কৃষি সমবায় কি - কৃষি সমবায়ের প্রকার গুলো কি

আপনি যদি কৃষি সমবায়ের মূল ভিত্তি কি জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব  কৃষি সমবায়ের মূল ভিত্তি সম্পর্কে। কৃষি সমবায়ের মূল ভিত্তি সম্পর্কে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কৃষি সমবায়ের মূল ভিত্তি কি।

কৃষি সমবায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো মূলনীতির ভিত্তিতে সমবায় এর সংগঠিত কৃষকদের অর্থ সামাজিকভাবে নির্ভর করে তোলা। কৃষি উৎপাদন বিপণন ও সংরক্ষণ সমবায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য ন্যায্য মূল্যে নিশ্চিতকরণ এর মাধ্যমে কৃষি কাজ কে গতিশীলতা আনায়ন করা। আশা করি কৃষি সমবায়ের মূল ভিত্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

কৃষি সমবায়ের প্রকার গুলো কি

আপনি যদি কৃষি সমবায়ের প্রকার গুলো কি জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক কৃষি সমবায়ের প্রকার গুলো কি। কৃষকদের নিয়ে যে ধরনের সমবায় সংগঠন তৈরি করা হয় তাকে কৃষি সমবায় সমিতি বলে। কৃষি সমবায় সমিতি তিন প্রকার সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ

1. কৃষি উৎপাদন সমবায় সমিতিঃ কৃষি কাজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বা নিয়োজিত কৃষক। ব্যক্তিবর্গ সমবায়ের গঠিত সমবায় কে কৃষি উৎপাদন সমবায় সমিতি বলা হয়। এক কথায় সহজভাবে কৃষি উপকরণ সংগ্রহ, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য শেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পশুর সম্পদের উন্নয়ন প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কিসে উৎপাদন সমিতি গঠিত হয়।
2. সেবা মূলক সমবায় সমিতিঃ কৃষি উৎপাদনের উপকরণ সংগ্রহ যেমনঃ ভুমিকর্শন যন্ত্রপাতি(ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার কীটনাশক সিটানোর যন্ত্র) শেষের যন্ত্রপাতি( পানির পাম্প) এবং কৃষি ঋণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সেবামূলক সমবায় সমিতি গঠন করা হয়।
   
3. কৃষি বিপণন সমবায় সমিতিঃ কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য নায্য মূল্যের নিশ্চিতকরণের জন্য এই ধরনের সমিতি গঠিত হয়।। কৃষি বিপণন সমবায় সমিতি গুলো কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ করে থাকে।
   

আপনি নিশ্চয়ই কৃষি ঋণ বলতে কি বুঝায় জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কৃষি ঋণ সম্পর্কে। কৃষি ঋণ সম্পর্কে জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কৃষি ঋণ বলতে কি বুঝায়। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। 

এদেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো কিসের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার কৃষকদের মাঝে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কৃষি ঋণ বলতে কৃষি ক্ষেত্রে স্বল্পকালীন সময়ে বা দীর্ঘকালীন চাষাবাদ ও খামার প্রকল্পের জন্য একটি ব্যয়বহুল খরচ বিভিন্ন সংস্থা ও কিছু ব্যাংক এবং সরকারি কিছু সংস্থা থেকে লোন মারফত চুক্তি ভিত্তিতে কিছু নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী অংক মূল্য প্রদান করে থাকে আর তাকেই কৃষি ঋণ বলে।

কৃষি ঋণের প্রাতিষ্ঠানিক উৎস কি কি

আপনি যদি কৃষি ঋণের প্রাতিষ্ঠানিক উৎস কি কি জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কৃষি দি ঋণের প্রাতিষ্ঠানিক উৎসব সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কৃষি ঋণের প্রাতিষ্ঠানিক উৎস কি কি। কৃষি ঋণের প্রাতিষ্ঠানিক উৎস নিম্নে দেওয়া হলোঃ

1. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকঃ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক হতে কৃষকদের জমি বন্ধক রেখে কৃষকদের ঋণ প্রদান করা হয়।
2. বাংলাদেশ ব্যাংকঃ বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের মাত্রা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষকদের ঋণ দিয়ে থাকে।
   
3. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকঃ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কৃষকদের ঋণ প্রদান করে থাকে।
4. সমবায় ব্যাংকঃ গ্রামীণ ব্যাংক বা সমবায় ব্যাংক কোন জানানো ছাড়াই এই ব্যাংকের সদস্যদের মাঝে কৃষি ঋণ দিয়ে থাকে।
   
5. বাণিজ্যিক ব্যাংকঃ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষকদের সহজ শর্তে স্বল্প সময়ের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে।
   
6. সমবায়ের ঋণদান সমিতিঃ কৃষি ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমবায়ের ঋণদাতা সমিতির মতো একটি বড় উৎস।
   

প্রিয় পাঠক আপনি যদি কৃষি ঋণ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিভাবে কিসে ঋণ পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কৃষি ঋণ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি কোন ব্যাংকের মাধ্যমে বা কোন ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিতে চাচ্ছেন সেটা মুখ্য বিষয়। কারণ সব ব্যাংকে কৃষি ঋণ প্রদান করার নিয়ম এক নয়। তাই একেক ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার উপায় একেক ধরনের হতে পারে।

আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিতে চান তাহলে আপনাকে নিকটস্থ কোন ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করে ঋণের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং আপনার প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে লোন গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও আপনি অনলাইনের মাধ্যমে BKB-Janala অ্যাপস এর মাধ্যমে লোন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এবং আবেদন করতে পারবেন। কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে এই ব্যাংকের একটি একাউন্ট খুলতে হবে। কৃষি ব্যাংক থেকে আপনি বেশ কয়েক ধরনের ঋণ উত্তোলন করতে পারবেন।

কৃষি সমবায়ের হৃৎপিণ্ড কোনটি

কৃষি সমবায়ের হৃৎপিণ্ড কোনটি জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কৃষি সমবায় সমিতির হৃৎপিণ্ড কোনটি সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কৃষি সমবায়ের হৃৎপিণ্ড কোনটি। কৃষি পণ্য ক্রেতা সংস্থা কোম্পানি অথবা ব্যক্তির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি পড়বে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবসা করবে।

সমবায়ীদের সাধারন সবার কাছে সমবায়ের কার্যনির্বাহী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে এবং হিসাব উপস্থাপন করতে বাধ্য থাকবে। তাই আমরা বলতেই পারে সমবায় সংগঠন কৃষি সমবায়ের হৃৎপিণ্ড। এক কথায় বলা যায় কৃষি সমবায়ের হৃৎপিণ্ড হচ্ছে সমবায় সংগঠন।

কৃষি ঋণনীতিমালা

আপনি যদি কৃষি ঋণনীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কৃষি ঋণনীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে থাকে। প্রতি বছর বাংলাদেশ সরকার অর্থাৎ কৃষি অধিদপ্তর থেকে নতুন করে কৃষি নীতিমালা প্রকাশ করে থাকে। 

প্রতি বছরের তুলনায় ২০২৩ অর্থবছরেও কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ নীতিমালা প্রকাশ করেছে। আপনি যদি ২০২২ ২০২৩ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তবে এখানে ক্লিক করুন। অথবা বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখে নিতে পারেন।

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয় কৃষি সমবায় কি - কৃষি সমবায়ের প্রকার গুলো কি জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি বন্ধুদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করবেন।