ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় - প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয়

প্রিয় পাঠক আপনি যদি ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় - প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায়এবং প্রসবের ব্যথা না হলে করণীয় সেই সম্পর্কের। একজন গর্ভবতী মায়ের ডেলিভারি করানোর সময় স্বাভাবিক প্রসবের কি কি লক্ষণ ও ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় থাকতে পারে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক স্বাভাবিক প্রসবের লক্ষণ - প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয়।

স্বাভাবিক প্রসবের লক্ষণ - সবের ব্যথা না হলে কি করনীয়
অনেক গর্ভবতী মা সন্তান প্রসবের সময় স্বাভাবিক প্রসবের লক্ষণ বুঝতে পারেনা। আবার অনেকের সন্তান প্রসবের সময় তবে ব্যথা হয় না। লক্ষণ এবং ব্যথা না হওয়ার কারণ বা করণীয় কি জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক স্বাভাবিক প্রসবের লক্ষণ - প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় বিস্তারিত সহকারে।

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায়

আপনি যদি ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায়। অনেক দীর্ঘস্থায়ী এবং লম্বা একটি যাত্রা হল প্রেগনেন্সি। 

 শিশুর জন্মদান এবং প্রসবের মাধ্যমে এর যাত্রা শেষ হয়। বিশেষ করে প্রেগনেন্সির শেষের সপ্তাহগুলোতে মায়েরা লেবার পেইনের অপেক্ষায় থাকে। এবং প্রকৃতিক উপায়ে লেবার বা ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় আছে কিনা সেই সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করে। বর্তমানে কৃত্রিম পদ্ধতিতে ডেলিভারি পেইন উঠানোর অনেক উপায় রয়েছে।

তবে এক্ষেত্রে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে অপ্রয়োজনীয় কোন মেডিকেল হস্তক্ষেপের ফল একাধিক হস্তক্ষেপের সূত্রপাত সৃষ্টি করে। তাই যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপায়ে ডেলিভারি পেইন উঠানোর চেষ্টা করা উচিত। 

এক এক মায়ের ক্ষেত্রে একেক সময়ে ডেলিভারি পেন উঠতে পারে তার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন-মায়ের শারীরিক গঠন, বাচ্চার ওজন ও আকৃতি, ইত্যাদি। স্বাভাবিকভাবে৩৯ সপ্তাহের পরে মেয়েরা লেবার পেইন বা ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় হিসেবে প্রস্তুতি নিতে পারেন।


এই সময়ে একজন মা ধীরে ধীরে ডেলিভারি পেইন এর জন্য তার শরীরকে প্রস্তুত করতে থাকে। ডেলিভারি পেইন উঠানোর জন্য কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো আপনার ডেলিভারি পেইন কে উঠানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। 

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা দেয় তলপেট শক্ত হয় বা ব্যাক পেইন করে। তবে প্রকৃতিক উপায়ে ডেলিভারি পেইন উঠানোর জন্য একজন মা নিজের মতো যে সকল ব্যায়ামগুলো করতে পারেন সেগুলো নিম্নরূপ। তবে এগুলো যে সবসময় কাজে দিবে এমনটাও নয়, তবে মেডিকেল সার্জারি এড়াতে প্রত্যেক মায়ের উচিত নিম্নোক্ত কাজগুলো করা-

নিয়মিত ব্যায়াম করা

প্রেগন্যান্সির প্রথম থেকেই প্রত্যেক মায়ের উচিত নিজের শরীরকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করা। এটি নরমাল ডেলিভারির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কমপক্ষে প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাটা উচিত। 

 নিয়মিত হাঁটার ফলে এটি আপনার সাহায্য করবে এবং আপনাকে চাপমুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও আরো যে ব্যায়ামগুলো করতে পারেন সেগুলো হলঃ-
  • বিভিন্ন ইয়োগা পোজ
  • বাটারফ্লাই পজিশন করা
  • স্কোয়াট
  • পেলভিকের বিভিন্ন ব্যায়াম। ইত্যাদি।

ফিজিক্যাল ইন্টিমেসি বা সহবাস করা

অনেকেই অবাক হবেন যে,ডেলিভারি টাইমে ফিজিক্যাল ইন্টিমেসিভ বা সহবাস কি করে নরমাল ডেলিভারিতে সাহায্য করে। এটি মূলত প্রকৃতিক উপায়ে লেবার পেইন বা ডেলিভারি পেইন তুলতে অনেক ক্ষেত্রে নিরময় পদ্ধতি হিসেবে কাজে লাগে। 

 এছাড়াও এটি আপনাকে মানসিক চাপমুক্ত রাখে। ফিজিক্যাল ইন্টিমেসের ফলে যৌনক্রিয়া অনেক সময় অক্সিটোসিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা প্রকৃতিক ডেলিভারি পেন উঠানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


এছাড়াও ছেলেদের স্পার্মে পোস্টাগ্লান্ডিন নামক এক ধরনের হরমোন রয়েছে যা সার্ভিক্স নরম করতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যখন মায়ের শরীর কেবলমাত্র লেবারের জন্য প্রস্তুত থাকবে তখনই এই কাজগুলো লেবার পেইনের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখবে। 

অন্যথায় এগুলো কোন কাজে আসবে না বরং অন্য যেকোনো সময় সহবাসের ফলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিয়মিত খেজুর খাওয়া

খেজুর মূলত শক্তিবর্ধক হিসেবে আমাদের শরীরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রেগনেন্সির প্রথম থেকেই নিয়মিত খেজুর খাওয়া উচিত। তবে বিশেষ করে প্রেগন্যান্সির শেষের সপ্তাহে নিয়মিত খাবারে খেজুর রাখা উচিত এটি আপনার জরায়ু মুখে নরম করতে এবং জরায়ু মুখ খুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে গবেষণায় দেখা গিয়েছে।

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা

গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্যাস্টর অয়েল এর ব্যবহার পোস্টারগ্লান্ডিন  নিঃসরণ করে ফলে এটি জরায়ু মুখ নরম করতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই এটি অভিজ্ঞ ডাক্তার কিংবা মিডওয়াইফের এর দ্বারা করানো উচিত। এক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হলে ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

আকুপেশর এবং আকুপাংচার করানো

শরীরের বেশ কিছু নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে যেগুলো আকুপ্রেশার বা আকুপাংচার এর মাধ্যমে মাসাজ করালে ডেলিভারি পেন উঠানো যায়। এরকম মাসাজ মায়ের শরীরকে রিল্যাক্স দেয় এবং প্রেগনেন্সির শেষের সপ্তাহ গুলোকে নানান রকম ব্যথার হাত থেকে মুক্তি দেয়। বিশেষ করে ৩৮ সপ্তাহের পরে এ ধরনের ব্যায়ামগুলো করানো উচিত। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন বাচ্চা যত বেশি মায়ের পেটে থাকবে তত বেশি ম্যাচিউর হবে।

নিপল স্টিমুলেশন করানো

নিপল স্টিমুলেশন করানোর ফলে মস্তিষ্ক অক্সিটোসিন নামক হরমোন রিলিজ করে যা ডেলিভারি পেইন উঠাতে সাহায্য করে। যেমনভাবে একজন মা বাচ্চাকে বেস্ট ফিডিং করাই সেইভাবে। একই পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর বেস্ট ফিডিং এর ফলে মায়ের শরীরে অক্সিজেন নিঃসরণ হয় যার কারণে জরায়ুকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।

ব্যথা ছাড়া নরমাল ডেলিভারি হওয়ার উপায়

আপনি ব্যাথা ছাড়া নরমাল ডেলিভারির উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। ব্যাথা ছাড়া নরমাল ডেলিভারি হওয়ার উপায় গুলো হলো মেসেজ ওয়াটার থেরাপি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এগুলো করলে আপনার ব্যাথা সারানোর নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সম্ভব হলে একটু হাঁটা চলাফেরা করলে আরো বেশি ভালো হয়।

স্বাভাবিক প্রসবের লক্ষণ

আপনি নিশ্চয়ই স্বাভাবিক প্রসবের লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন স্বাভাবিক প্রসব এর লক্ষণ কি সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক স্বাভাবিক প্রসবের লক্ষণ। 

৪০ সপ্তাহের পরে মায়েরা তাদের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। এগুলো মূলত প্রসবের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। তবে একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এসব লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম-

ডেলিভারি শুরু হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণঃ

  1. গর্ভের সন্তান কিছুটা নিচের দিকে নেমে আসা
  2. রক্ত মিস্ত্রিত স্রাব দেখা দেওয়া
  3. জরায়ু প্রসারিত ও পাতলা হয়ে যায়
  4. স্রাব এর সঙ্গে দলা নিশ্চিত হয়
  5. তলপেটে মৃদু টান টান অনুভব হয়

ডেলিভারি শুরু হওয়ার নিশ্চিত লক্ষণঃ

  1. পানি ভাঙ্গা
  2. পেটের তীব্র ব্যথা বা টান অনুভব হয়
  3. কোমরে প্রচুর ব্যথা ইত্যাদি।

প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয়

আপনি যদি প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। অনেকেই প্রসবের ব্যথা না হওয়ার কারণে দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন। তাদের জন্য এই পর্বটি। অনেক সময় অনেক কারণে ব্যথা নাও হতে পারে। 

 তবে ব্যথা না হলে আপনার কিছু করণীয় রয়েছে। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয়। ডেলিভারি বা পশুদের নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পরও যদি পসব ব্যথা না হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।


ডাক্তার আপনার গর্ভের বাচ্চার হৃদস্পন্দন, বাচ্চার অবস্থান এবং গর্ভের আকার সম্পর্কে বিস্তারিত পরীক্ষা করে দেখবেন এবং বাঁচার নড়াচড়া বিষয়ে আপনাকে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করবেন। এরকম অবস্থা যদি এক সপ্তাহ ধরে থাকে তবে কৃত্রিম উপায়ে ডেলিভারির পরামর্শ দিবে, আমিনিওটিক ফ্লয়েডের পরিমাণ দেখে এবং আরেকটা সাউন্ড এর মাধ্যমে বার্তার অবস্থান দেখে।

ফলস লেবার পেইন কতদিন হয়

ফলস লেবার পেইন কতদিন হয় জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কারণ আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব ফলস লেবার পেইন কতদিনের মধ্যে হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেই ফলস লেবার পেইন বা ব্ল্যাক্সটন হিক্স কনস্ট্রাকশন হল জরায়ুর অনিয়মিত সংকোচন। 

যা মূলত গর্ভাবস্থার মধ্যবর্তী কিংবা শেষের দিকে দেখা দিয়ে থাকে। সর্বকালীন সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে এই পেন তত বেশি বা ঘন ঘন হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় শেষের কয়েক সপ্তাহে এ ধরনের ব্যথা অনিয়মিতভাবে হতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই এটি মায়ের শরীরকে আসল প্রসবের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে।

জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ

প্রথম প্রথম অনেকেই জানেনা জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ কি। তবে এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একজন মায়ের জন্য। তাই আমাদের সকলের জরায়ু মুখ খোলার যেসব লক্ষণ রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে সচেতন এবং জেনে রাখতে হবে। তবে চলুন এই পর্বে জেনে নেওয়া যাক জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ কি। নিচে কিছু লক্ষণ দেওয়া হলঃ
  • পানি ভাঙ্গা
  • পেটের তীব্র ব্যথা বা টান অনুভব হয়
  • কোমরে প্রচুর ব্যথা।
  • গর্ভের সন্তান কিছুটা নিচের দিকে নেমে আসা
  • রক্ত মিস্ত্রিত স্রাব দেখা দেওয়া
  • জরায়ু প্রসারিত ও পাতলা হয়ে যায়
  • স্রাব এর সঙ্গে দলা নিশ্চিত হয়
  • তলপেটে মৃদু টান টান অনুভব হয়। ইত্যাদি।

কত সপ্তাহে বাচ্চা প্রসব হয়

একজন গর্ভবতী মায়ের বাচ্চা প্রসবের সময়কাল আমাদের সকলের জেনে রাখা প্রয়োজন। কেননা এই সময় গুলো একজন গর্ভবতী মায়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যারা প্রথমবারের মতো সন্তান প্রসব করবে তাদের এই সম্পর্কে ধারণা অনেক কম। কত সপ্তাহে বাচ্চা প্রসব হয় জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

 তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কত সপ্তাহে বাচ্চা প্রসব হয়। মায়ের সর্বশেষ রজঃ স্রাবের বা পিরিয়ডের সময় থেকে 40 সপ্তাহ সময় পর্যন্ত বাচ্চা প্রসবের সময় হিসেবে ধরা হয়। মাত্র 10 মাস 10 দিনে এই প্রক্রিয়াটি সমাপ্তি হয়। তবে বাচ্চা প্রসবের নির্ধারিত সময় হিসেবে ৩৮ সপ্তাহের সঙ্গে(+/-) ১৫ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

লেবার পেইন কেমন হয়

আপনি কি জানেন লেবার পেইন কেমন হয়। যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক লেবার পেইন কেমন হয়। গর্ভধারণের শেষের সপ্তাহের দিকে বিশেষ করে ৩৮ সপ্তাহের পরে মায়েরা তাদের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। এগুলো মূলত লেবার পেইন হিসেবে ধরা হয়।

লেবার পেইন শুরু হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণঃ

  1. গর্ভের সন্তান কিছুটা নিচের দিকে নেমে আসা
  2. রক্ত মিস্ত্রিত স্রাব দেখা দেওয়া
  3. জরায়ু প্রসারিত ও পাতলা হয়ে যায়
  4. স্রাব এর সঙ্গে দলা নিশ্চিত হয়
  5. তলপেটে মৃদু টান টান অনুভব হয়

লেবার পেইন শুরু হওয়ার নিশ্চিত লক্ষণঃ

  • পানি ভাঙ্গা
  • পেটের তীব্র ব্যথা বা টান অনুভব হয়
  • কোমরে প্রচুর ব্যথা ইত্যাদি।

লেবার পেইন কখন হয়

একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য লেবার পেইন সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা প্রয়োজন। কেননা গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের অনেক সতর্কভাবে থাকতে হয়। অনেক গর্ভবতী মা জানেনা লেবার পেইন কখন হয়। তবে প্রত্যকের গর্ভবতী অবস্থায় এই সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। 

কেননা যে কোন সময় বিপদ হতে পারে। তাই চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক লেবার পেইন কখন হয়। গর্ভাবস্থার শেষ দিকে বিশেষ করে ১-২ সপ্তাহ আগে লেবার পেইন হতে পারে।তবে বাচ্চা প্রসবের নির্ধারিত সময় হিসেবে ৩৮ সপ্তাহের সঙ্গে(+/-) ১৫ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আশা করি এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিয়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনার সাথে কি এতক্ষণে নিশ্চয় স্বাভাবিক প্রসবের লক্ষণ - প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আজকের এই পর্বটি সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url