সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু ২০২৪

অনেক দেশের মতো অস্ট্রেলিয়ার পড়ালেখার মান অনেক বেশি এক্ষেত্রে অনেক ছাত্ররা ছাত্রীরা অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রতি একটু বেশি আগ্রহ দেয়। তাই বাংলাদেশ সরকার এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের যৌথ আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর স্কলারশিপ এর মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার সুযোগ পাই। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সুবিধা পাবে। এখন আমরা জানবো অস্ট্রেলিয়াতে সরকারি ভাবে যাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন।

• পাঁচ বা দশ বছরের মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট
• অস্ট্রেলিয়ার ভিসা
• এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
• পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
• অস্ট্রেলিয়ার ভাষা জানা সার্টিফিকেট
• ব্যাংক স্টেটমেন্ট
• যে কাজের জন্য যাচ্ছেন সেই কাজের অনুমতি পত্র

আমরা এই আর্টিকেল থেকে কৃষি কাজের ভিসা নিয়ে  যাবতীয় বিষয় জানতে পারবো। বাংলাদেশ মূলত কৃষি প্রধানদের দেশ তাই এ দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া  কৃষি ভিসা দিয়ে থাকে সাধারণত অস্ট্রেলিয়াতে কৃষি কাজের বেতন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। অস্ট্রেলিয়াতে মূলত কৃষি ক্ষেতে কাজ করার জন্য প্রচুর কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে থাকে। অনেকের ফুলকপি বাগান আঙ্গুরের বাগান গবাদি পশুর খামার ইত্যাদি সেক্টরের নিয়োগ দিয়ে থাকে। 

এছাড়াও কৃষি ভিসা পেয়ে অনেকের হোটেল বা রেস্টুরেন্টে ক্লিনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।অস্ট্রেলিয়াতে যারা কৃষি কাজের জন্য ভিসা পেতে চান তাদের অস্ট্রেলিয়ার ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। কৃষি কাজ সম্পর্কে জানতে হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে এবং ব্যাংকের মোটামুটি লেনদেন থাকতে হবে। আর অস্ট্রেলিয়ার বেতন কাজের পাশাপাশি ওভারটাইম করলে আরো বেশি হবে এমনকি মাসে ৯০০০০ পরিবর্তে এক দুই লাখ টাকাও পেতে পারেন। অবশ্যই কাজে পারদর্শী হতে হবে।

এবং 5 বছর বা ১০ বছরের মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট থাকতে হবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে তবে আপনি ভিসা পেতে পারেন। এক্ষেত্রে লেবারের বেতন মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে থাকবে। তবে আপনার কাজের চাহিদা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। সাধারণত লেবারের কাজ হিসেবে ক্লিনার রেস্টুরেন্ট এ কাজ হয়ে থাকে। অনেক সময় রাস্তা পরিষ্কার কাজেও লেবারের চাহিদা দেখা দেয়। তবে অন্য বিষয় থেকে লেবার ভিসা পাওয়া খুব কঠিন লেবারের বেতন অস্ট্রেলিয়াতে 30 থেকে 50 হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ কত টাকা লাগে

আমরা এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবো অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ সালে যেতে কত টাকা লাগবে। সাধারণত দালালের মাধ্যমে গেলে অনেক টাকা প্রয়োজন হবে এবং কাজ পাওয়া বা না পাওয়া এটা অনির্দিষ্ট থেকে যায় কিন্তু সরকারিভাবে গেলে কাজের নির্দিষ্টতা থাকে এবং টাকা হারানোর কোন ভয় থাকে না। 

সাধারণত অস্ট্রেলিয়াতে সরকারিভাবে যেতে কাজের জন্য তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে। স্পন্সার খরচ ৩ লাখ টাকা , পাসপোর্ট করতে ৮ হাজার টাকা এবং ভিসা প্রসেসিং সহ ৩০০০০ টাকা খরচ হতে পারে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মেডিকেল টেস্ট বাবদ ৩০ হাজার টাকা সময়ের উপর নির্ভর করে বিমান ভাড়া। এই মোট খরচ অস্ট্রেলিয়া যেতে। 

আমরা আজকে এই আর্টিকেলে অস্ট্রেলিয়া কাজে বেতন সম্পর্কে জানবো। অনেকের একটি আশা অস্ট্রেলিয়া তে গিয়ে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। প্রথমে অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার কথা মনে আসলেই বেতনের কথাটা সবার সামনে আগে আসে। সাধারণত কাজ এবং সময়ের উপর নির্ভর করে বেতন নির্ধারণ করা হয়। যারা স্টুডেন্ট ভিসায় যায় তারা পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে এ ক্ষেত্রে তারা মাসিক ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। 

কৃষি ক্ষেত্রে গেলে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়াও ওভারটাইম কাজ করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায়। এ ক্ষেত্রে তাদের মাসিক ইনকাম দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে সাধারণত ফুড ডেলিভারির মাধ্যমে অনেকেই মাসিক দু তিন লাখ টাকা ইনকাম করে থাকে। এছাড়াও ভালো রাধুনীর চাহিদা অনেক বেশি একজন ভালো রাধুনীর মাসিক ইনকাম অস্ট্রেলিয়াতে পাঁচ লাখের মতো তবে এটি রেস্টুরেন্ট বা হোটেলের ওপর নির্ভর করে।

অস্ট্রেলিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৪

আশা করছি বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা অস্ট্রেলিয়ার ২০২৪ এ যাওয়ার যাবতীয় প্রসেস এবং খরচ সহ নানা খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারছেন আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে।