নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী - ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে

নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী প্রিয় পাঠক আপনি কি নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী এবং ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনারা জানতে পারবেন নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী এবং ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি ও জানতে পারবেন নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী নিয়ে।
নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী

সেই সাথে আপনি নামাজরত অবস্থায় অজু ছুটে গেলে, বায়ু বের হলে কি ওযু ভাঙ্গে এবং বায়ু আটকে রেখে নামায পড়া যাবে কি সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী এবং ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে এ সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃনামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী।ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে

উপস্থাপনা।নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী।ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় যা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী এবং ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে সম্পর্কিত সকল তথ্য।নামাজ প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য ফরজ।যদি কোন ব্যক্তি নামাজ আদায় মতো উপযুক্ত হয় তাহলে অবশ্যই তাকে নামাজ আদায় করতে হবে।
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক মানুষ রয়েছে যারা নামাজের থেকে কাজকে বেশি গুরুত্ব দেয় ।তাই আজকে আর্টিকেলে আমরা নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী এবং ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে, নামাজরত অবস্থায় অজু ছুটে গেলে এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।নামাজ আদায় এর নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।

নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণীয়

আপনারা অনেকে আমাদের কাছে এই প্রশ্নটা করেছেন নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণীয় কি? প্রায় নামাজ সময় এমন ঘটনা অনেকের সাথে ঘটে থাকে। তাই আপনারা যারা জানেন না যে নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণীয় কি তাদের সাথে আজকে আলোচনা করে জানবো নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণীয়।
নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে নিম্নলিখিত করণীয় আরো বিস্তারিতভাবে নিম্নলিখিত হতে পারে:
  • অযু করা: অযু করার পরে নামাজের সঠিকভাবে পড়ার জন্য নিরাপদ হতে হবে। অযু করতে পানি অথবা মৃদু বস্তু (যেমন: মাটি, পাথর) ব্যবহার করতে পারেন।
  • তাওবা করা: অযু ভেঙ্গে গেলে মনের প্রস্তুতি করতে হবে এবং পূর্ববর্তী ভুলগুলি মানে নিতে হবে। এটি নামাজের পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য একটি মৌলিক পদক্ষেপ।
  • তাকবীর করা: নামাজের প্রথম রক'আতে তাকবীর করে নামাজ শুরু করা উচিত। তাকবীর পরে সাধারণভাবে নামাজ পড়া শুরু করা হয়।
  • নামাজ পড়া: সঠিক সিক্রেটেরিয়া মেনে নামাজ পড়া উচিত। এটি নামাজের সঠিকতা এবং প্রভাবগ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • তাসবীহ, দু'আ, সালাম দেওয়া: নামাজের শেষে সঠিকভাবে তাসবীহ পড়ে, দু'আ করে এবং সালাম দেওয়া উচিত। এই ধারণাগুলি মেনে নিলে নামাজের সমাপ্তিতে উপযুক্ত মুহূর্ত ঘটে।
নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে নিম্নলিখিত করণীয় অনুসরণ করতে হবে:
  • প্রথমে অযু করতে হবে।
  • অযু করার পরে পুনরায় নামাজের মাধ্যমে তাওবা করতে হবে এবং ইহসান করতে হবে।
  • একটি গরম পানীয় ধারণ করা যায়, যাতে শরীর পরিষ্কার হয়ে নামাজের পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
  • আগের অযু করার পরে অযু না করে নামাজ পড়া সঠিক হবে না।
  • উপরের ধারণাগুলি অনুসরণ করে অযু ভেঙ্গে গেলে পুনরায় নামাজের প্রস্তুতি করা যেতে পারে। আপনারা এভাবে অযু ভেঙ্গে যাওয়া পর উপরোক্ত কাজগুলো করবেন।

ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে

নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এক হাদীসে বলেছেন,' পবিত্রতা (অজু) ছাড়া নামাজ কবুল হয় না আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের (দান) সাদকা ও কবুল হয় না। '(তিরমিজি)পবিত্রতা অর্জনের পর আবার অপবিত্র হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন অবস্থায় মানুষ অপবিত্র হয় অনেক সময় নামাজ পড়তে গিয়ে প্রাকৃতিক কারণে ইমামের ওযু ভেঙ্গে যাওয়া বা ইমাম অসুস্থ হয়ে যাওয়া পুরো নামাজ শেষ করা তার পক্ষে সম্ভব হয় না।
এমন পরিস্থিতিতে ইলমে ফিকাহার গ্রন্থগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশন রয়েছে ইসলামের আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদেরব মতে, যদি ইমামের ওযু ভেঙ্গে যায় বা নামাজ পড়ানোর সময় ইমাম অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাহলে ইমামের দায়িত্ব হল তার পেছনে দাঁড়ানো ইমামতির যোগ্য এমন মাসবুক (যে কোন নামাজের ব্যক্তির রাকাত ছুটে গেছে এমন নন) এমন কোন ব্যক্তিকে তার স্থলাভিষিক্ত করা।

মুসল্লিদের নিয়ে বাকি নামাজ চালিয়ে যাবেন এরপর ইমাম অজু করে এসে বা সুস্থতা বোধ করলে নিজেই নিযুক্ত করা ইমামের ইকতেদা করে নামাজ শেষ করবেন।

নামাজরত অবস্থায় অজু ছুটে গেলে

আমরা অনেক সময় এই ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হয়ে পড়ি নামাজরত অবস্থায় অজু ছুটে গেলে সেই সময় কি করা উচিত। আসলে এটা একটি স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু যখন নামাজ পড়তে যায় তখন শয়তান আমাদের নামাজ ভুল করারা জন্য নানা ধরনের চেষ্টা করতে থাকে। যার কারণে নামাজরত অবস্থা অজু ছুটে গেলে কি করা উচিত চলুন জানতে পারবেন এবার।
নামাজের সময়ে অজু ছুটে গেলে কিছু করণীয় নিম্নে দেওয়া হতে পারে:
  • আমাদের মুক্তিদাতা, আল্লাহর দিকে তাকিয়ে দু'আ করুন: আপনি অজু ছুটে গেলে আপনি আল্লাহর কাছে তাওবা করতে পারেন এবং তার কাছে মনোনিবেশ করতে পারেন।
  • নামাজের সময় পুনরায় পড়া: আপনি নামাজের সময়ে অজু ছুটে গেলে, পরবর্তীতে সময় পেতে পুনরায় নামাজ পড়তে পারেন।
  • আল্লাহর কাছে তাওবা করা: আপনি আল্লাহর কাছে তাওবা করতে পারেন এবং আপনার অপরাধটি পরিষ্কার করতে পারেন।
  • একাগ্রতা এবং সংকোচ বিবেক উন্নত করা: এই অপরাধটি পুনরায় প্রতি নামাজে অনুশীলন এবং একাগ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে।
  • স্বাধীনতা এবং নিজের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা: আপনি অজু ছুটে গেলে কেন এবং কীভাবে এটি ঘটেছে সে সম্পর্কে আত্মবিশ্লেষণ করতে পারেন এবং এই ধারণার প্রাথমিক অনুমান করতে পারেন।
  • পরামর্শ অনুগ্রহ করা: যদি প্রয়োজন হয় তাহলে মুসলিম আধিকারিক, আলোচনা সাথী, বা আলোচনা গোষ্ঠীতে আপনার অবস্থার বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।
এই পরামর্শগুলি আপনার অজু সম্পর্কে সাহায্য করতে পারে। তবে, সময়ের সাথে এই পরামর্শগুলি বিবেচনা করুন এবং যথাযথ নির্ণয় নিন।

বায়ু বের হলে কি ওযু ভাঙ্গে

আপনারা যখন নামাজ পড়তে বসেন তখন কিন্তু এরকম সমস্যা সম্মুখীন হতে দেখা যায়। বায়ু বের হলে কি ওযু ভাঙ্গে জানতে চান। আসলে পায়ুপথ দিয়ে যে বায়ু বের হয় ওটা অপবিত্র যার ফলে সেটা বের হলে অজু নষ্ট হয়ে যাবে। কারো যদি পায়ুপথ দিয়ে বায়ু বের হয় তাহলে তার ওযু নষ্ট হয়ে যায়। আপনাদের নামাজ সময় সর্তক থাকা দরকার কারণ সেই সময় যদি কোন ভাবে অল্প পরিমাণ বায়ু পায়ুপথ দিয়ে বের হয় তবে ওযু ভেঙ্গে যাবে।
তাই যারা মনে করেন ওযু ভাঙ্গে না তাদের জানতে হবে এবং পুনঃরায় ওযু করতে হবে। আবার ওযু করে নামাজ আদায় করতে হবে। পায়ুপথ ছাড়া অনেক সময় লজ্জাস্থান মনে হয় বায়ু বের হয় আসলে এটা কোন কিছু না মনের ধরণা আর লজ্জা স্থানে এমন কিছু হলে অযু ভাঙ্গে না।যদি কারো পশ্চাদদেশ থেকে বায়ু নির্গত হয় তাহলে ওযু বিনষ্ট হবে।

