আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর ঔষধ - আক্কেল দাঁত ব্যথার ঔষধ

আসসালামু আলাইকুম, আমরা অনেকে আছি যারা আক্কেল দাঁত ব্যথা নিয়ে অনেক সমস্যায় ভুগে থাকে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, কেননা আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর ঔষধ - আক্কেল দাঁত ব্যথার ঔষধ   সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর উপায় আপনাদের সকলেরই জেনে রাখা উচিত।

চলুন দেরি না করে আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আক্কেল দাঁত কেন হয়

বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের আক্কেল দাঁত বের হতে শুরু করে। আক্কেল শব্দের অর্থ হলো জ্ঞান-বুদ্ধি, কাণ্ডজ্ঞান, বিবেচনা ইত্যাদি। মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্ক পরিবর্তন হয়। নানা ধরনের শিক্ষার এবং অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। আমাদের মাড়ির একদম শেষভাগে উপরে নিচে মোট চারটি করে দাঁতকে আক্কেল দাঁত বলা হয়। আক্কেল দাঁত সাধারণত ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে গজায়। আবার কোন মানুষের ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ বছরেও এই আক্কেল দাঁত গজানোর দৃষ্টান্ত রয়েছে। আক্কেল দাঁত এই নামটি কবে এবং কারা রাখেন তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি।

আরো পড়ুনঃদাঁতের ক্ষয় রোধ করার উপায় বিস্তারিত জানুন

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর এ আক্কেল দাঁত গজায় বলে এর নামকরণ করা হয়। বর্তমান সময়ে মানুষের শরীরে থাকা হরমনের পরিবর্তনের ক্রমে সঠিক সময়ে সবার আক্কেল দাঁত বের হয় না। এই আক্কেল দাঁত গজালেও অনেক জনকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আক্কেল দাঁত বাঁকা হয়ে গজানোর জন্য পাশের মাড়িতে সংঘর্ষের ফলে আক্কেল দাঁত ব্যথা হয়ে যায় এরকম নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতিবছর এই আক্কেল দাঁত এক কোটিরও বেশি তুলে ফেলা হয়। তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই নয় আমাদের দেশেও এরকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের উচিত আক্কেল দাঁত ভালো ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। আমরা এ পোষ্টের মাধ্যমে আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আমাদের সাথেই থাকুন।

আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর ঔষধ

আমরা সকলে আক্কেল দাঁত ব্যথা নিয়ে অনেক অস্থির হয়ে পড়ি। আক্কেল দাঁত ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক কারণ এই সময় মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি সহ নানা ধরনের বিকাশ ঘটে। আক্কেল দাঁত মূলত গজানোর সময় অনেক ব্যথা হয়। আবার আক্কেল দাঁত যখন উঠে যায় তখনো ব্যথা হয়। এর জন্য নিচে আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর ঔষধ দেওয়া হলোঃ
  • আক্কেল দাঁত ব্যথা করলে দাঁতের উপরে একটি লবঙ্গ রেখে দিন। তবে মনে রাখতে হবে লবঙ্গ চেবানো যাবে না। লবঙ্গ তখন পর্যন্ত রাখবেন যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যথা না কমে যায়। আবার হাতে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গের তেল নিয়ে দাঁতের মালিশ করতে পারেন এতেও আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমে যায়।
  • বাড়িতে থাকা লবন ও দাঁতের ব্যথা কমাতে অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে। লবণ এক চামচ নিয়ে কুসুম গরম পানিতে ফুটিয়ে এরপর হালকা ঠান্ডা করে নিন। লবণ পানি ঠান্ডা করার পরে ৪ থেকে ৫ বার কুলখুঁচি করে ফেলে দিন। তাহলে দেখবেন ব্যথা কমে গেছে। এই প্রক্রিয়াটি আপনি দিনে ৩ থেকে ৪ বার করুন।
  • পেঁয়াজ ও আমাদের দাঁতের ব্যথা দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করে থাকে। পেঁয়াজে আছে অ্যান্টিসেপটিক, আন্টি ব্যাকটেরিয়াল, ও এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যার আমাদের দাঁতের রোগ জীবাণু এবং ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। একটি পেঁয়াজ নিয়ে সেটি ৪ কুচি করে এক কুচি দাঁতের তলে রেখে দিন তাহলে দেখবেন দাঁতের ব্যথা কমে গেছে। এই প্রক্রিয়াটি আপনি দিনে ৩ থেকে ৪ বার করুন।
  • রসুন হলো বহু গুণের একটি ঔষধ। দাঁতের ব্যথা কমাতে রসূলের গুরুত্ব অপরিসীম। আক্রান্ত স্থানে এক কোয়া রসুন চেপে ধরে রেখে দেন। তাহলে দেখবেন নিমেষের মধ্যে আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমে গেছে।
  • এন্টিবায়োটিক, ব্যথা নাশক ও এন্টিব্যাকটেরিয়াল হওয়ায় ব্যথার জন্য হলুদের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে থাকা হলুদ এক কাপ গরম পানির ভেতরে হাফ চামচ হলুদ নিয়ে তার ভেতরে দুটি শুকনো পেয়ারা পাতা এবং দুটি লবঙ্গ নিন। এরপর সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করে ফেলে দিন। দেখবেন নিমেষের মধ্যে আক্কেল ব্যথা দূর হয়ে গিয়েছে। হলুদ আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর উপায় এর মধ্যে গুরুত্ব অন্য একটি উপায়।

আক্কেল দাঁত উঠলে কি হয়

পেছনের মাড়িতে গজানো আক্কেল দাঁত মানুষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দাঁত। এই দাঁতের উপর নির্ভর করেন আমাদের জীবনে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে। এটি কে কখন কিভাবে সৃষ্টি করেছে তার সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে অধিকাংশ মানুষেরাই আক্কেল দাঁত গজানোর পেছনে অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটে সেটি মনে করে। আক্কেল দাঁত উঠলে কি হয় তা নিচে দেওয়া হলঃ
  • আক্কেল দাঁত সাধারণত ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সে উঠে থাকে। আবার কারো হরমোনের সমস্যার কারণে ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সেও উঠে থাকে।
  • আক্কেল দাঁত সাধারণত পেছনের মাড়ীর চোয়ালে ওপর নিচ মোট ১ টি করে দুই পাশে ৪ টি আক্কেল দাঁত উঠে থাকে।
  • আক্কেল দাঁত বের হলে মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশ ঘটে।
  • আকেল দাঁত ওঠার ফলে মুখে সাদ এর বৃদ্ধি ঘটে।
  • আক্কেল দাঁত গজানোর ফলে শারীরিক ভাবে নানা ধরনের বিকাশ ঘটে থাকে।

আক্কেল দাঁত কয়টি

আক্কেল দাঁত সাধারণত আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি বিকাশ ঘটানোর কারণে গজিয়ে থাকে। আক্কেল দাঁত বা উইশডম টিথ আমাদের মাড়ির তিন নাম্বার কোষের দাঁত। আক্কেল মাড়ির দাঁত সাধারণত আমাদের মুখের ভেতরের উপরে ও নিচে এবং ডান ও বাম দিকে মিলে সর্বমোট ৪ টি অংশ। প্রতিটি অংশে মোট ৮ টি করে দাঁত থাকে। তাহলে বোঝা যায় ৪ টি অংশে মোট ৩২ টি দাঁত রয়েছে। এই প্রতিটি অংশের সর্বশেষ অংশের দাঁতটি আক্কেল মাড়ির দাঁত। তাহলে বোঝা যায় আমাদের বাড়িতে মোট ৪ টি আক্কেল দাঁত রয়েছে।

আক্কেল দাঁত অপারেশন খরচ

আক্কেল দাঁত অপারেশনের জন্য অনেক মানুষই চিন্তিত হয়ে পড়ে। তার কারণ সবাই মনে করে আক্কেল দাঁত উঠাতে বা অপারেশন করতে অনেক টাকা-পয়সার ব্যাপার রয়েছে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আক্কেল দাঁত অপারেশন করতে খরচ কেমন হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে আক্কেল দাঁত অপারেশন খরচ কত দেওয়া হলোঃ

আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আক্কেল দাঁত বেড়ে ওঠে এটাই স্বাভাবিক। কেননা প্রত্যেকটি মানুষেরই আক্কেল দাঁত রয়েছে। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আক্কেল দাঁত অপারেশনের সময় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর জন্য অপারেশন ও করতে হয়। অনেক মানুষ আছেন যারা ভাবে আক্কেল দাঁত উঠাতে অনেক টাকা পয়সা ব্যয় হয়। তবে তেমন কিছুই নয়।
সাধারণত আমাদের মুখের ভেতরের দাঁতের পজিশন অনুযায়ী এবং দাঁত কত নাম্বার সে অনুযায়ী দাঁতের অপারেশনের খরচ নেওয়া হয়। আবার আপনি কেমন ডাক্তার দিয়ে দাঁত অপারেশন করাবেন বা দাঁত তোলাবেন সেটি বিবেচনা করেও আক্কেল দাঁত তুলতে টাকা খরচ হয়। তবে জানা গেছে যদি দাঁতের পজিশন ঠিক থাকে বা ভেঙ্গে না যায় তাহলে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে দাঁত অপারেশন হয়ে যায়।

কিন্তু আক্কেল দাঁতের ক্ষেত্রে সেটি কত নাম্বার দাঁত সেই অনুযায়ী ভালো কোন ডেন্টাল ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করালে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে অপারেশন হয়ে যায়। আশা করি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন আক্কেল দাঁত তুলতে কেমন খরচ হবে। আবার আপনারা চাইলে নিকটস্থ যে কোন সরকারি হাসপাতাল থেকে কম খরচে আক্কেল দাঁত এর অপারেশন করাতে পারেন।

আক্কেল দাঁত ব্যথার ঔষধ

অনেকেই আছেন যারা আক্কেল দাঁত ব্যথা নিয়ে অনেক অস্থির হয়ে পড়েন। আবার অনেকে আছেন এই আক্কেল দাঁত ব্যথার কারণে জ্বর সহ নান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। তবে আক্কেল দাঁত ব্যথা হলে নানা ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদের আক্কেল দাঁত ব্যথা হলে কি ওষুধ খাবেন তা বিস্তারিত জানাবো।

আক্কেল দাঁত ব্যথা হলে সর্বপ্রথম আপনাকে দাঁত ব্যথা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো প্রয়োগ করতে হবে। তবুও যদি ব্যথা না কমে তাহলে সরকারি মেডিকেল অথবা যে কোন ক্লিনিক থেকে দাঁত ব্যথা ভালো করার সমাধান নিতে পারেন। দাঁত ব্যথা হলে যেকোনো পেইন কিলার ঔষধ খেলে চলবে না। কেননা ব্যথার কারণে আপনি যদি পেইন কিলার ঔষধ খেয়ে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম মনে রাখতে হবে যে কোন রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়া। আবার আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের হোমিও ঔষধ সেবন করতে পারেন। নিম্নে হোমিও ঔষধের নাম দেওয়া হলঃ

হোমিও ঔষধ
দাঁতের ব্যথা বা আক্কেল দাঁত ব্যথা দূর করনে হোমিও ঔষধ বা হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আক্কেল দাঁত ব্যথা দূর করনে হোমিও ঔষধ যেমন: Merv sol 200, Calcarea clarb 200, Mag carb 200 এবং Cilicea 200 এই ঔষধ গুলো সেবন করতে পারেন। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে উক্ত ঔষধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শে অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

আক্কেল দাঁত ব্যথা কতদিন থাকে

আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শারীরিক পরিবর্তনও হয় স্বাভাবিকভাবে। শারীরিক এবং মানসিক জ্ঞান বুদ্ধি পরিবর্তনের মূল কারণ হলো আক্কেল দাঁত ওঠার। আক্কেল দাঁত উঠলে যেমন আমাদের জ্ঞান বুদ্ধির বিকাশ ঘটে ঠিক তেমনিভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নানা ধরনের। সমস্যা বলতে আক্কেল দাঁত ওঠার সময়ে ব্যথার সম্মুখীন হতে হয়। আবার আক্কেল দাঁত তুলে ফেলার সময়ও অসহ্য দায়ক যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়। আপনারা হয়তো অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আক্কেল দাঁত ব্যথা কতদিন থাকে।

আরো পড়ুনঃ দাঁত স্কেলিং করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

তবে এর কোন নির্দিষ্ট সময় বা কতদিন ব্যথা থাকবে তার কোন ধারণা নেই। আক্কেল দাঁত ব্যথা স্বাভাবিকভাবে ৩ থেকে ৪ দিন থাকতে পারে। আবার এর বেশিও থাকতে পারে। তবে মনে করা হয় দাঁতের পজিশন অনুযায়ী এই ব্যথার সম্মুখীন হতে হয়। আক্কেল দাঁতের পজিশন যদি খারাপ থাকে তাহলে অনেকদিন পর্যন্ত আক্কেল দাঁতের ব্যথা থাকে। আর যদি পজিশন নরমাল হয় তাহলে ৩ থেকে ৪ দিন আক্কেল দাঁতের ব্যথা থাকে।
তবে আপনি যদি আক্কেল দাঁতের ব্যথার জন্য কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তারা আপনাকে সঠিকভাবে বলে দিবে কতদিন আক্কেল দাঁতের ব্যথা থাকবে। এতে চিন্তার কোন কারণ নেই।

আক্কেল দাঁত তোলার পর করণীয়

আক্কেল দাঁত তুলে ফেলাটা যেমন স্বাভাবিক তেমনিভাবে আক্কেল দাঁতের অপারেশনের পর বা তুলে ফেলার পর বিভিন্ন ধরনের করণীয় রয়েছে। যেগুলো আপনাকে খুব সতর্কতা ভাবে মেনে চলতে হবে। তা না হলে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এর জন্য আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আক্কেল দাঁত তোলার পর করণীয় কি তা বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে আক্কেল দাঁত তোলার পর করণীয় দেওয়া হলঃ
  • দাঁতের অপারেশনের পর অপারেশনের জায়গায় তুলো বা গজ দেওয়া থাকে। সেই গজ বা তুলো ফেলে দিয়ে ঠান্ডা জাতীয় আইসক্রিম খেতে হবে। অথবা ঠান্ডা জাতীয় খাবার সেখানে চেপে ধরে রাখতে হবে।
  • এক চামচ লবণ এবং পানি হালকা কুসুম গরম করে ২৪ ঘন্টা পর পর কুলকুচি করে ফেলে দিতে হবে।
  • আক্কেল দাঁত তোলার পরে যতটা পারা যায় কম কথা বলতে হবে। এবং তরল পানি বেশি পরিমাণ পান করতে হবে।
  • আক্কেল দাঁত তোলার পর অর্থাৎ ২৪ ঘন্টা পর দাঁত ব্রাশ করুন তবে মনে রাখতে হবে তুলে ফেলা দাঁতের কাছাকাছি ব্রাশ করা যাবে না।
  • তুলে নেওয়া দাঁতের গোড়া পরিষ্কার করার জন্য ঠান্ডা পানি নিয়ে ১২ ঘণ্টা পর খুব সাবধানতার সাথে পরিষ্কার করুন।
  • বিভিন্ন ধরনের জুস খাওয়া স্ট্র দিয়ে তরল কোন খাবার খাবেন না কেননা স্ট্র দিয়ে তরল জাতীয় খাদ্য চোষার সময় রক্ত হতে পারে।
  • আক্কেল দাঁত তোলার পরে গরম কোন খাবার খাবেন না।
  • আক্কেল দাঁত তোলার পরে ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে। এবং অ্যালকোহল কোন জাতীয় দ্রব্য খাওয়া যাবেনা
  • দাঁত তোলার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
  • আক্কেল দাঁত তোলার পরে নরম জাতীয় খাদ্য সেবন করতে হবে।
  • আক্কেল দাঁত তোলার পর ২৪ ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হবে এবং কোন ধরনের ভারী কাজ করা থেকে দূরে থাকতে হবে।

আক্কেল দাঁত ওঠার লক্ষণ

আক্কেল দাঁতগুলো ওঠার আগ মুহূর্ত কোন ধরনের লক্ষণ তেমন ভাবে দেখা দেয় না। তবে আক্কেল দাঁত ওঠার আগে আক্কেল দাঁতের মাড়ির মাংস ফুলে যায়। আক্কেল দাঁতের মাড়ি প্রচন্ড ব্যথা করে আবার কোন সময় আক্কেল মাড়ি থেকে রক্তকরানো দেখা দেয়। মূলত এই ধরনের লক্ষণগুলো দেখা দিলে মনে করতে হবে আক্কেল মাড়ির দাঁত উঠবে। এই সমস্ত লক্ষণ গুলো দেখা দিলে আপনি নিকটস্থ যেকোনো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

তবে প্রাথমিক অবস্থায় শুধুমাত্র আক্কেল দাঁত ব্যথা করলে যে কোন পেইন কিলার বা হোমিও ঔষধ খেতে পারেন। তবে যদি গুরুতর ব্যথা বা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অপারেশন করতে হবে। তবে আপনাকে খুব সতর্কতার সাথে লক্ষণ গুলো বুঝে আক্কেল দাঁত তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

আক্কেল দাঁত এর কাজ কি

আক্কেল দাঁত মূলত নানা ধরনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আক্কেল দাঁত সর্বপ্রথম আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে। এরপর অতি শক্ত খাদ্য চিবাতে সাহায্য করে। আদিম যুগের মানুষদের খাদ্য তালিকায় সবসময় আঁশযুক্ত এবং শক্ত খাবার বেশি থাকতো। এ ধরনের খাদ্য খুব সহজেই চেবানোর জন্য আক্কেল দাঁতের আবির্ভাব হয়েছিল বলে মনে করা হয়। শক্ত খাবার চিবাতে এবং মূলায়ন করতে আক্কেল দাঁতের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সময়ের সাথে সাথে খাদ্য তালিকার পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি আমাদের আক্কেল দাঁত সঠিক সময়ে তেমন বের হয় না।

আরো পড়ুনঃ দাঁত স্কেলিং এর খরচ কত জেনে নিন

এই সমস্ত সমস্যার কারণ হলো হরমোন এর পরিবর্তনের কারণ। তবে যাদের সঠিক সময়ে আক্কেল দাঁত বের হয়ছে তাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে জ্ঞান বুদ্ধি ও সঠিকভাবে বিকাশ ঘটেছে। এর জন্য বলা যায় আক্কেল দাঁতের কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আক্কেল দাঁত কত বছর বয়সে হয়

আক্কেল মাড়ির দাঁত এর সঙ্গে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। আমাদের মাড়ির পেছনের অংশে মূলত এই আক্কেল মাড়ির দাঁত উঠে থাকে। এই আক্কেল মাড়ি দাঁত দুই চলে ২ টি করে মোট ৪ টি দাঁত উঠে থাকে। এই দাঁতগুলো সাধারণত ২৮ থেকে ২৫ বছর বয়সের মাঝে উঠে থাকে। আবার কোন ক্ষেত্রে ১৭ থেকে ২৪ বছরের মধ্যেও এই আক্কেল মাড়ির দাঁত উঠে থাকে। তবে অনেক জনের ক্ষেত্রে আক্কেল মাড়ির দাঁত নাও উঠতে হতে পারে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই।

আক্কেল মাড়ির দাঁত না উঠলে আপনার সাধারণভাবে জ্ঞান বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে থাকবে। এতে কোন ধরনের বাধা প্রাপ্তি হতে হবে না। আবার অনেক সময় হরমোনের পরিবর্তনের জন্যও আক্কেল দাঁত উঠতে একটু সময় লাগে। আশা করি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন কত বছর বয়সে আক্কেল দাঁত ওঠে।

শেষ কথা

আমরা এই পোস্টটিতে আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর উপায় এবং আক্কেল দাঁত ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা হয়তো অনেকেই আক্কেল দাঁত নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। আবার অনেক সময় প্রচন্ড আক্কেল দাঁত ব্যথা জন্য মুখ দিয়ে কোন ধরনের কথা বলতে পারেন না। আশা করি আমাদের এই আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর উপায় আপনাকে আক্কেল দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে। আমাদের এই পোস্টটি পাড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url