আধুনিক জীবনে কম্পিউটারের গুরুত্ব

বর্তমানে আধুনিক জীবনে কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসীম। কম্পিউটার ছাড়া কোন কাজ করা ভাবাই যায় না। স্কুল কলেজের ল্যাবরেটরী থেকে শুরু করে মহাকাশে জানের স্পেস পাঠানোর ক্ষেত্রে সকল কাজে কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসম। আজকের এই আর্টিকেলে কম্পিউটারের খুঁটিনাটি সব বিষয় জেনে নিব।


                                                                       

আজকের পর্বে আমরা জেনে নিব কম্পিউটারের ভূমিকা-কম্পিউটার কি-কম্পিউটার কত সালে আবিষ্কার হলো-কম্পিউটারের জনক কে এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করব। জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনাদের অনেক উপকারে লাগবে। তাহলে নিচে বিস্তারিত আলোচনা দেখে নেই।

ভূমিকাঃ

বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞান আমাদের জীবনধারা পুরো বদলে দিয়েছে। অসম্ভব কাজগুলো কেউ এখন সহজ করে দিয়েছে বিজ্ঞান। তেমনি এক ধরনের আবিষ্কার হল কম্পিউট। কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময় করা আবিষ্কার। আধুনিক যুগে কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসীম। অবিশ্বাস্য কর্মক্ষমতা কম্পিউটার কে দিয়েছে মানুষের নিত্য সঙ্গের মর্যাদা।

কম্পিউটারের গুরুত্ব

বর্তমান ডিজিটাল যুগে কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসীম। কম্পিউটার সবচেয়ে দ্রুত এবং নির্ভুল তথ্য দিতে সক্ষম। নরমালি একটি কাজ সম্পূর্ণ করতে অনেক সময় প্রয়োজন হয় কিন্তু একটি কম্পিউটার সেই কাজটি সম্পন্ন দ্রুত এবং নির্ভুল তথ্য দিয়ে করতে পারে। তাই বর্তমান সমাজ কম্পিউটার আজকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহের জন্য কম্পিউটারে নির্ভরযোগ্য স্থান হচ্ছে হার্ডডিক্স। একটি বড় ভগ্নাংশের গণনা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কম্পিউটার করে দিতে পারে। যা একটি মানুষের পক্ষে কয়েক মিনিট লেগে যাবে।

কম্পিউটার কিঃ

কম্পিউটার একটি আধুনিক ইলেকট্রনিক গণক যন্ত্র। টি ডাটা গ্রহণ করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে অতি দ্রুত গতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। শুধু যে কম্পিউটারস গণনা করার যন্ত্র তা নয় বরং এটিতে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহও করা যায়। এতে তথ্য গ্রহণ, তথ্য নির্দেশ এবং তথ্য সংরক্ষণ করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে অগণিত জটিল সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। 

কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের যোগ, বিয়োগ, গুন ,ভাগ, এর মত জটিল অংকের সমাধান করা যায়। আরো আছে টাইপ রাইটার, লাইন প্রিন্টার, কার্ড রিডার, কার্ড পাঞ্চিং মেশিন, ম্যাগনেটিক টেপ ইত্যাদি। এসবের যথার্থ সংযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কম্পিউটার একটি বিচিত্র রুপের যন্ত্র।

কম্পিউটার আবিষ্কারঃ

১৬৪২ সালে গণিতবিদ ডেইলি প্যাসকেল যোগ, বিয়োগ করার সক্ষম এমন একটি গণনা যন্ত্র তৈরি করে। ১৬৭১ সালে  গডফ্রাইড লেবনিটজ গুণ ও ভাগের ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর যন্ত্র তৈরি করেন।১৮১২সালে চার্লস ব্যাবেজ প্রথম আধুনিক ক্যালকুলেটর মূলনীতি পরিকল্পনা করেন।

১৯৪৪ সালে  হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় ও আইবিএম কোম্পানী যৌথ উদ্যোগে ইলেকট্রনিক মেকানিক্যাল কম্পিউটার তৈরি করেন।১৯৫৭ সালের পর কম্পিউটার যন্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়।

কম্পিউটারের ব্যবহারঃ

 কম্পিউটার যন্ত্রটি বর্তমানে নানা ধরনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কম্পিউটার এখন প্রযুক্তি বিদ্যা, মহাকাশ বিজ্ঞান, কৃষি বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।শুধু তাই কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল অল্প সময়ে নিখুঁতভাবে দেওয়া সম্ভব। সেদিন বেশি দূরে নয় যখন মস্তিষ্কে প্রতিটি কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে  করা হবে।

বাংলাদেশের কম্পিউটারঃ

 বাংলাদেশে কম্পিউটার এসেছে আশির দশকে। বিদেশে কোম্পানির মাধ্যমে এর আগমন ঘটলেও বর্তমানে তা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়ে অনেক অফিস আদালত কলকারখানায় কম্পিউটার তার নিজ আসন করে নিয়েছে। কম্পিউটার বাংলা ব্যবহারের ফলে অফিস আদালতের দ্রুত এর ব্যবহার বেড়ে গেছে। বর্তমানে আর্থিক লেনদেনে এসেছে স্বচ্ছতা। ব্যবসায়ীরা নির্ভুল হিসেবে পাশাপাশি দৈনন্দিন দিনের হিসাব গুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পার। বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কম্পিউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

কম্পিউটারের সুবিধাঃ

 বর্তমানে কম্পিউটার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রাখছে। দিন দিন এটির ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে  চলেছে এবং এটি আমাদের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কম্পিউটার যে শুধু নির্ভুল হিসাব দিতে পারে তা ন। 

কম্পিউটার থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন তথ্য জানতে পারি। আবার কোন কিছু আবিষ্কার করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার থেকে সে তথ্যগুলো জানতে পারে এবং খুব সহজেই যেকোনো জিনিস আবিষ্কার করা যেতে পারে। হিসেবের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। আর এসব কারণে কম্পিউটার এখন একটি জনপ্রিয় যন্ত্র হয়ে উঠে।

কম্পিউটারের অসুবিধাঃ

 যেকোনো কিছুরই ভালো দিকের পাশাপাশি কিছু খারাপ দিকও থাকে। কোন কিছুরই বেশি ব্যবহার ভালো নয়। তেমন কম্পিউটারের ও বেশি ব্যবহার আমাদের জন্য ক্ষতিকারক। কম্পিউটার দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহারের ফলে চোখের সমস্যা ,মাথা ব্যথা দেখা যায়। কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে মানুষ কম্পিউটারের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। 

তখন কম্পিউটার দিয়ে মানুষ সারাদিন গেম মিউজিক দেখে সময় কা্টায় এর ফলে সে তার মূল কাজটি করতে সময় পায়না। অনলাইন জগতে তথ্য আদান-প্রদান এবং ছবি আদান প্রদানের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় তাই কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় সাইবার অপরাধ গুলো সম্পন্ন হয়।তাই আমাদের জেনে বুঝে আমাদের সঠিক কাজে কম্পিউটার কে ব্যবহার করা উচিত।

কম্পিউটার এর জনক কে?

আমরা অনেকেই কম্পিউটার সম্পর্কে জানি। কিন্তু এটা জানি না এই কম্পিউটারের জনক কে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পর্বে আপনি জানতে পারবেন কম্পিউটারের জনক কে। কম্পিউটারের জনক হচ্ছেন চার্লস ব্যাবেজ। তিনি ১৮২০ সালে কম্পিউটার আবিষ্কার করেন।

অনলাইন বা কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কি

আপনি কি জানেন অনলাইন বা কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কি। তাহলে চলুন জেনে নেই অনলাইন বা কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কি। কম্পিউটার-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ হল একটি শেখার পদ্ধতি যেখানে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম শিক্ষক বা প্রশিক্ষক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

উপসংহারঃ 

কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার। যার মাধ্যমে আমাদের জীবনযাত্রা সহজ হয়ে গেছে। এটি ব্যবহার ফলে আমরা অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারি। যে কোন ধরনের অজানা তথ্য আমরা এর মাধ্যমে জানতে পারি এবং সংরক্ষণ করতে পারি। শুধু যে এটি ব্যবহার ফলে আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে তা নয় এটি ব্যবহারের ফলে মানুষ এখন দিনে দিনে যান্ত্রিক হয়ে উঠছে। মানুষ তার আবেগ হারিয়ে ফেলছে। তাই আমাদের উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে কম্পিউটার ব্যবহার করা।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url