ডাটা এন্ট্রি জবস ওয়ার্ক ফ্রম হোম - ডাটা এন্ট্রি কি

বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এটাই সত্য যে, কম পরিশ্রম করে কিভাবে বেশি টাকা আয় করা যায়। এরকম ধারণা সবার মধ্যে রয়েছে। আর সবাই এরকমই চায়। যে কম পরিশ্রমে কিভাবে বেশি টাকা আয় করতে পারবে। তাদের এই চাহিদা অনুযায়ী অনেক রকমের কাজ রয়েছে, যা তারা ঘরে বসে অল্প পরিশ্রমে অনেক টাকা আয় করতে পারবে। তেমনি এক ধরনের মাধ্যম হলো ডাটা এন্ট্রি।এখন প্রশ্ন হলোঃ ডাটা এন্ট্রি কি।


এটা কিভাবে করতে হয়। কতটুকু যোগ্যতা প্রয়োজন।এইসব প্রশ্নের উত্তর জানবো আজকের এই আর্টিকেলে। মূলত ডাটা এন্ট্রি করা হয় কম্পিউটার , ফোন, ল্যাপটপ এর মাধ্যমে। ডাটা এন্ট্রি চাকরির কিছু ধরনও রয়েছে। এর সব ধরন অনুযায়ী আপনাকে কতক্ষণ কাজ করতে হবে, কত বেতন পাবেন। এসব কিছু নির্ভর করে।

ডাটা এন্ট্রি কিঃ

আমরা এরই নামটা থেকে বুঝতে পারছি যে ডাটা এন্ট্রি কি। ডাটা শব্দের বাংলা অর্থ তথ্য। আর এন্ট্রি শব্দের বাংলা অর্থ লিপিবদ্ধ। অর্থাৎ ডাটা এন্ট্রি মানে হল তথ্যকে লিপিবদ্ধ করা। কম্পিউটারের মাধ্যমে এই তথ্যগুলোকে যেকোনো ফাইল এর সংরক্ষণ করার উপায় কে ডাটা এন্ট্রি বলে। যারা এই ডাটা এন্ট্রেড কাজ করে থাকেন তাদের বলা হয় ডাটা এন্ট্র অপারেটর।

ডাটা এন্ট্রি চেক করার জন্য কোন ধরনের বিশেষ জ্ঞান থাকার প্রয়োজন নেই। এতে শুধুমাত্র কিছু স্কিল সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে এবং কম্পিউটারের বেসিক বিষয়গুলোর ধারণা থাকতে হবে।

ডাটা এন্ট্রির দুইটি মাধ্যম রয়েছে।
১। Online
২।Offline
আপনারা চাইলে এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটি মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে পারেন। অনলাইন ডাটা এন্ট্রি মূলত ঘরে বসে কাজ করা কে বোঝায়। আর অফলাইন ডাটা এন্ট্রি কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করাকে বোঝায়। অনেকেই এই দুইটির মধ্যে অনলাইন মাধ্যমটি বেছে নেয়। কারণ এর মাধ্যমে ঘরে বসেই  কাজ করা যায়।
ডাটা এন্ট্রির কাজ দুই ভাবে করা হয়।
১। Full Time
2.Part Time

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সকলের পার্ট টাইম মাধ্যমটি বেছে নেয় ।

ডাটা এন্ট্রির ধরনঃ


ডাটা এন্ট্রির বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। যে যার ইচ্ছামতো যে কোন একটিতে দক্ষ হয়ে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারে।ডাটা এন্ট্রি অনেকগুলো প্রকার রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়টি প্রকার নেমে দেওয়া হলঃ

১। MS-Excel Data Entry

মাইক্রোসফট এক্সেল এক ধরনের প্রেডশিট প্রোগ্রাম। এখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। 
অন্যান্য কাজের থেকে মাইক্রোসফট এক্সেল ডাটা এন্ট্রির কাজের চাহিদা একটু বেশি। কারণ এটি খুব সহজে করা যায়। এখানে একটি বড় স্প্রেডশিট থাকে যেখানে, বিভিন্ন ধরনের তথ্য টাইপিং বা ভয়েসের মাধ্যমে লিখে সংরক্ষণ করা হয়। এবং প্রয়োজন অনুসারে এটিকে এডিটিং ও করা হয়।
এ কাজটি অন্যান্য কাজের থেকে একটু সহজ হওয়ায় এ কাজের চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি। তাই আপনারা চাইলে অনেক সহজে এ কাজটি করতে পারবেন।

২।Speling Checking
এরই নাম শুনে বোঝা যাচ্ছে যে এখানে কোন কিছু কি চেক করা বোঝায়। বা কোন কিছু যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেটিকে ঠিক করা বোঝায়।এ কাজে মূলত ভুলগুলোকে খুঁজে বের করে, সেগুলোকে ঠিক করতে হয়। যেমনঃ
কোন আর্টিকেলের কোন বানান বা শব্দ সঠিক নয় অথবা কোথায় বিরাম চিহ্ন ছাড়া পড়েছে এগুলোকে প্রথমে সনাক্ত করতে হয়। তারপর এগুলোকে ঠিক করতে হয়।

৩।Peper Documentation

এ ডাটা এন্ট্রির কাজ অন্যান্য গুলোর থেকে একটু বেশি জনপ্রিয়। কারণ এই কাজগুলো অনেক সহজ ভাবে করা যায়।প্রথমত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দের একটি কাগজ দেওয়া হবে, সেখানে মূলত হার্ড কপি দেওয়া থাকে। এগুলোতে কম্পিউটারে টাইপ করতে হবে। এরপর সেগুলোকে সফট কপিতে পরিণত করতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
৪।Job Posting

এর নাম শুনে বোঝা যাচ্ছে যে চাকরির পোস্টিং। এখানে মূলত যারা চাকরির খোঁজ করে । তাদের জন্য চাকরি সুযোগ বিষয়ক কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়। মূলত এই তথ্য প্রকাশ করার কাজ কে জব পোস্টিং বলে।এটা এক ধরনের কাজ কাউকে এখানে লিখিত হিসেবে প্রকাশ করা হয়। এই লেখার কাজটাকে জব পোস্টিং বলা হয়েছে।
৫।Translation 

ট্রান্সলেশন মানে লোকাল ভাষায় পরিণত করা। এখানে মূলত বয়েস বা অডিও দেওয়া হয় যেগুলোকে ট্রান্সলেট করে কম্পিউটারের টাইপ করতে হয়।
 এগুলো ছাড়াও অন্য ভাষায় লেখা একটি ফাইল কিংবা বই দিতে পারে। সেগুলোকে ট্রান্সলেট করে কম্পিউটারে টাইপিং করতে হয়।
৬।Data Conversion

ডাটা কনভারসেশন হলো  যেকনো ডাটার ফরম্যাট বদলে দেওয়া হয়। যেমন ধরুন কোন এক ধরনের ফাইলকে ওয়ার্ড ফাইল এর মধ্যে কনভার্ট করা। মানে একটি ফাইলকে অন্য একটি ফাইলে ফরম্যাট করতে হবে।তাই এ বদলে দেওয়ার কাজকে ডাটা কনভার্সেশন বলা হয়।
৭।Database Conversation

এ কাজটি করার জন্য সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা রয়েছে। যাদের আগে থেকে ডাটাবেজ তৈরি করা থাকে। এই ডাটাবেজগুলো হয় যে ধরনের যেমনঃ ধরুন কোন এলাকায় কতটি বাড়ি রয়েছে, প্রতিটি বাড়িতে কতজন করে সদস্য রয়েছে ইত্যাদি জিনিস ডাটাবেজ করে রাখা হয়।আর এই ডাটাবেজ গুলোকে কম্পিউটারে টাইপিং করে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। এটাই হলো ডাটাবেজ কনভারসেশন এর কাজ।

আপনি চাইলে এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বিষয়ে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এই ইনকাম গুলো নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর। আপনি কত দ্রুত এবং কত নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারছেন এইটার উপরে আপনার ইনকাম নির্ভর করছে।

কত টাকা আয় করা যায়ঃ

সকলেই কোন কাজ করার আগে সেই কাজের ইনকাম কত, এ বিষয়টা আগে জেনে নেয়। এবং কম পরিশ্রমে বেশি ইনকাম কোন কাজে সে কাজটি বেছে নেয়। এখন প্রায় বেশিরভাগ মানুষই ডাটা এন্ট্রির  কাজ করে থাকে।এই কাজে যদি ভালো ইনকাম না হতো তাহলে সকলে এই কাজ করার আগ্রহ দেখাতো না। 

মূলত ডাটা এন্ট্রি ইনকাম নির্ভর করে আপনি প্রতিদিন কতটুকু কাজ করছেন। আপনি যত কাজ করবেন আপনার ইনকামও তত বেশি। যদি কোন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের মাসিক আয় হিসাব করা হয় তখন তার মাসে ৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। অনেকে এর বেশিও করে থাকে। এটা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা এবং আপনার সময়ের উপরে।

কি কি যোগ্যতা প্রয়োজনঃ

এই কাজটি করার জন্য বিশেষ কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। তবে কিছু জিনিস সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। যেন এ কাজগুলো সহজ করে করতে পারা যায়। এ কাজটি করতে হলে মূলত আপনাকে কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আবার সেই সঙ্গে সঙ্গে টাইপিং দ্রুত করার যোগ্যতা থাকতে হবে।

এই বিষয়ে যদি আপনি আপনার ক্যারিয়ার করতে চান তাহলে, আগে থেকে এই কাজটি করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন সেগুলো জেনে রাখা উচিত। যেন পরবর্তীতে কোন সমস্যায় পড়তে না হয়।
এসব সম্পর্কে জানা উচিত কারণ, এই যোগ্যতার উপরে আপনার চাকরি এবং আপনার বেতনটা নির্ভর করে। আপনি যত ভালো কাজ করতে পারবেন। আপনার বেতন ও ততটাই ভালো হবে।

১। ইংলিশ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন

 ইংলিশ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কারণ এর বেশিরভাগ কাজই হয় ইংলিশ এর মাধ্যমে। তা এ কাজটি করার আগে আপনাকে ইংলিশ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

২। দ্রুত টাইপিং স্কিল ও নির্ভুল টাইপিং

এ কাজটি করার জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যত তাড়াতাড়ি না দেখে টাইপিং করতে পারবেন, তত দ্রুত আপনি আপনার কাজ করতে পারবেন। তাই দ্রুত টাইপিং স্কিল টা অবশ্যই জরুরী।
চাকরিটা কিছুটা এই টাইপিং স্কিল এর উপরে কিন্তু নির্ভর করবে।

শুধু যে দ্রুত টাইপিং করলে হবে তা কিন্তু নয়। এর পাশাপাশি আপনাকে নির্ভুল টাইপের করতে হবে। ডাটা এন্ট্রির চাকরির টা নির্ভর করবে যে আপনি কতটুকু সঠিক কিংবা নির্ভুল কাজ করতে পেরেছেন।

৩। কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে

আপনি যে শুধু ভালো টাইপিং করলেন এবং নির্ভুল কাজ করতে পারলেই হবে না। কারণ শুধু টাইপিং জানলে চলবে না বরং আপনাকে কম্পিউটার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকা প্রয়োজন।এগুলো জানা থাকলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। এবং সহজেই কাজ করতে পারবেন। এগুলো জেনে রাখা উচিত কারণ। আপনার কাজ যত ভালো হবে আপনার ইনকাম তত বাড়তে থাকবে। তাই এগুলো জেনে রাখা উচিত।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই পরিবেশ শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। আশা করছি আপনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আজকের এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এ চাকরিটি যেকোনো ধরনের মানুষ করতে পারেন। যেমনঃ শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, গৃহিণী ইত্যাদি আরো অনেকে। তারা সকলে এই ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে তাদের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url