কাঠ বাদামের উপকারিতা - প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত

কাঠবাদাম ব্যবহার করা হয় রান্নার একটি উপাদান হিসেবে। বিরিয়ানি পোলাও কিংবা রোস্ট এর রান্নায় ব্যবহার করা হয় খাবার সুস্বাদু করার জন্য। কিন্তু এটি শুধু খাবার সুস্বাদু করে না। বরং এতে যে পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে। সেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূর করতে সাহায্য করে।

কাঠবাদাম একটি পুষ্টিকর উপাদান। যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম গাছের নাম এর বীজের আকার দেখে রাখা হয়। এই গাছের বীজগুলো পাকার পর এগুলো খাওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠে। এই বীজগুলো শরীর দেখতে কিছুটা কাঠের মত। আর এই কারনের মূলত এই বীজের নাম দেওয়া হয়েছে কাঠবাদাম। আর এ কাঠ বাদামের নাম অনুসারে গাছের নাম রাখা হয় কাঠ বাদাম গাছ।

 কাঠ বাদাম কেন খাওয়া প্রয়োজনঃ

কাঠবাদামের রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কার বাদামের বৈজ্ঞানিক নাম(Terminalia Catappa)।এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

কাঠ বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই, প্রোটিন ছাড়া আরো অনেক উপাদান। আমরা জানে ভিটামিন ই আমাদের চুলের জন্য কতটা উপকারী। আবার চুলের পাশাপাশি এটি হৃদরোগের সমস্যা দূর করে। আবার এটি রক্তের স্বল্পতা দূর করে। আবার এর পাশাপাশি ত্বকেরও বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।

 এতে থাকা পুষ্টিকর উপাদান গুলো, আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।কাঠবাদাম একটি উপকারী উপাদান। আর এইসব কারণে আমাদের  কাঠ বাদাম খাওয়া প্রয়োজন।

কাঠবাদামের উপকারিতাঃ

কাঠবাদাম কে বলা হয় পুষ্টির একটি বড় উৎস। বেঁচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান কোষ কে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এ কাঠবাদামের রয়েছে ভিটামিন ই এর একটি বড় উৎস। যা হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন কার্য কলাপের সাহায্য করে এবং একই সঙ্গে চুল পড়া বন্ধ করে। আমাদের দৈনিক যে পরিমাণ ভিটামিন এই প্রয়োজন, তার অর্ধেকাংশই পূরণ হয়ে যাবে এই কাঠবাদাম খাবার ফলে।

আবার কাঠ বাদামে রয়েছে ফাইবারেরও একটি ভালো উৎস। অনেকেই মনে করে কাঠ বাদাম খেলে ওজন বাড়তে পারে। কিন্তু এ ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ কাঠবাদামের যে ফাইবারের একটি ভালো উৎস রয়েছে তা ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে।

আমার এর কারনে পেট ভরা মনে হয়। ফলে খুদা কম লাগে। তাই যারা বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন। তারা খুব সহজে ডায়েট করতে পারবেন। শুধুমাত্র এই কাঠ বাদামের মাধ্যমে।

১। ওজন কমাতে সাহায্য করে

কাঠবাদাম বিভিন্ন পুষ্টিগণের অধিকারী। এর বিভিন্ন পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এতে রয়েছে ফাইবারের উৎ... আমরা সকলেই জানি ফাইবার আমাদের ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। ফাইবার উপাদানটি মানবদেহে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এর পাশাপাশি ফাইবার কারণে মানুষের পেট ভরা মনে হয়। ফলে অতিরিক্ত যে খাবারগুলো খাওয়া হত। সেগুলো আর খাওয়া পড়ে না ফলে ওজন খুব সহজে কমে যায়।

আমরা যখন ওজন কমানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিই। তখন তারা কিছু খাবারের তালিকা আমাদের দেয়। আর এর মধ্যে বেশিরভাগ খাবারই রয়েছে ফাইবার। এটি সারাদিন আর ক্যালরির পরিমাণও কমাতে সাহায্য করে। তাই কাঠবাদাম আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

২। রক্তের শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখে

আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের উৎস রয়েছে। এর কিছু ভালো আছো রয়েছে আবার এর কিছু খারাপ উৎস রয়েছে। বাদাম এই কোলেস্ট্রোলের খারাপ উৎসগুলোর মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। ফলে রক্তের শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩। রক্তচাপ কমায়

 কার্ড বাদাম আমাদের দেহের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান। কারণ এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে সাহায্য করে। কাঠ বাদামে যে ফসফরাসের উৎস রয়েছে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এই পুষ্টিকর উপাদান গুলো রক্তের ওঠানামাও নিয়ন্ত্রণ করে

৪। চুল পড়া কমায়

চুলের সমস্যার সমাধানের জন্য কাঠবাদাম অনেক উপকারে একটু উপাদান। এটি আমাদের চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের রয়েছে ভিটামিন ই এর একটি ভাল উৎস। সেসঙ্গে ভিটামিন ডিও রয়েছে। আপনারা অনেকেই দেখে থাকবেন চুল পড়া কমানোর জন্য অনেকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকেন। যা এ কাঠবাদামের প্রাকৃতিক ভাবে থাকে।যেটা চুল পরা কমাতে সাহায্য করে। আবার চুলের বিভিন্ন সমস্যার জন্য ডাক্টার ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওায়ার কথা বলেন 

 এছাড়াও যারা কাজে অনেক ব্যস্ত থাকেন। রোদে যাওয়ার সময় পান না। আমরা জানি আমরা সূর্য থেকে ভিটামিন ডি পাই এটি আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী। আবার এটার অভাবে আমাদের চুলের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কারণে ও ডাক্তার ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। যা এ কাঠ বাদামে প্রাকৃতিক ভাবে থাকে। আর এভাবেই কাঠ বাদাম চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৫। ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে সাহায্য করে

কাঠ  বাদাম শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কারণ এর মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে। শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস হয়। আর এভাবে কাঠ বাদাম ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে।

প্রতিদিন কত পরিমাণে আমাদের কাঠবাদাম খাওয়া উচিতঃ

প্রতিদিন যদি প্রায় ২৮ টার মতো কাঠবাদাম খাওয়া যায় তাহলে, আমাদের শরীরে যে পরিমাণ ভিটামিন ই এর প্রয়োজন হয়। তার ৫০% ভিটামিন এর পরিমাণ পূরণ করে দেয়।

প্রতিদিন সকালে ৪ থেকে ৫ টা কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কে বুদ্ধি বিকাশের জন্য অনেক কার্যকরী। এটা বেশি কার্য করে বাড়ন্ত শিশুদের জন্য।

দুপুরের খাওয়ার আগে ৪টা কাঠবাদাম খেলে, শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন নয় টা থেকে ১০ টাকা কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে , শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যা আমাদের সারাদিনের কাজ করা শক্তি যোগান দেয়। ফলে ক্লান্তি দূর হয়।

কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন কাঠবাদামের ক্ষতির দিক কি কি । আপনি যদি না জেনে থাকেন বাদামের ক্ষতির দিক গুলো কি কি তাহলে আজকের এই আর্টিকেল খুব মনোযোগ সহকারে করুন। কেননা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কাঠবাদামের ক্ষতির দিকগুলো। তাহলে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত আলোচনা। 

যদিও কাঠবাদাম অনেক পুষ্টিগুনে ভরা কিন্তু যাদের শরীরে এলার্জি আছে তাদের জন্য কাঠ বাদাম খাওয়া ঠিকনা। অতিরিক্ত কাঠবাদাম খেলে মুখের মধ্যে ব্রাশ বের হতে পারে এবং ঠোঁট জিহ্বার মধ্যে রেস বের হতে পারে। এবং যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি বারবার বমিও হতে পারে।

কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম

 প্রিয় পাঠক আমরা জানাবো খাবার নিয়ম কি। আপনি যদি জানতে চান কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম কি তাহলে আজকের পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেই কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম। আপনি প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম খেলে আপনার শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং এর মধ্যে থাকা নাগামিজ কপার ও ক্লাবে শরীরের শক্তি সঞ্চার করতে সাহায্য করে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করছি কাঠবাদাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। এবং আজকের আর্টিকেলটি আপনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আজকের এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পরের আর্টিকেলটি পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের আর্টিকেল যেখানে শেষ করছি।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url