কেননা নবীজী (সাঃ) বলেন, ' নামাজ থেকে বের হবে না যে পর্যন্ত বায়ু বের হওয়ার আওয়াজ না শুনবে বা দুর্গন্ধ না পাবে কিন্তু এতে ইস্তেঞ্জা করা ওয়াজিব নয়।অর্থাৎ লজ্জাস্থান ধৌত করা আবশ্যক নয় কেননা এমন কিছু তো বের হয়নি জাদুত্ব করার দরকার হবে।
তাই বায়ু নির্গত হলে ওযু নষ্ট হবে এতে অজু করে পবিত্রতা হয় যথেষ্ট অর্থাৎ কুলি নাক যারা সহ মুখমণ্ডল ধৌত করবে কোনায়সহ দুই হাত ধৌত করবে কানসহ মাথা মাসেহ করবে এবং টাখনু পর্যন্ত দুই পা ধৌত করবে।

বায়ু আটকে রেখে নামায পড়া যাবে কি

বিভিন্ন সময়ে দেখাতেই দেয় যে পোষা পায়খানা ও বায়ুচাপ রেখে আমরা নামাজ আদায় করি এক্ষেত্রে অনেক ইমাম সাহেবও এমন করে থাকেন যা কোন ভাবে কাম্য নয় প্রসাব পায়খানা এবং বায়ু চাপ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরূহ। কেননা এতে নামাজের খুশবুু একাগ্রতা ভিন্ন হয় এবং পরিপূর্ণ তৃপ্তির সঙ্গে হৃদয় মন নির্দিষ্ট করে নামাজ আদায় হয় না।

তাই এসব চাপ থেকে মুক্ত হয়ে পুণ্য তৃতীয় স্থিরতা সঙ্গে নামাজ আদায় করা আমাদের কর্তব্য। হাদিস ও ফেকায়ের কিতাবে প্রসাব-পায়খানা ও বায়ুচাপ নিয়ে নামাজ আদায় করা নিষেধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন,' আমি হজরত মুহাম্মদ (সা:) কে বলতে শুনেছি যে, যখন নামাজে দাঁড়িয়ে যাই আর তোমাদের কারো প্রসাব পায়খানা প্রয়োজন দেখা দেয় সে যেন প্রথমে প্রয়োজন সেরে নেয়। (জামে তিরমিজি হাদিস ১৪২)
হজরত সাওবান রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তির জন্য হালাল নয় কারও গৃহাভ্যন্তরে অনুমতি ব্যতীত দৃষ্টিপাত করা। এবং কেউ যেন প্রস্রাব পায়খানা চাপ নিয়ে নামাজ না পড়ে। (জামে তিরমিজি হাদিস ৩৫৭)

আমি বিশ্বাস করলাম উপরোক্ত হাদিস ও বর্ণনার উপর ভিত্তি করে ইসলামিক স্কলাররা বলেছেন, প্রসাব পায়খানা এবং বায়ুচাপ নিয়ে নামাজ আরম্ভ করা মাকরূহ তাহরিমি। আর স্বাভাবিক অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর নামাজের মাঝে এমন চাপ সৃষ্টি হলে নামাজের পর্যাপ্ত ওয়াক্ত বাকি থাকা শর্তেও এই অবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাওয়া মাকরূহ। এ ধরনের ক্ষেত্রে নামাজ ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন শেষ করে পূর্ণচাপ মুক্ত হয়ে আবার নামাজ আদায় করা কর্তব্য।

