অযূর করার দোয়া সমূহ - অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ

অযূর করার দোয়া সমূহ প্রিয় পাঠক আপনি কি অযূর করার দোয়া সমূহ এবং অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনারা জানতে পারবেন অযূর করার দোয়া সমূহ এবং অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি ও জানতে পারবেন অযূর করার দোয়া সমূহ নিয়ে।
অযূর করার দোয়া সমূহ



সেই সাথে আপনি অযূর ফরয ও সুন্নাতসমূহ , অযূর মোস্তাহাবসমূহ এবং অযূর মাকরূহসমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন অযূর করার দোয়া সমূহ এবং অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ এ সম্পর্কে।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃ অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ।অযূর করার দোয়া সমূহ

উপস্থাপনা।অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ।অযূর করার দোয়া সমূহ

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় যা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি অযূর করার দোয়া সমূহ এবং অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ সম্পর্কিত সকল তথ্য।নামাজ প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য ফরজ।যদি কোন ব্যক্তি নামাজ আদায় মতো উপযুক্ত হয় তাহলে অবশ্যই তাকে নামাজ আদায় করতে হবে। তার জন্য জানতে হবে অযূর করার দোয়া সমূহ সম্পর্কে।
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক মানুষ রয়েছে যারা নামাজের থেকে কাজকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই আজকে আর্টিকেলে আমরা নামাজ পড়ার জন্য অযূর করার দোয়া সমূহ এবং অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ, কখন অযূ করা সুন্নত ও ওয়াজিব এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।নামাজ আদায় ও অযূ করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।

অযূ করার পদ্ধতি

অয়ূ করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না হয়ত। অযূ করা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত অঙ্গ। পবিত্রতা অর্জন করার জন্য অযূ করা হয়। কোন লোক ওযু করার পূর্বে লক্ষ্য রাখতে হবে তার ওপর গোসল খরচ কিনা আর নারীগণকে দেখতে হবে তারা পবিত্র কিনা অর্থাৎ তার হায়েয- নিফাছ থেকে মুক্ত কিনা? 
দি মহিলাগণ হায়েয- নিফাছ হতে মুক্ত থাকেন কিন্তু ভিন্ন কারণে গোসল ফরয হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে গোসলের কাজ সমাধা করে নিতে হবে। গোসলের স্থানে শুধু অযূ করলে গোসলের কাজ আদায় হবে না। যখন কোন ব্যক্তি পূর্ণরূপে আস্থাশীল হবে যে তার উপর গোসল ফরজ নয় এবং আল্লাহর ইবাদতের জন্য যথেষ্ট তখন সে কিবলামুখী হয়ে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম দোয়াটি পাঠ করবে।

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আতাওয়াজ্জাআ লিরাফয়ি'ল হাদাছি ওয়া ইস্তিবাহাতিছ্ ছালাতি ওয়া তাক্বাররুবান ইলাল্লাহি তা'আলা।
অর্থ: আমি অযূ নিয়ত করছি নাপাকি দূর করার জন্য বিশুদ্ধ রূপে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে এবং আল্লাহতালার নৈকট্য লাভের মানসে।
এভাবে নিয়ত করার পর প্রথমে ডান হাত ও পরবর্তীতে বাম হাতের কব্জি পর্যন্ত যথাক্রমে ধৌত করতে হবে তারপর গরগরা সাথে তিনবার কুলি করবে এরপর ডান হাত দিয়ে নাকে পানি দিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল ও কনিষ্ঠ আঙ্গুলদ্বয় নাসিকা ছিদ্রে প্রবেশ করে ভিতরে ভাগ তিনবার ধৌত করবে।
তারপর সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল অর্থাৎ ললাটের উপরিভাগের চুল ওঠার স্থান হতে তুতনির নীদ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি হতে ওপর গানের লতি পর্যন্ত এমন ভাবে তিনবার ধৌত করবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন মুখমন্ডলের কোন অংশ শুকনা না থাকে যাদের দাড়ি অত্যন্ত ঘন তারা দাড়ি খিলাল করে নিতে হবে এরপর উভয় হাতের কনিষ্ঠা অনামিকা এবং মধ্যমা এই তিন আঙ্গুল একত্র করে মাথার এক চতুর্থাংশ মাছেহ করতে হবে।

