দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়

আসসালামু আলাইকুম, আমাদের পুরো শরীরের মধ্যে দাঁত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। দাঁত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হওয়ায় আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।

চলুন দেরি না করে আমরা জেনে নি ই দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। কেননা আপনাদের সকলেরই উচিত দাঁতের অধিকতর যত্ন নেওয়া।

দাঁত তোলার কতখন পর টুথপেস্ট ব্যবহার করা যায়

আমরা অনেকেই আছি যারা দাঁত তোলার কতক্ষণ পর টুথপেস্ট ব্যবহার করা যায় তা সঠিকভাবে জানি না। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, কেননা আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দাঁত তোলার কতক্ষণ পর টুথপেস্ট ব্যবহার করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কিন্তু চলুন তার আগে জেনে নেই দাঁত তোলার পর কিছু করণীয় সম্পর্কে। নিম্নে দাঁত তোলার পর করণীয় গুলো দেওয়া হলোঃ

আরো পড়ুনঃপ্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের যন্ত্রণা দূর করুন

  • দাঁত তোলার পর ডাক্তার দাঁতের ফাঁকা স্থানে তুলো বা গজ ঢুকিয়ে দেয়। সেই তুলো বা গজ দাঁত তোলার একঘন্টা পরে হাত দিয়ে তুলে ফেলে দিতে হবে।
  • গজ বের করার পর ঘন ঘন থুতু ফেলা যাবে না।
  • গজ বা তুলো বের করার পর ঠান্ডা আইসক্রিম খেতে হবে।
  • দাঁত তোলার পর কোন ধরনের গরম জিনিস খাওয়া যাবেনা।
  • দাঁত তোলার ফাঁকা স্থানে হাতের আঙ্গুল দেওয়া যাবে না।
  • স্ট্র দিয়ে কোন ধরনের লিকুইড জিনিস পান করা যাবে না।
  • অতিরিক্ত শক্ত জিনিস খাওয়া যাবেনা।
  • দাঁত তোলার পর সুজি, জাউ ভাত, নরম খিচুড়ি, ছাতু ইত্যাদি নরম খাবার খেতে হবে।
  • দাঁত তোলার ২৪ ঘন্টা পর পানির ভেতরে এক চা চামচ নুন নিয়ে হালকা কুসুম গরম করে কুলকুচি করতে হবে।
  • ডাক্তারের লেখা এন্টিবায়োটিক এবং পেইন কিলার ঔষধ ঠিক সময় সেবন করতে হবে।

দাঁত তোলার পর উপরোক্ত নিয়ম গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। আপনার অনেকে আছেন যারা প্রশ্ন করে থাকেন দাঁত তোলার কতক্ষণ পর টুথপেস্ট ব্যবহার করা যায়। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা দাঁত যেদিন থেকে তুলবেন সেদিন থেকেই টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করতে পারবেন। 

তবে মনে রাখতে হবে ব্রাশের কাঠিগুলো যেন দাঁত তোলা স্থানে না লাগে। এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। এবং ডাক্তাররাও দাঁত তোলার পর টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করার পরামর্শ দেয়। দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

দাঁত তোলার পর কতটুকু রক্তপাত স্বাভাবিক

একটি দাঁত অপারেশনের সময় মাড়ি টিস্যু পেরিওস্টিয়াম অধিক আহত হয় আবার কিছু কিছু সময় অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তার হাড়ের টিস্যুকে ক্ষতি করতে বাধ্য হয়। কেননা দাঁত তোলার পর মাড়িতে রক্ত আসা বিষয়টি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। রক্ত বের হলে আপনাকে মূলত ভয় পাওয়া যাবে না কারণ রক্তগুলো টিস্যুর ড্যামেজের কারণে বের হয়। দাঁত তোলার পর মাড়ির রক্তপাত করার জন্য ডাক্তার একটি গজ বা তোলা দাঁতের তলে দিয়ে চিবিয়ে রাখতে বলে। চিবিয়ে রাখলে মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এই গজ বা তুলো দাঁতের তলে দিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত রাখতে হয়।

এরপর আর রক্তপাত হয় না বললেই চলে। আবার কিছু কিছু সময় অর্থাৎ অপারেশনটি যদি অনেক বড় হয় যেমন দাঁতের শিকড়, একটি ধ্বংস মুকুট, সিস্ট এবং প্রদাহজনক কারণগুলোর যখন ডাক্তারকে সম্মুখীন হতে হয় তখন অধিক পরিমাণে মাড়ি থেকে রক্ত ক্ষরণ হয়। আবার অপারেশনের পরেও রক্ত অধিক সময় পর্যন্ত বের হতে থাকে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা ডাক্তার রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ওষুধ দিয়ে দেয়। এবার আপনাদের জানাবো রক্তপাত যদি বন্ধ না হয় তাহলে কি করবেন। নিম্নে তা দেওয়া হলোঃ

দাঁত তোলার পর ডাক্তার যদি রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আবার রক্ত বন্ধ করার পরেও যদি ডেন্টিসের কেবিনে রক্ত বের হয় তাহলে ডাক্তার নিজেই রক্ত বন্ধ করার ওষুধ দিয়ে দিবে। তবে যদি ডাক্তারের কাছে থেকে আসার পর বাড়িতে রক্তক্ষরণ হওয়া শুরু হয় তাহলে আপনি তাৎক্ষণাৎ একটি গজ বা তুলা নিয়ে যেখান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে সেখানে গুঁজে দিয়ে দাঁত দিয়ে চিবিয়ে ধরে থাকতে হবে। এমন করে চিবিয়ে ধরে থাকতে হবে যেন আপনি বুঝতে পারেন দাঁত তোলার থাকা জায়গাটি সম্পূর্ণ গজ দিয়ে পূর্ণ হয়েছে।

এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট গজ ঢুকিয়ে চিবিয়ে ধরে থাকুন। এর মাধ্যমে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তবুও যদি রক্ত পড়া বন্ধ না হয় তাহলে সাথে সাথে আবার ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে। এতে অবহেলা করলে চলবে না। পরবর্তীতে অনেক বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে। আপনারা অনেকেই আছেন যারা দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানেন না। তাই দাঁতের ক্ষয় রোধ করা ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় কেন

দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ের কারণ গুলো নিম্নলিখিত হতে পারে :
  • অতিরিক্ত মিষ্টান্ন খাওয়া জন্য : ধাতু শক্তিশালী মিশ্রণযুক্ত খাবার গুলো ( যেমন , মিষ্ঠি , সোডা , স্পোর্টস ড্রিংক , কাঁচামচি সিঙ্কার , স্টেভিয়া ইত্যাদি ) দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ের জন্য কারণ হতে পারে ।
  • কিছু রোগ জনিত কারণ : কিছু রোগে ( যেমন , অসিড রিফ্লাক্স , বুলিমিয়া , ক্রোমিসম , অনিশ্চয়তা , ওয়েজার সিনড্রোম ) জন্য দাঁতের মাড়ির ক্ষয় হতে পারে ।
  • মৌসুমের আবশ্যকতা জনিত লক্ষণ : উচ্চ অম্লতা বা খাবারের পরিমাণ প্রয়োগে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হতে পারে ।
  • মানসিক অবস্থা উপর ভিত্তি করে : কিছু মানসিক সমস্যার ফলে সাধারণ ভাবে অতিরিক্ত মিষ্ঠাণ্ন খাবার গুলো খাওয়ার প্রভাবে হতে পারে , যা দাঁতের মাড়ি ক্ষয় করতে সাহায্য করে থাকে ।
  • ব্রাকেট এবং তালমেট ব্রেসেস জনিত সমস্যা : দাঁতের পোর্টিয়ান সম্পাদন করার কারণে ব্রাকেট বা তালমেট ব্রেসেস পর্যাপ্ত পরিমাণে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় করতে সাহায্য করে থাকে ।

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধের উপায়

  • দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ের উপায়ের জন্য নিম্নলিখিত কিছু সাধারণত উপায় রয়েছে:
  • অতিরিক্ত মিষ্টান্ন থেকে বিরত থাকুন । বিশেষ ভাবে মিষ্ঠি , সোডা , স্পোর্টস ড্রিংক , কাঁচামচি সিঙ্কার , স্টেভিয়া এই ধরনের খাবার এবং পানীয়ের ব্যবহার কম করুন ।
  • ভালো দাঁত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা করুন : নিয়মিত স্বাস্থ্য দেখায়িত্ব করতে এবং নিয়মিত ভাবে দাঁতের দুর্বল অংশ গুলোর পরিচর্যা করতে সাহায্য করতে হয় ।
  • দাঁতের পরিচর্যা গুলো নিয়ে অস্থায়ী ভাবে প্রস্তুতি করুন : দিনে কমপক্ষে দুই বার দাঁত ব্রাশ করুন , মুখের সেন্সিটিভ এলিমেন্ট ব্রাশ এবং ফ্লস করুন ।
  • দাঁতের মাঝখান বরাবর একটি মাস্কিং টেপ বা প্রোটেক্টিভ ফ্লোরাইড ব্যবহার করা যায় যা দাঁতের মাড়ি ক্ষয় প্রতিরোধ করার জন্য সাহায্য করতে পারে ।
  • দাঁতের ক্ষতি শনাক্ত হলে তা যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করুন ।

দাঁতের ক্ষয় রোধের হোমিওপ্যাথি ঔষধ

দাঁতের ক্ষয় রোধের হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে নিচে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন এবং আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার পরিস্থিতি এর সাথে মিলে যায় কি , না ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , দাঁতের ক্ষয় রোধের হোমিওপ্যাথি ঔষধ -
  • হেপার সালফ্‌ এবং সিলিসিয়া : দন্তমূলে ফোড়া বা অধি মাংসের ক্ষেত্রে হেপার সালফ্‌ এবং সিলিসিয়া খুব ভালো কাজ করে থাকে ।
  • প্ল্যান্টাগো : দাঁতে ব্যথার জন্য সব থেকে বেশী ব্যবহৃত ঔষুধ হলো এই প্ল্যান্টাগো । দাঁত থেকে শুরু করে কান পর্যন্ত অসহ্য যন্ত্রণার জন্য উপশম ঘটায় এই ঔষুধটি ৷
  • স্ট্যাফিসাগ্রিয়া : দাঁতে শিরশিরানির জন্য সে ক্ষেত্রে স্ট্যাফিসাগ্রিয়া খুব ভালো ভাবে কাজ করে থাকে , এবং খাবার বা পানীয় এর কারণে তৈরী হওয়া দাঁতে সকল প্রকার ব্যথার সমস্যার সমাধান করে থাকে ।

দাঁতের ক্ষয় রোধের ঔষধ

দাঁতের ক্ষয় রোধের ঔষধ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে নিচে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন এবং আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার পরিস্থিতি এর সাথে মিলে যায় কি , না ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে . দাঁতের ক্ষয় রোধের ঔষধ -

ফ্লোরাইড যা বেশির ভাগ সময় ওভার - দ্য - কাউন্টার টুথপেস্টে সাধারণত পাওয়া যায় তা দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ৷ প্রেসক্রিপশন - শক্তি ফ্লোরাইড ( অ্যাসিডুল ) একজন চিকিৎসক দ্বারা নির্ধারিত হলে তবে মাত্র পাওয়া যায় ।

প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের যত্ন

দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় এই পোস্টটিতে আমরা এখন জানাবো প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের যত্ন কিভাবে নেওয়া যায়। আমরা অনেকে আছি যারা প্রাকৃতিক ভাবে দাঁতের যত্ন কিভাবে নিতে হয় তা সম্পর্কে কিছুই জানিনা। তবে চিন্তার কোন কারণ নাই কেননা আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায় দাঁতের যত্ন কিভাবে নিবেন তা বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের যত্ন দেওয়া হলঃ

প্রাকৃতিক হলুদ

প্রাকৃতিক হলুদ থাকা আন্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শক্তি থাকায় দাঁতের ভেতরে সহজে পোকা লাগতে দেয় না। আবার প্রাকৃতিক হলুদ দাঁতে ব্যবহারের ফলে ইনফেকশনের হাত থেকে দাঁত কে গুরুত্বপূর্ণভাবে রক্ষা করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক হলুদের ব্যবহারবিধি হলো : প্রথমে এক চা চামচ গুড়া হলুদ নিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে হলুদের পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।

এরপর আপনার প্রতিদিনের ব্যবহৃত ব্রাশের সঙ্গে লাগিয়ে কমপক্ষে দিনে দুইবার ব্রাশ করতে হবে। এইভাবে যদি কয়েক মাস টানা হলুদ দিয়ে ব্রাশ করা যায় তাহলে দাঁতে আর কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা পোকা লাগবে না। এর ফলে দাঁত নিয়ে আপনাকে আর কোন টেনশন করাই লাগবে না।

তেল মালিশ

আমরা অনেকেই আছি দাঁতে তেল মালিশ বলতে তেমন কিছু বুঝিনা। আবার অনেকে আছি দাঁতে তেল মালিশ বলতে সবকিছুই বুঝি। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, আমি আপনাদের বলে দিচ্ছি কেমন করে দাঁতে তেল মালিশ করবেন। প্রথমে এক চামচ নারিকেল তেল নিয়ে মুখের মধ্যে দিয়ে কুলকুচি করবেন কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখের ভেতরে কুলি করে ধুয়ে ফেলবেন।

আরো পড়ুনঃআক্কেল দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়

তবে মনে রাখতে হবে তেল দিয়ে কুলকুচি ১৫ থেকে ২০ মিনিট করলেই ভালো ফলাফল পাবেন। তেল মালিশ করার ফলে দাঁত ভালো থাকে এবং দাঁতের ব্যাকটেরিয়া এবং পোকা ধ্বংস হয়ে যায়।