ওযু নিয়ে সন্দেহ হলে কি করণীয়

আমরা ওযু করার পর কিন্তু আমাদের মনে অনেক সময় ওযু নিয়ে সন্দেহ কাজ করে। ওযু নিয়ে সন্দেহ হলে কি করণীয় তা সবার জেনে রাখা দরকার। অনেক সময় আমরা ওযু করার পর কিন্তু মনে সন্দেহ জাগে যে ওযু সঠিক ভাবে চড়েছে কিনা ওজন নিয়ম সঠিক আছে কি নয়। আপনি যদি সালাত আদায় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিপূর্ণভাবে পবিত্র হতে হবে তার মানে আপনাকে ওযু করতে হবে ওযু ছাড়া আপনার নামাজ আদায় হবে না।
ওযু নিয়ে সন্দেহ হলে নিম্নলিখিত কাজগুলো অনুসরণ করা উচিত:
  • পুনরায় ওযু করুন: যদি আপনি ওযু নিয়ে সন্দেহ করেন, তবে পুনরায় ওযু করুন। ওযু করার সময় আপনি যদি সন্দেহ করেন যে আপনি সম্পূর্ণ পরিষ্কারভাবে ওযু করেননি, তবে আবার ওযু করুন।
  • তাসবীহ পড়া: আপনি যদি ওযু নিয়ে সন্দেহ করেন, তবে একাধিক কোটি বার "সুবহানাল্লাহ" বা "অল্লাহু আকবার" পড়ে আপনার সন্দেহ দূর করতে পারেন।
  • তাওবা করা: আপনি যদি ওযু নিয়ে সন্দেহ করেন, তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে আপনার দোয়া করুন এবং মাফি চাওয়ার নিশ্চিত করুন।
  • আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস: আপনি যদি সঠিকভাবে ওযু করেন বলে মনে করেন, তবে আল্লাহর প্রতি আপনার বিশ্বাস বৃদ্ধি করুন এবং সন্দেহ থেকে মুক্তি পেতে তার কাছে প্রার্থনা করুন।
এই পদক্ষেপগুলি নিয়ে আপনি ওযু নিয়ে সন্দেহ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে, সন্দেহ থেকে মুক্তি পেতে না পেরে সবসময় ক্ষমা, পুনরায় ওযু করা এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস একটি মৌলিক ধার্মিক অংশ।

নামাজের মধ্যে পাদ আসলে কি করনীয়

আমরা যখন নামাজ আদায় করতে যাই সে সময় আমাদের নানা রকমের শারীরিক সমস্যা হতে পারে তার মধ্যে এমনই একটি সমস্যা নামাজের মধ্যে বাদ আসলে কি করনীয় এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছে। যদি নামাজের মধ্যে আপনার পাদ আসে কিন্তু গন্ধ না আসে অথবা শব্দ না হয় তাহলে নামাজ ছাড়ার কোন প্রয়োজন নাই আপনার নামাজ হয়ে যাবে।

আর যদি গন্ধ আসে অথবা শব্দ হয় তাহলে নামাজ ছেড়ে দিয়ে অজু করে আবার নতুন ভাবে নামাজ আদায় করতে হবে। অনেক সময়ে নামাজের মধ্যে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। জামাতে নামাজ পড়া অবস্থায় আপনার যদি পাদ আসে তাহলে তাৎক্ষণিক ওজুর জন্য বের হয়ে যেতে হবে না যদি সেটির কোন গন্ধ না বের হয় বা আওয়াজ না হয়।
আর যদি আওয়াজ হয় এবং গন্ধ বের হয় তাহলে আপনার অজু করে এসে আবার সালাত আদায় করতে হবে।সালমান ফারসী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কারো যদি নামাজে অযু ছুটে যায় তাহলে সে যেন বের হয়ে অযু করে আসে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫০)

অজু করে ফিরে এসে ইমামের সঙ্গে নামাজের যোগদান করবে ইমামের সালাম ফেরানোর পর সে উঠে দাঁড়িয়ে বাকি নামাজ যথারীতি আদায় করবে। ওযু করে ফিরে আসতে যদি ইমামের নামাজ শেষ হয়ে যায়। তবে সে একাকি অবশিষ্ট নামাজ আদায় করবে। তবে শর্ত হচ্ছে এই সময় কোন প্রকার কথা বলা যাবে না কথা বললে পড়বেন নামাজ আদায় করতে হবে।

বারবার ওযু ভেঙে গেলে করণীয়

যদি কোন ব্যক্তির বারবার ওযু ভেঙ্গে যায় তাহলে সে কি করবে এ সম্পর্কে অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করেছেন আসলে বারবার অজু ভেঙ্গে গেলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে এবং সেই কাজটি করতে হবে। নামাজের সময় পড়ার সময় ওযু ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা মাঝেমধ্যে সকলের সাথে ঘটে থাকে এ অবস্থায় নামাজীর করণীয় কি সে সম্পর্কে জানবো আজকে আমরা।
মাসআলা ১: যদি নামাজ পড়ার সময় কারো অজু ভেঙ্গে যায় এবং তিনি ইমাম হন তবে পেছনে দাঁড়ানো ইমামতির যোগ্য এক মাসবুক (জামাতে নামাজের কোনো রাকাত ছুটে গেছে এমন) নন এমন কোন ব্যক্তি তার স্থলভিষিক্ত করবেন ইমাম পেছনে ফিরে একজনকে ইশারা করে তার স্থলভিষিক্ত করবেন। তিনি নামাজ চালিয়ে যাবেন।

আর মুক্তাদী হলে বা একাকী নামাজ পড়লে কাউকে স্থলভিষিক্ত করার দরকার নেই। এরপর কারো সঙ্গে কোন কথা না বলে নামাজ ছেড়ে অজু করতে চলে আসবেন।অজু করে ফিরে এসে জামাতের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন এবং মুক্তাদী হিসেবে বাকি নামাজ আদায় করবেন। অজু করতে যাওয়ার সময় যে রাকাত গুলো ছুটে গেল তারপরে মাসবুক হিসেবে আদায় করবেন।

এক্ষেত্রে ইমাম হিসেবে যতটুকু নামাজ আদায় তিনি করে যেতেন তা আবার আদায় করতে হবে না এই পদ্ধতিকে আরবিতে বলে "বিনা"।
মাসআলা ২: এ মাসআলা আনিচ্ছাকৃত ওযু ভেঙ্গে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ইচ্ছাকৃত ওযু ভেঙ্গে ফেললে এমনভাবে যুক্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই অবশ্যই এভাবে আগের নামাজে যুক্ত না হয়ে নতুন করে পুরো নামাজ পড়াই উত্তম। কোন কোন আলিম বলেছেন একাকী নামাজরত ব্যক্তির এমন হলে তার জন্য অজু করে নতুনভাবে নামাজ পড়া উত্তম। তবে মুক্তাদিবা ইমামের জন্য নতুন ভাবে না পড়ে জামাতে যুক্ত হয়ে ফজিলত অর্জন করায় উত্তম।
মাসআলা ৩: ওযু করার পর একাকী নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি চাইলে অজুর স্থানে বা কি নামাজ শেষ করতে পারবেন চাইলে আগের স্থানে গিয়েও শেষ করতে পারবেন তবে মুক্তাদী অজু করে বা কি নামাজ আদায় করতে চাইলে তাকে অবশ্যই আগের স্থানে ফিরে গিয়ে জামাতে যুক্ত হতে হবে তবে ততক্ষণে জামাত শেষ হয়ে গেলে অথবা ওজুরিস্থান পর্যন্ত জামাতের মুসল্লী দালালি মুক্তাদি সেখানেও দাঁড়াতে পারবেন।
মাসআলা ৪: যদি ব্যক্তি অজু ভেঙ্গে গেছে মনে করে নামাজ ছেড়ে অজু করতে চলে যান এবং পরক্ষণে বুঝতে পারেন যে আসলে তার অজু ভাঙে নি তবে তিনি যদি মসজিদ থেকে বের না হন তবে বাকি নামাজ আদায় করতে পারবেন আর মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে তাকে নতুনভাবে নামাজ আদায় করতে হবে আর তিনি যদি ইমাম হন এবং কাউকে স্থলাভিষিক্ত করে যান। তবে প্রথমে ইমামের নামাজ ভেঙে যাবে।

শেষ মন্তব্যঃ নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী।ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি নামাজে অযু ভেঙ্গে গেলে করণী এবং ইমামের অজু নষ্ট হয়ে গেলে কি করবে সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে ইতিমধ্যে আপনি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে ও পড়তে যান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে রাখুন এবং ঘুরে আসুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url