ভালো আইপিএস চেনার উপায় - আইপিএস ব্যবহারের নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই ভালো আইপিএস চেনার উপায় জানতে চাচ্ছেন? আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিভাবে একটি ভালো আইপিএস চেনা যায় সেই সম্পর্কে। বর্তমানে আমরা অনেকেই আইপিএস ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কোন আই পি এস টি সবথেকে ভালো। তাই চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ভালো আইপিএস চেনার উপায় সম্পর্কে।

ভালো আইপিএস চেনার উপায়
বর্তমানে প্রায় অনেকেই আইপিএস ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু অনেক সময় আইপিএস না চেনার কারণে বাজার থেকে লো কোয়ালিটির আইপিএস কিনে থাকি। আইপিএস কেনার আগে আমাদের জানতে হবে বাজারের কোন আইপিএসটি সবথেকে ভালো। তাই চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই ভালো আইপিএস চেনার উপায়।

আইপিএস কি

বর্তমানে আইপিএস এর ব্যবহার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটা বাড়িতেই আইপিএস ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও আই বি এস এর ব্যবহার বিভিন্ন অফিসে বা স্কুল প্রতিষ্ঠানেও হয়ে থাকে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা মূলত আইপিএস কি। আইপিএস কি জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আইপিএস এর ব্যবহার এবং আইপিএস মূলত কি সেই সম্পর্কে। আইপিএস হচ্ছে ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সিস্টেম যা পাওয়ারের স্টোরেজ হিসেবে কাজ করে।


IPS অর্থ হলো( Instant Power System)। আইপিএস এমন একটি ডিভাইস যা বৈদ্যুতিক পাওয়ার সংগ্রহ করে রাখে এবং পরবর্তীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে আই পি এস ব্যাকআপ দিয়ে থাকে। 

এক কথায় বলা যায় আইপিএস হলো এমন একটি ডিভাইস যা বিদ্যুৎ চলে গেলেও কিছু সময় এর জন্য ইলেকট্রিক সকল যন্ত্রকে চালানো সম্ভব বা চালিয়ে থাকে।

আইপিএস সমস্যা

আপনি কি জানেন আইপিএস এর সমস্যা কত ধরনের হতে পারে। আইপিএস এর সমস্যা অনেক ধরনের হতে পারে। আপনি যদি আইপিএস সমস্যা সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আইপিএস সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত। 

আইপিএস ব্যবহারের ফলে অনেক সময় ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে আবার দেখা যায় আইপিএস এর চার্জ ঠিকমতো হতে চাই না। এমন সমস্যার সম্মুখীন আমরা প্রায়ই হয়ে থাকে। আই পি এস এর যদি চার্জিং সমস্যা হয়ে থাকে তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রথমে আপনাকে চেক করতে হবে আইপিএস এর চার্জারের কোন সমস্যা হয়েছে কিনা।


যদি চার্জারের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে চার্জার পরিবর্তন করতে হবে আর যদি আইপিএস এর কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কোন টেকনিশিয়ান দিয়ে দেখাতে হবে। তবে আইপিএস ব্যবহারকারীকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আইপিএসের ব্যাটারির দিকে। 

অনেকেই আইপিএস এর ব্যাটারি পানির পরিবর্তন না করে আইপিএস চালাতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে পানি পরিবর্তন করতে হবে।

আইপিএস এর হিসাব

আপনি যদি আইপিএস এর হিসাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আজকে আমরা আলোচনা করব আইপিএস হিসাব সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আইপিএস এর হিসাব। 

আপনি যদি আইপিএস এর ব্যাটারির সাইজ জানতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই আইপিএস এর ব্যাকআপ টাইম বের করতে পারবেন। তাহলে চলুন ব্যাটারির ব্যাকআপ টাইম এর হিসাব জেনে নেওয়া যাকঃ

প্রত্যেকটি ব্যাটারীতে স্পেসিফিকেশনে( AH) লেখা রয়েছে

মনে করুন একটি ব্যাটারির সাইজ হলো ( 200AH) এখন ব্যাটারির ( AH) সাথে 12 দিয়ে গুন করতে হবে।

১২*২০০= ২৪০০ ওয়েট। এখন ব্যাটারিতে মোট ২৪০০ ওয়েটের সঙ্গে .৮০ দিয়ে গুণ করতে হবে

২৪০০*০.৮০ = ১৯২০ সুতরাং ১৯২০ হলো ব্যাটারির টোটাল ব্যাকআপ ওয়েট।

এখন আপনি যদি ব্যাটারির টোটাল ব্যাকআপ টাইম বের করতে চান তাহলেঃ

মনে করুন আপনি ব্যাটারি দিয়ে

ফ্যান দুইটা ৭৫ ওয়াট =১৫০, লাইট ১৫ ওয়াটের দুইটি=৩০ ওয়াট মোট= ১৮০ ওয়াট

পূর্বে আমরা ২০০AH থেকে ১৯২০ ওয়াট পেয়েছিলাম সুতরাং ১৯২০ ভাগ ১৮০= ১০.৬ ঘন্টা ব্যাকআপ টাইম।

আইপিএস এর যত্ন

আইপিএস এর কিভাবে যত্ন দিবেন জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আলোচনা করব আইপিএস এর যত্ন কিভাবে নেব সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আইপিএস ভালো রাখতে আইপিএস এর যত্ন কিভাবে নেওয়া যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