দাঁতের যত্নে গ্রিন টি
শারীরিক সুস্থ রাখতে গ্রিন টি এর গুরুত্ব অপরিসীম। গ্রিন টি শুধুমাত্র শরীর সুস্থ রাখে না আমাদের দাঁত কেউ ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে রাখে। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে প্রতিদিন দিনে ৩ থেকে ৪ বার গ্রিন টি পান করলে দাঁতের বেশ উপকার হয়। কারণ গ্রিন টিয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষভাবে দাঁতে কাজ করে থাকে। এর জন্য আপনিও প্রতিদিন তিন থেকে চারবার গ্রিন টি পান করুন।

প্রাকৃতিক তুলসী পাতা

প্রাকৃতিক তুলসী পাতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ভালো থাকার জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে। তুলসী পাতা আমাদের দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।দাঁতে তুলসী পাতা ব্যবহার করলে দাঁতের দুর্গন্ধও বেশ ভালোভাবে দূর হয়। এক্ষেত্রে কিছু তুলসী পাতা রোদে শুকিয়ে সেটি পাউডার করে প্রতিদিন সেই পাউডার দিয়ে দাঁত মাজন। তুলসী পাতার পাউডার দিয়ে দাঁত মাজলে উপকার পাওয়া যাবে। এতে কোন ধরনের সাইড ইফেক্ট নেই।

প্রাকৃতিক আমলকি

প্রাকৃতিক আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি শরীরে শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় উন্নতি করে না। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নতির পাশাপাশি আমাদের দাঁত কে ভালো রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আমলকি খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্যাভিটি এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে বিশেষভাবে দূরে রাখে। এর জন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টা আমলকি খেতে হবে। শুধু এটি আমাদের পরামর্শই নয়, আমলকি খাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই আজও আপনি দাঁতের যত্নে আমলকি খাওয়া শুরু করুন।

প্রাকৃতিক পেয়ারা পাতা

প্রাকৃতিক পেয়ারার পাতাতে থাকা আন্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শক্তি থাকায় দাঁতের ভেতরে সহজে পোকা লাগতে দেয় না। আবার প্রাকৃতিক পেয়ারা পাতা দাঁতে ব্যবহারের ফলে ইনফেকশনের হাত থেকে দাঁতকে গুরুত্বপূর্ণভাবে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক পেয়ারা পাতা ১ টা থেকে ২ টা মুখের ভেতরে নিয়ে চিবোতে থাকতে হবে। সম্পূর্ণ পেয়ারার পাতা জীবনেও শেষ হয়ে গেলে তা ফেলে দিতে হবে।

এরপর জীবনও পেয়ারার পাতার রস দাঁতের ফাঁকাই ফাকাই পৌঁছে গিয়ে দাঁতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এর ফলে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না। তাই আপনিও দাঁতের প্রাকৃতিক যত্নে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে পেয়ারার পাতা ব্যবহার করতে পারেন।

দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা দাঁতের বেশ কিছু তথ্য আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা সকলেই উপরের আলোচিত তথ্য গুলো বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলোঃ

আরো পড়ুনঃআধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন

  • বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। আয়ুর্বেদিক টুথপেস্টগুলো ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয় থেকে বাঁচা যাবে।
  • বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাদ্যদ্রব্য দাঁতের ক্ষয় অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য দাঁতের ক্ষয় রোধে মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কারণ এই ধরনের খাদ্যে থাকা ফ্যাট সলিউবল দাঁতের ক্ষয় রোধে বিশেষভাবে কাজ করে।
  • প্রতিদিন খাবার পর নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
  • নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। এবং দাঁত ব্রাশ ২ থেকে ৫ মিনিটের ভেতরে সম্পন্ন করতে হবে।
  • প্রায় তিন মাস পর পর একটি ব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে।
  • দাঁতের ক্ষয় রোধে মাজন দিয়ে ব্রাশ করা ছাড়তে হবে।
  • দুধ, দই, পানি ইত্যাদি ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য খাওয়া যেগুলো দাঁতের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।

শেষ কথা

আমরা আজকে এই পোস্টটিতে দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা যারা দাঁতের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন তারা আশা করি আমাদের এই পোস্টটিতে দাঁতের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। দাঁতের ক্ষয় রোধ এবং দাঁতকে যত্ন করতে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটিতে আলোচনা করা বিষয় গুলো মেনে চলবেন। তাহলে দেখবেন আপনিও দাঁতের ক্ষয় থেকে রক্ষা পাবেন। আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url