনায় এই ফোন হালকা হবে। এইসব দিক দিয়ে অফিসিয়ালি ফোনটি কিন্তু অনেক ভালো। এটি আপনার বাজেটের মধ্যে সবচেয়ে সেরা ফোন হবে।

 Realme 9

স্মার্টফোনটা ২০ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পাওয়া যাবে। বর্তমানে এই ফোনটি সকলের কাছে জনপ্রিয় একটি ফোন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি খুব বেশিদিন হয়নি বাজারে এসেছে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই এই ফোনের সব সুবিধা গুলো মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে। তাই কম সময়ের মধ্যে এটি অনেক সেল হয়েছে। আর এই ভালো ফোনটি আপনি খুব কম দামের মধ্যে অর্থাৎ বিশ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। 

যারা খুবই কমপেক্ট একটি ফোন পছন্দ করেন তাহলে তাদের জন্য এটি অনেক ভালো হবে। আর এটার ১৭৮ গ্রাম ওজন। যার ফলে ফোনটা সাইজও ছোট এবং অনেক ভালো একটি ফোন। আপনি কিন্তু এই বাজেটের মধ্যে অন্য ফোনে, এ ফোনের মত সুবিধা গুলো পাবেন না। যেমন ভালো  ডিসপ্লে, ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সিস্টেম রয়েছে যেগুলো অন্যান্য সব ধরনের ফোনে পাওয়া যায় না এ বাজেটের মধ্যে। আপনি যদি কম্পাস এর মধ্যে অফিসিয়াল ভালো ফোন নিতে চাচ্ছেন তাহলে এই ফোনটি আপনি নিতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এবং জানতে পেরেছেন ১৫ থেকে বিশ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ক্যামেরা ফোন কোনগুলো। আশা করছি এখন পনের থেকে বিশ হাজার টাকার মধ্যে মোবাইল কিনতে আপনারা আর কোন সমস্যা হবেনা। আপনি যদি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে ফোন কিনতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ে তারপর মোবাইল কিনবেন।