 রোদ পরে অথবা বৃষ্টির পানি পরে এমন কোন স্থানে আইপিএস রাখা যাবে না। রান্নাঘর বা বারান্দায় আইপিএস বসানো যাবে না এমন স্থানে আইপিএস বসানো ঝুঁকিপূর্ণ। সবসময় শোয়ার ঘরে অথবা বাসার মধ্যে তুলনামূলক সব থেকে কম ঠান্ডা জায়গায় ও উঁচু স্থানে কোন জায়গায় আইপিএস রাখা উচিত।

 আপনার আইপিএস এর ব্যাটারি ভালো রাখতে এবং ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত করার জন্য ১৫ দিন বা একমাস পর পর ব্যাটারির পানি পরিবর্তন করতে হবে।

আইপিএস ব্যবহারের নিয়ম

আপনি নিশ্চয়ই আইপিএস ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব আইপিএস কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আইপিএস ব্যবহারের নিয়ম।
  • আইপিএস ব্যবহার করার জন্য বাড়ি বা ফ্লাটের ভোল্টেজ পরীক্ষা করে আইপিএস ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত ভোল্টেজ উঠানামার কারণে আইপিএস এর অনেক বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • ঝড় বা বজ্রপাতের সময় আইপিএস বন্ধ রাখায় উত্তম।
  • ব্যাটারির সঙ্গে আইপিএস এর সংযোগ পরীক্ষা করে নিতে হবে
  • ব্যাটারি এবং তারের সংযোগের মাঝখানে কার্বন জমা পড়তে পারে তাই মাঝে মাঝে খুলে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
  • ব্যাটারির চার্জ ভোল্টেজ ঠিক না থাকলে ব্যাটারির পানি শুকিয়ে যায়। তাই ব্যাটারীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ভালো আইপিএস চেনার উপায়

অনেকেই জানে না বাজারের কোন আইপিএসটি সবথেকে ভালো। আপনি যদি ভালো আইপিএস চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ভালো আইপিএস চেনার উপায়। 

আইপিএস কেনার আগে অবশ্যই ips এর ক্ষমতা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে এবং পূর্বে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে আইপিএস দিয়ে আপনি কোন ধরনের ডিভাইস বা কতটি ডিভাইস ব্যবহার করবেন। অনেকেই আইপিএস এর ব্যাটারির কত ঘন্টা যাবে বা কতটি ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে সম্পর্কে জানতে চায়। আই পি এস ব্যাটারি কত ঘন্টা ব্যাকআপ দিবে এবং কতটি ডিভাইস চলবে জানতে অবশ্যই আপনাকে সেই ব্যাটারির পাওয়ার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। 

 ভালো ব্যাটারি চেনার জন্য ওপরে আমরা আলোচনা করেছি। সেগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি ভালো ব্যাটারি এবং খারাপ ব্যাটারির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাবেন।

আইপিএস এর ব্যাটারিতে পানি দিতে হয় কেন

আপনি কি জানেন আইপিএস এর ব্যাটারিতে পানি দিতে হয় কেন? যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে করুন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে আসবেন আইপিএস ব্যাটারিতে পানি দেওয়া হয় কেন সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আইপিএস এর ব্যাটারিতে পানি দিতে হয় কেন।

 আইপিএস ব্যাটারিতে রয়েছে সালফিউরিক অ্যাসিড। আইপিএস এর মাধ্যমে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস যখন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সেই সময় ব্যাটারি গরম হয়ে ব্যাটারিতে থাকা পানি বাষ্পীভূত হয়ে পানির পরিমাপ কমে যায়। যার কারণে ব্যাটারিতে পানির পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য ব্যাটারীতে পানি দিতে হয়।

আইপিএস এর ব্যাটারিতে পানি দেওয়ার নিয়ম

আইপিএস এর ব্যাটারিতে পানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আইপিএস এর ব্যাটারিতে পানি দেওয়ার নিয়ম। নিচে আইপিএস ব্যাটারিতে পানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
  • ব্যাটারিতে পানি দেয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে আইপিএস এর সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। সংযোগ থাকা অবস্থায় যদি ব্যাটারিতে পানি প্রদান করতে চান তাহলে শর্ট সার্কিট হওয়ার সম্ভাবনা এবং ব্যাটারির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • ব্যাটারিতে কোন প্রকার সাধারণ পানি ব্যবহার করা যাবে না। ব্যাটারির পানির জন্য পাতিত বা ডিওনাইজড পানি ব্যবহার করতে হবে।
  • বর্তমানে অনেক ব্যাটারীতে কভার দেওয়া থাকে। ব্যাটারিতে যদি কভার দেওয়া থাকে তাহলে কভারটা সরিয়ে তারপর ব্যাটারিতে থাকা ক্যাপগুলো খুলে নিতে হবে। ক্যাপগুলো খুলে পানির পরিমাণ চেক করে পর্যায়ক্রমে ব্যাটারিতে ঢাকা ছয়টাকে গ্যাপ খুলে চেক করতে হবে।
  • আইপিএস ব্যাটারিতে সাধারণত দুটি লেভেল থাকে একটি লো লেভেল অন্যটি হলো আপার লেভেল। আপনার ব্যাটারিতে যদি লো লেভেলের পানির চলে আসে তাহলে ব্যাটারিতে পানি দিতে হবে।
  • ব্যাটারীতে পানি দেওয়ার পর ব্যাটারি ক্যাপ গুলো ভালোভাবে আটকাতে হবে।
  • সর্বশেষ আইপিএস এর সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ করে ব্যাটারির চার্জ করতে হবে।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই ভালো আইপিএস চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং 

আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এ ধরনের পোস্ট আরো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url