প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ

 আমাদের ব্যাক্তি জীবনে প্রয়োজন মেটানোর জন্য হাজার হাজার লোন নিয়ে থাকি।কিন্তু অনেকে আছে যারা এসব লোন বিষয়ে ভালো ধারণা নেই কিংবা সে ভালো সুবিধা পাবে কিনা তারপরও নিশ্চয়তা পাচ্ছে না। আবার কোন ব্যাংক থেকে লোন নিলে বা কোথা থেকে লোন নিলে সে উপকার পাবে সেটাও হয়তোবা সে নির্ধারণ করতে পারছে না। 

এরকম সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আমাদের লোন বিষয়ে। সব তথ্য জেনে রাখা উচিত। আজকে আমরা আলোচনা করব লোন বিষয়। তাই আজকের এই পর্বটি কোন অংশ বাদ দিবেন না। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন খুব কম ইন্টারেস্টে প্রধানমন্ত্রীর লোন সম্পর্কে।

লোন বিষয়ে কিছু আলোচনাঃ

আমরা লোন নিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়োজনের জন্য। অনেক সময় আমরা আমাদের নিজ উপার্জন টাকা দিয়ে ঠিকমতো চলতে পারে না কিংবা ব্যবসা করতে পারি না।তাই আমাদের লোনের প্রয়োজন হয় যেন আমরা  আমাদের পরিস্থিতিটা ঠিক করে সেই টাকা পরবর্তীতে আবার ফিরিয়ে দিতে পারি। এ লোন প্রক্রিয়াটার জন্যইআমাদের জীবনে অনেক বড় বড় সমস্যা  থেকে খুব সহজে বের হয়ে আসতে পারছি। 

প্রথমত আপনারা যদি কোন লোন নেন তাহলে আপনাদের অবশ্যই কোন ব্যাংক বা ফাইনান্স বা কুড়া প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিতে হবে। কারন আমরা যদি এসব ব্যাংক আইনেজ থেকে লোন নিয়ে থাকি তাহলে আমরা সুবিধা পেয়ে থাকি।আর আমরা যদি কোন ছোট প্রতিষ্ঠান কিংবা সমিতি থেকে লোন নিয়ে থাকে, তাহলে আমাদের যে পুরোপুরি সুবিধাটা পাওয়া দরকার সেটা আমরা পায় না।

হয়তো আবার বেশি ইন্টারেস্টের জন্য আমরা ঠিক সময়ে লোন দিতে না পারলে পারিবারিকভাবে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের সবকিছু দেখে নিয়ে লোন নিতে হবে। পরবর্তীতে কোন সমস্যা না পড়তে হয়। 

দ্বিতীয়ত লোন নিতে হলে ব্যাংকের গাইডলাইন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কারণ কি একেক ব্যাংক একেক ধরনের লোন দেয়।কারণেরও কিছু প্রকারভেদ আছে, যেমনঃপার্সোনাল লোন, হোম লোন, এডুকেশনাল লোন ইত্যাদি।

তাই আমাদের লোন সম্পর্কে সবকিছু জেনে লোন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এ এক ধরনের লোনে একেক ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। যেমনঃ এডুকেশনাল লোন।যে ব্যাংকে এডুকেশনাল লোন দেয় তাদের উদ্দেশ্যই হলো মানুষকে এডুকেট করে তোলা। তাই তারা কম ইন্টারেস্টে তাদের লোন দিয়ে থাকে। যেন সবাই শিক্ষার অধিকারটা পায়।

প্রধানমন্ত্রী লন বাংলাদেশ কি? 

ব্যবসায়ী এবং বেকারদের জন্য আরো সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রধানমন্ত্রীর লোন বাংলাদেশ একটি অন্যতম ভূমিকা রাখে। ব্যবসায় এবং বেকারার যেন তাদের প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করে তারা তাদের আর্থিক সংকট দূর করতে পারে।

মূলত প্রধানমন্ত্রীর জন্য বাংলাদেশ হল এমন একটি প্রথা যেখানে উৎপাদন মুখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহী করে তোলে এবং নতুন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য আর্থিক সাহায্য করে। এই ব্যবস্থায় যারা ছোট ব্যবসায়ীকে বা গরিব তাদের খুব কম ইন্টারেস্ট এর লোন দেওয়া হয়। 

যেন তারা তাদের আর্থিক কর্মকাণ্ডে আরো উৎসাহী হন এবং তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারে। তাদের খুব ইন্টারেস্ট দিতে হয় বলে তারা এখন কোন চিন্তা ছাড়াই খুব সহজেই লন নিতে পারছে। সরকারের ব্যবস্থাটি সত্যি খুব কার্যকর। এভাবে বাংলাদেশের অনেক গরীব মানুষই তাদের সেই প্রয়োজন মিটিয়ে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। তারা তাদের সন্তানদের সঠিকভাবে শিক্ষিত গড়ে তুলতে পারবেন । যে ব্যবস্থাটার জন্য অনেকই চিন্তামুক্ত হয়েছেন। 

লোনের প্রকারভেদঃ 

ব্যাংকের লোন ব্যবস্থা বিভিন্ন ধরনের। এক এক ব্যাংক একেক ধরনের লোন দেন। এ লোনের ও কিছু প্রকারভেদ আছে। যেমনঃপার্সোনাল লোন, হোম লোন,অটো লোন,এডুকেশনাল লোন, প্রবাসী লোন,কৃষি লোন ইত্যাদি। এভাবে একেক ধরনের ব্যাংক একেক ধরনের লোন দিয়ে থাকেন। লোনের প্রকারভেদ অনুসারে লোনার ইন্টারেস্ট আলাদা হয়। এখন আমার লোনের প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেই লোনের প্রকারভেদ।

পার্সোনাল লোনঃ

পার্সোনাল লোন হলো ব্যক্তিগত পর্যায়ের লোন নেওয়া। যেমন সে তার পরিবারের আর্থিক সমস্যা দূর করতে কিংবা ব্যবসা বাণিজ্যের কাজে লাগানোর জন্য যেসব লোন নেওয়া হয় সেগুলোকে পার্সোনাল লোন বলে। 

হোম লোনঃ 

অনেকে আছে যারা নতুন বাড়ি তৈরি করার জন্য লোন নিয়ে থাকেন। এধরনের লোন দেওয়া কে হোম লোন বলে। 

অটো লোনঃ

যারা নতুন গাড়ি যেমনঃমোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ইত্যাদি ক্রয় করার জন্য লোন নিয়ে থাকেন সাধারণত লোন নিয়ে থাকেন এ ধরনের লোনকে অটোলোন বলে। 

কৃষি লনঃ 

কৃষকেরা যারা চাষ করে উৎপাদন করতে চান এর জন্য যদি তারা লোন নিয়ে থাকেন তাহলে সে লনকে কৃষি লোন বলা হয়। মাঠে চাষবাসের জন্য যে লোন না হয় তাকে বলে।

প্রবাসী লোনঃ

যারা দেশের বাইরে কাজ করতে যেতে চান তাদের জন্য যে লোন দেওয়া হয় বা  তারা যদি লোন নেয় এ পর্যায়ের লোন কে বলা হয় প্রবাসী লোন। 

এডুকেশনাল লোনঃ

এ ধরনের লোন ব্যাংকের উদ্দেশ্যই হলো সকলকে শিক্ষিত করে তোলা। কারণ অনেকে আছে যারা তাদের টাকার সংকটের কারণে পড়াশোনা করতে পারে না। এবং তাদের জন্যই খুব কম ইন্টারেসে এই লোনগুলো দেওয়া থেকে যেন তারা স্বশিক্ষিত হতে পারে। আরে শিক্ষার কাজে যে লোন দেয়া হয় তাকে বলা হয় এডুকেশনাল লোন।

অনলাইন লনঃ

বর্তমানে বিজ্ঞানের দ্রুত  অগ্রগতির জন্য এখন লোন নেওয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে। ইরিন অ্যাপ এর মাধ্যমে কোন কাগজপত্র ছাড়াই খুব সহজে লোন পাওয়া যাচ্ছে তা আবার মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে। দশ হাজার থেকে তিন লাখ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানটি লোন দিয়ে থাকেন। ইউরিন অ্যাট দা ডাউনলোড করার পর জাতীয় পরিচয় পত্র ও আয়ের প্রমাণপত্র জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর অনলাইনে প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই শেষে লোন দেওয়া হবে। ৯% সুদে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এ ব্যাংক লোন দিয়ে থাকেন। 

শেষ কথাঃ 

এমন কিছু মানুষ আছে যারা শিক্ষিত কিন্তু চাকরি নেই। আবার টাকার জন্য তারা কোন ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছে না। এ পর্যায়ে তাদের লোন প্রয়োজন হয় কিন্তু, বেশি ইন্টারেস্টের কারণে অনেকের এ লোনটির টাকা ফেরত দিতে তাদের অনেক কষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি বিবেচনা করে, তাদের জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আর এই বিশেষ ব্যবস্থায় হল প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ। এখানে তারা খুব কম ইন্টারেস্টে সহজে লোন নিতে পারবেন। এবং এই লোনটি প্রার্থী তো তাদের কোন অসুবিধা হবে না। 

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url