দুই হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দেয় উভয় কানের ছিদ্রে ঢুকিয়ে শাহাদত আঙ্গুলী দ্বারা কানের ভেতরের ভাঁজগুলো মাসেহ করে দুই বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা কানের পৃষ্ঠদেশ মাসেহ করবে। আর উভয় হাতের পিঠের দ্বারা ঘাড় মাসেহ করবে।

এরপর প্রথমে তিনবার টাকনো অর্থাৎ পায়ের ছোটগিরা সহ ধৌত করবে অনুরূপভাবে বাম পা তিনবার ধৌত করবে। বারবার ওযুর দ্বারা শরীর ধৌত করলে যেমন পবিত্র হয় তেমনি মন মানসিকতাও থাকে প্রফুল্ল এবং আনন্দিত। অজুর উপকারিতার ব্যাপারে মনীষীদের কথা হলো ইহা মানুষের শরীরের জন্য অপরিহার্য কাজ।

অযূর করার দোয়া সমূহ

অজু করার দোয়া সমূহ নিচে দেওয়া হল চলুন জেনে আসি ওযুর দোয়া সমূহ।
অযূর দু'আসমূহ
অযূর নিয়ত করার পর হাত ধোয়ার সময় এই দোয়া পড়তে হয় :
উচ্চারণ: বিছ্মিল্লাহিল আ'লিয়্যিল আ'জীম, ওয়াল হামদু লিল্লাহি আ'লা- দ্বীনিল ইসলাম, আল-ইসলামু হাক্ক্ককুন ওয়াল কুফরু বাতিলুন, আল-ইসলামু নূরুল ওয়াল কুফরু যুলমাতুন।
অর্থ: সর্ব মহান আল্লাহ তাআলার নামে শুরু করছি এবং যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য কেননা তিনি আমাকে ইসলামের ওপর রেখেছেন। ইসলাম হচ্ছে সত্য আর কুফারি হচ্ছে মিথ্যা ইসলাম জ্যোতিময় এবং কুফারি অন্ধকারচ্ছন্ন।
কুলি করার দু'আ :
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আয়ি'ন্নী আ'লা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুছনি ই'বাদাতিক ওয়া তিলাওয়াতি ক্বোরআন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে সাহায্য প্রদান কর। তোমার রিজিট করার তোমার শুকরিয়া আদায় করার এবং তোমার উত্তম ইবাদত গুলি আদায় করার এবং তোমার কুরআন পাঠ করার ব্যাপারে।
নাকে পানি দেয়ার দু'আ:
উচ্চারণ: আল্লাহুমা আরিহনী রায়িহাতাল জান্নাতি ওয়া আনতা মিন্নী রাযিন।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে বেহেশতের সুঘ্রাণ নেয়ার তৌফিক দান করো এমতাবস্থায় যে তুমি আমার উপর সন্তুষ্ট।
মুখমন্ডল ধোয়ার দোয়া:
উচ্চারণ : আল্লাহুন্মা বাইয়্যিয ওয়াজহী বিনূরিকা ইয়াওমা তাবাইয়াযযু উজূহু হাবীবিকা ওয়া লা -তুছাব্বিদ ওয়াজহী ইয়াওমা তুছাব্বিদু উজূহু আ'দা-ইকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার মুখমণ্ডল কে সেদিন শুভ্র করে দিও যেদিন তোমার প্রিয় বান্দা গানের মুখমন্ডলকে উজ্জ্বল করবে। আর সেদিন আমার মুখমণ্ডল কে কুৎসিৎ করে দেবে না যেদিন তোমার শত্রুদের মুখমণ্ডল কুৎসিৎ করে দেবে।
ডান হাত ধোয়ার দোয়া:
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আ'তিনী কিতাবী বিইয়ামিনী ওয়াহাছিবনী ছিসাবান ইয়াছীরা।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার আমলনামা আমার ডান হাতে প্রদান কর এবং আমার হিসাব নিকাশ সহজ করে দিও।
বাম হাত ধোয়ার দোয়া:
উচ্চারণ: আল্লাহুমা লাতগ'তিনী কিতাবী বিশিমালী ওয়ালা-মিন ওয়ারায়ি জাহরী।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার আমল নামা বাম হাতে এবং পশ্চাদে দিও না।
মাথা মাছেহ করার দোয়া:
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আযিল্লানী তাহতা যিল্লি 'আরশিকা ইয়াওমা লা যিল্লা ইল্লা যিল্লু 'আরশিকা'।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সেদিন তোমার আরশের ছায়ার নীচে ছায়াদান করো, যেদিন তোমার আরশের ছায়া ব্যতীত আর অন্য কোন ছায়া থাকবে না।
কান মাছেহ করার দোয়া:
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজ 'আলনী মিনাল্লাযীনা ইয়াছামাউ'নাল ক্বাওলা ফা- ইয়াত্তাবিউ'-না আহছানাহু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত জরুন যারা আপনার কথাকে শ্রবণ করে এবং তা যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে।
ঘাড় মাছেহ করার দোয়া:
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আ'তিক রাক্বাবাতী মিনাননারি।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।
ডান পা ধোয়ার দোয়া:
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ছাব্বিত ক্বাদামী 'আলাছছিরাতিল মুছতাক্বীম।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার পদযুগলকে সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত রেখো।
বাম পা ধোয়ার দোয়া:
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউ'যুবিকা আন তাযিল্লা ক্বাদামী ইয়াওমা তাযিল্লু আক্বদামুল মিনাফিকীন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ঐ দিবসের পদস্থলন থেকে নিষ্কৃতি কামনা করছি যেদিন মুনাফিকদের পদস্খলন ঘটবে।
অযূর শেষের দোয়া:
উচ্চরণ: আল্লাহুম্মাজ আ'লনী মিনাত তাওয়াবীনা ওয়াজআ'লনী মিনাল মুতাতহ্হিরীনাা ওয়াজআ'লনী মিন ই'বাদিকাছ ছালিহীনা ওয়াজ আ'লনী মিনাল্লাজীনা লা-খাওফুন আ'লাইহিম ওয়ালাহুম ইয়াহযানূন।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে অধিক তাওবাকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করো এবং যারা সর্বদাই পবিত্রতার মধ্যে লিপ্ত থাকে। তাদের মাঝে সামিল কর এবং আমাকে তোমার একজন সৎ বান্দা হিসেবে গণ্য করো আর আমাকে ওই সকল ব্যক্তিবর্গের অন্তর্ভুক্ত করো যাদের নেই কোন ভয় এবং নেই কোন দুঃখ।

অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ

অযূ নষ্ট হবার কারণসমূহ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই যে কি কাজগুলো করলে ওযু নষ্ট হয়ে যাবে চলুন জেনে আসি ওযু নষ্ট হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত
  • মুখ ভরে বমি হলে।
  • চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুমালে
  • প্রসাব বা পায়খানা করলে।
  • পায়খানা পথ দিয়ে বায়ু নির্গত হলে।
  • শরীরের কোন অংশ থেকে রক্ত বা পূঁজ বের হলে গড়িয়ে পড়লে।
  • জ্ঞান হারালে
  • পাগল বা মাতাল হলে
  • নামাজের মধ্যে উচ্চঃস্বরে হাসলে
  • গুহ্যদ্বার দিয়ে ক্রিমি বের হলে।
উপরোক্ত কারণগুলোর কারণে অযূ ভঙ্গ হতে পারে আপনার যদি অযূ ভঙ্গ হয়েছে কিনা জানার দরকার হয় তাহলে উপরের কারণগুলো পড়ে জেনে নিন অজু ভঙ্গ হওয়ার কারণ।

অযূর মোস্তাহাবসমূহ

  • অযূর মোস্তাহাব সমুহ অনেকেই জানেনা চলুন জেনে আসি অযূর মুস্তাহাব সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত কোন কোন কারণে অযূ মোস্তাহাব হয়।
  • অযূ করার সময় পশ্চিমমুখী হয়ে বসা
  • নিচুস্থান অপেক্ষা একটু উচাস্থানে বসা
  • ডানদিক হতে অযূ আরম্ভ করা
  • অযূতে অন্য কোন লোকের সাহায্য না নেওয়া
  • নামাজের সময় হওয়ার পূর্বে অযূ করা
  • অযূ নিয়ত করা
  • অযূ করার সময় কথা না বলা
  • বাম হাত দ্বারা নাসিকা পরিষ্কার করা
  • ঘাড় মাসেহ করা
  • অযূর অঙ্গ সমূহ ভালভাবে ধৌত করা
  • আংটি কিংবা গহনা নেড়েচেড়ে উক্ত স্থান ভিজিয়ে দেয়া
  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি খরচ না করে প্রয়োজন পরিমাণ পানি খরচ করা।
  • উভয় পা বাম হাত দ্বারা ধৌত করা।
  • অযূর উদ্ধৃত পানি থেকে সামান্য পরিমাণ পানি পান করা
  • অযূর শেষে দরূদ ও কালেমায়ে শাহাদাৎ পাঠ করা।
  • উপরোক্ত সকল বিষয়গুলো অযূ মোস্তাহাবসমূহ মেনে চলছে।

অযূর মাকরূহসমূহ

আপনারা কি ওজুর মাকরূহ সমূহ সম্পর্কে জানেন যারা অযূ করেন এবং ওযু মাকরূহ সম্পর্কে জানেন না তাদের অবশ্যই একবার জেনে রাখতে হবে অযূ করার মাকরূহ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত।
  • অযূ শুরু করার সময় বিসমিল্লাহ না বলা।
  • নাপাক স্থানে বসে ওযু করা।
  • নিয়ত না করা।
  • পায়খানা প্রস্রাবের বেগ নিয়ে অজু করা।
  • কুলি করার সময় গড়গড়া না করা।
  • বিনা ওযরে কুলি ও নাকে বাম হাত দিয়ে পানি দেওয়া
  • কোন অঙ্গ তিনবারের কম বা বেশী ধৌত করা।
  • একাধিকবার মাথা মাসেহ করা।
  • অধিক পানি খরচ করা।
  • অযূর কোন সুন্নত পরিত্যাগ করা।
  • ছতর খুলে অযূ করতে বসা।
  • অযূ করার সময় কথা-বার্তা বলা।
অযূ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোতে এমন জোরে পানি নিক্ষেপ করা যাতে নিজের বা অন্যের শরীরে লাগে।

অযূর ফরয ও সুন্নাতসমূহ

আপনারা কি জানেন অজুর ফরজ কয়টি? অযূ ফরজ হলো চারটি চলন জেনে আসে চারটি ফরয সম্পর্কে বিস্তারিত।
সম্পূর্ণ মুখ্যমন্ডল ভালোভাবে ধৌত করা অর্থাৎ লালাটের উপরিভাগের চুল গজানোর স্থান হাতে থুতনির নিউজ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি হতে ওপর কানের লতি পর্যন্ত ভালোভাবে ধৌত করা।
  • কনুইসহ দুই হাত ভালোভাবে ধৌত করা।
  • মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা।
  • দু' পায়ের ছোট গিরা সহ ধৌত করা।
অযূর সুন্নাতসমূহ :
  • বিছমিল্লাহ বলে অযূ আরম্ভ করা।
  • হাতের আঙ্গুলগুলো খেলাল করা।
  • উভয় হাতের কবজি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করা
  • মিসওয়াক করা
  • তিনবার কুলি করা
  • তিনবার নাকে পানি দেওয়া
  • সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল তিনবার ধৌত করা
  • উভয় হাতের কনুইসহ তিনবার ধৌত করা
  • সমস্ত মাথায় একবার মাসেহ করা
  • উভয় কান একবার মাসেহ করা
  • টাখনু সহ উভয়-পা তিনবার ধৌত করা
  • পায়ের আঙ্গুল গুলো খিলাল করার
  • নিয়ত করা
  • এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।
  • ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অযূ কার্যাদি সম্পন্ন করা।

অযূ ভঙ্গের কারণসমূহ

পবিত্রতা ইমান এর অঙ্গ। আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভ করতে হলে বান্দাকে অবশ্যই পাক পবিত্রতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা আল্লাহ নিজে পাক তিনি পবিত্রতাকে পছন্দ করে অপবিত্র সবকিছুকে তিনি ঘৃণা করেন অবশ্যই এ ধরনের প্রবিত্রতা দুই প্রকারের হতে পারে।
  • আত্মিক পবিত্রতা
  • বাহ্যিক পবিত্রতা।
মানব জীবনের অন্তরের পবিত্রতায় সবচেয়ে বড় ধরনের পবিত্রতা মনের পবিত্রতা ব্যতিরেকে পরকালে কল্যাণের আশা করতে পারে আর অন্তরার আত্মাকে পবিত্র রাখার সবচেয়ে বড় অবলম্বন হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর দৃঢ় ঈমান এনে তাদের নির্দেশিত কাজগুলোকে যথাযথ পালন করার জন্য নিজেকে সচেষ্ট রাখা। নিষেধগুলোকে সম্পূর্ণরূপে বর্জন করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া। চলুন জেনে আসি অযূ ভঙ্গের কারণসমূহ সম্পর্কে।
  • প্রসাব, পায়খানার রাস্তা দিয়ে মল, মূত্র, বায়ু, বীর্য, চির - ক্রিমি ইত্যাদি কোন কিছু বের হওয়া।
  • শরীরের কোন স্থান থেকে রক্ত পুজ দূষিত পানি গড়িয়ে পড়া।
  • দাঁতের মাড়ি হতে ওই পরিমাণ রক্ত বের হওয়া যাতে থুতুর বর্ণ লাল হওয়া যায় কিন্তু থুতুর বর্ণ পরিবর্তন না হলে অযূ নষ্ট হবে না।
  • মুখভরা বমি হওয়া। মুখভরে কফ উঠলে অযূ নষ্ট হয় না।
  • চিৎ বা কাত হয়ে বা কোন বস্তুতে ঠেস দিয়ে নিদ্রা যাওয়া।
  • উম্মাদ, মাতাল বা অন্য কারণে অচেতন হয়ে পড়া।
  • স্বামী - স্ত্রী পরস্পর কামোত্তেজনার সহকারে নগ্নদেহে মিলিত হওয়া।
  • যে নামযে রুকু সেজদা রয়েছে, তাতে বালেগ লোকের উচ্চঃস্বরে হাসা। এটায় অযূ এবং নামায উভয়ই নষ্ট হয়ে যায়।

কখন অযূ করা সুন্নত ও ওয়াজিব

অনেকেই জানেনা কখনো অজু করা সুন্নত ও কখনো ওযু করা ওয়াজিব আসলে কখনো অজু করা সুন্নতও ওয়াজিব এই সম্পর্কে যাদের জানা নেই তাদেরকে একবার হলেও জেনে রাখতে হবে কখনো অজু করা সুন্নত ও ওয়াজিব অযূ আমাদের পবিত্রতা এনে দেয়। পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ এবং এই পবিত্রতা আনতে হলে অযূ করতে হবে প্রতিটি মুমিন বান্দা।
কখন অযূ করা সুন্নত:
  • আযান দেওয়ার পূর্বে।
  • মসজিদে প্রবেশের পূর্বে।
  • বিধর্মীদেরকে ইসলামের দীক্ষিত করার পূর্বে।
  • মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার পূর্বে।
  • একাধিক অযূ করে ইবাদত করার পর অযূ থাকা অবস্থায় পুনরায় অযূ করা।
  • খাঁটি আলেমদের সাথে দেখা করার পূর্বে।
  • কোন পশু যবেহ করার পূর্বে।
কখনো অযূ করা ওয়াজিব :
  • পবিত্র কা'বা ঘর তাওয়াফ করার পূর্বে।
  • জানাজার নামাজ আদায় করার সময়।
  • পবিত্র কুরআন শরীফ স্পর্শ করা বা লেখার সময় ওযু করা ওয়াজিব।

শেষ কথা।অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহত।অযূর করার দোয়া সমূহ

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি অযূর করার দোয়া সমূহ এবং অযূ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে ইতিমধ্যে আপনি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে ও পড়তে যান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে রাখুন এবং ঘুরে আসুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url