কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট এর নাম

আরো একটি সিরাপ হচ্ছে ল্যাকটোলোজ(lactulose) এই ঔষধটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে আরো দুইটি অন্যতম ওষুধ হচ্ছে Duralax,Dulcolax এই সিরাপ দুটি ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে।তবে হ্যাঁ যেই ওষুধই সেবন করুন না কেন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যেকোন সিরাপ বা ওষুধ সেবন করবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা এটা ঘরেই খোঁজ নিলে দেখা যায় কারো না কারো কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে। আর এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকে আমরা জানতে চেয়ে থাকি দূর করার ঔষধের নাম। তাই আজকে আমরা জানাবো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট এর নাম। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কোন কোন ট্যাবলেট সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কিছু উল্লেখযোগ্য ট্যাবলেট গুলো হল :

এমিগো ট্যাবলেট (Emigo Tablet) এই ট্যাবলেটটি ৮ মিলিগ্রাম হয়ে থাকে। এই ওষুধটি কোষ্ঠকাঠির দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই ওষুধটি নির্দ্বিধায় সেবন করা যেতে পারে। তবে হ্যাঁ ওষুধটি সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্যাবলেট হচ্ছে ওনসেট ট্যাবলেট (Onset Tablet)এই ওষুধটিও ৮ মিলিগ্রাম। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের নাম গুলো হলো ডুলকোলাস (Dulcolax),(ডুরালাক্স(duralax), Bisacodyl,প্রভৃতি যে ঔষধি সেবন করুন না কেন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে স্থাপন করবেন অতিরিক্ত মাত্রায় কখনো ওষুধ সেবন করবেন না।

গর্ভ অবস্থা একজন মহিলার জন্য অনেক সেনসিটিভ একটা সময়। এ সময় ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। তাই চলুন জেনে নেওয়া যায় গর্ভ অবস্থায় কোন কোন সিরাপ খেলে গর্ভের সন্তান ভালো থাকে। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপ এর মধ্যে অন্যতম হলো picolax সিরাপ। এই সিরাপটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অনেক ভালো কাজ করে। lactolose ল্যাকটোলোজ সিরাপ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও ভালো কাজ করে। 

এই ওষুধটি সেবন করার ফলে ক্ষতি হয় না এবং শিশু নিরাপদ থাকে বলে ধরা হয়। lactihep সিরাপটিও গর্ভ অবস্থায় সেবন করতে পারেন। অ্যাভোলাক সিরাপটিও সেবন করতে পারেন এই সিরাপটি গর্ভ অবস্থায় সেবন করা যায় শিশু নিরাপদে থাকে। গর্ভাবস্থায় মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়া সিরাপটিও সেবন করতে পারেন। তবে হ্যাঁ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত মায়েদের ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপ বাংলাদেশ কি কি পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য বাংলাদেশে পাওয়া যায় ল্যাকটোলজ,ডুলকোলাক্স, ডুরালাক্স,মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়া , অ্যাভোলাক,লাকটিহিপ,পিকোলাক্স,এই সিরাপ গুলো বাংলাদেশের যেকোনো ফার্মেসিতে সহজেই পাওয়া যায়। এই সিরাপ গুলো সেবনে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেই নিরাময় পাওয়া যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক। যেসব কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় সেসব পেরিয়ে চলা উচিত তবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্যর ফলে শরীরে অনেক ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো নিয়মিত ফলো করা উচিত। কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসা করা হয় সে সম্বন্ধে বলা হলো।

১. খাবারের তালিকায় ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। যেমন যেসব খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁস আছে সেইসব খাবার প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। যেমন সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডাল, লাল আটা, লাল চালের মত গোটা শস্য দানা খেতে হবে তবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিরাময় পাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে থেকে রুচিত প্রতিদিন ৩০ গ্রাম ফাইবার সেবন করতে হবে। তবে খাবারের তালিকায় হুট করে ফাইবার যুক্ত করা উচিত নয়। হঠাৎ ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বাড়িয়ে ফেললে বায়ুর সমস্যা হতে পারে। এছাড়া পেট ফাঁপা তলপেটে তীব্র ব্যথা সহ নানান ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই খাবার তালিকায় পরিমাণ অল্প অল্প করে বাড়াতে হবে।

২.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘরোয়া ঔষধ হচ্ছে ইসুবগুলের ভুষি। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সবগুলের ভুষি সেবন করতে পারেন। ইসবগুলের ভুষি একটি চমৎকার ঘরোয়া ঔষধি। এতে প্রচুর পরিমাণে সাইবার রয়েছে। ঘুসি করতে ও ধারণ করার মাধ্যমে মল ওই যে নরম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। সাধারণত ইসবগুলের ভুষি সেবন করার কথা বাপ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এটি নির্দিষ্ট কোন আছে বলে মানুষের অজানা। তাই চলুন ইসবগুলের ভুষি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নি। ভুসি খেলে সারাদিনই অন্তত ২ লিটার পানি পান করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

৩.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার আরো একটি উপায় হচ্ছে দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে। এছাড়াও খাবার প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে থাকে। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা তাদের ফাইবারযুক্ত খাবারের বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিমাণও বাড়াতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার ও পানি সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে।

৪.কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিরাময় পাওয়ার জন্য কিছুক্ষণ ব্যায়াম ও পরিচর্যা করা উচিত। প্রতিদিন নিয়মিত পরিচর্যা বা হালকা ব্যায়াম করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। প্রতিদিন ব্যায়াম করে শরীর সচল থাকলে নরম করতে সাহায্য করে। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে নিয়ম করে ব্যায়াম করুন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাবেন।

৫.পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে না রাখা। পায়খানা চেপে রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা গুরুতর হতে থাকে। পায়খানা চেপে রাখার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে শরীরে।

৬.মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি করার ব্যবস্থা নিতে হবে। মন ভালো প্রশান্তিমূলক কাজ করতে পারেন। আপনি যদি ডিপ্রেশন কিংবা উদ্বিগ্নতা রোগে ভুগেন তাহলে সেই রোগের চিকিৎসা নিন। আপনার মানসিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য আস্তে আস্তে সেরে যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য লেকটিহেপ সিরাপ খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বাচ্চাদের জন্য এই সিরাপটি ব্যবহার করা যেতে পারে। লেক্টিহেপ সিরাপটিতে রয়েছে ল্যাক্টুলোজ এর মত গ্লুকোজ অনুর সমতুল্য যা গ্যালাক্টোজ এবং সার্বিটোল ধারণ করে। যা শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিরাময় সাহায্য করে। শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আরো একটি সিরাপ খাওয়ানো যায় যা হলো যাইফিল এই সিরাপটি বাচ্চাদের দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিরাময় দিতে সাহায্য করে।বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে মিল কম ম্যাগ্নেসিয়া এই সিরাপটিও খুব কার্যকরী।

ল্যাকটোলজ সিরাপের অনেক ধরনের বেঞ্চ রয়েছে এক এক কোম্পানির সিরাপের এক এক রকম প্রাইজ। হেলথ ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ১০০এমএল সিরাপ ১৪০ টাকা। এবং ২০০ এমএল সিরাপ এর দাম ২৫০ টাকা।

পোষ্টের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট এর নাম জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ।