৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত - বিতর নামাজের নিয়ম

৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত প্রিয় পাঠক আপনি কি ৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত এবং বিতর নামাজের নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।কেননা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি ৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত এবং বিতর নামাজের নিয়ম সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।

৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত

সেই সাথে আপনি বিতর নামাজ কত রাকাত ও সহিহ নিয়ম কোনটি , মহিলাদের বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম, এবং বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন ৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত এবং বিতর নামাজের নিয়ম সম্পর্কে।

উপস্থাপনা। ৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত।বিতর নামাজের নিয়ম

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয়ই থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত এবং বিতর নামাজের নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।সেই সাথে আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিব বেতের নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ এবং বিতর নামাজের নিয়ম।
আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা সে সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা আপনারা মনে মনে জানতে চেয়েছেন।আজকের আর্টিকেল আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন।তবে আপনিও ৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত এ নিয়মে সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারবেন।

৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত

আপনারা যদি তিন রাকাত বেতন নামাজ পড়তে চান এবং তিন রাকাত বেতের নামাজ পড়ার নিয়ত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন ৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত।
আরবি: نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْوِتْرِوَاجِبُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণ বাংলা: নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা'আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল বিতরে ওয়াজিবুল্লাহি তা'য়ালা মোতুয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।
অর্থ: আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে তিন রাকাত বিতর ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবার ।
বিতর নামাজের সময় হল এশার নামাজের পর থেকে নিয়ে ফজর উদিত হওয়ার আগ পর্যন্ত উক্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়। এই নামাজ আদায় করবে তবে শেষ রাত্রে অর্থাৎ ফজরের পূর্বে আদায় করা উত্তম সহি হাদিসেও প্রমাণিত হয়েছে।

বিতর নামাজের নিয়ম

যারা ফরজ নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত পড়ে থাকেন তারা অবশ্যই বিতরের নামাজের কথা জেনেছেন ভেতরের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেরই নানা রকমের ধারণা রয়েছে যে বেতরের নামাজটি কিভাবে পড়তে হয়। এশার নামাজের পরপরই এই নামাজ পড়া ওয়াজিব আর রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়ার পর জামাতবদ্ধভাবে ইমামের সাথে বেতর নামাজ পড়া যায়।

বেতর নামাজ পড়ার ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন , 'বেতরের নামাজ পড়া অবশ্য যে ব্যক্তির বেতর আদায় করবে না আমাদের জামায়াতের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। '(আবু দাউদ )বিতরের নামাজ অন্যান্য ফরজ নামাজের মতই দুই রাকাত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহুদ পড়তে হয়।
এরপর তৃতীয় রাকাত পড়ার জন্য উঠে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা বা আয়াত মিলানো পরবর্তীতে কি রাত সূরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর শেষ করে পর তাকবির বলে দুই হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাহারিমার মত হাত বাঁধতে হয়। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়া, দোয়া কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু সিজদাহর পর শেষ তাশাহুদ, দরূদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ সমাপ্ত করতে হয়।

সতর্কতা: তৃতীয় রাকাতে দোয়া কুনুত না পড়ে সিজদায় চলে গেলেন নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে সাহু সিজদা করলে চলবে। আবার ভুলে প্রথমবার দ্বিতীয় রাকাতে পড়লেও সাহস ইত্যাদি দিতে হবে। সুতরাং বিতরের নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ আল্লাহতালা মুসলিমকে নিয়মিত বিতরের নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুক আমিন।

এশার ৩ রাকাত বিতর নামাজের নিয়ত

বেতর শব্দটি আরবি অর্থ হচ্ছে বিজোড় এই নামাজ তিন রাকাত বিধায় এটাকে বেতর নামাজ বলা হয় কেউ কেউ ভেতরের নামাজ এক রাকাত পড়ে থাকেন এশার নামাজের পরপরই এই নামাজ পড়া ওয়াজিব আর রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়ার পর জামাতবদ্ধভাবে ইমামের সঙ্গে বেতর নামাজ পড়া যায়।এশার তিন রাকাত বেতন নামাজের নিয়ত সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন আমাদের কাছে। এশার ৩ রাকাত বেতন নামাজের নিয়ত নিতে দেওয়া হল :
এশার ৩ রাকাত বিতন নামাজের আরবি উচ্চারণ নিয়ত :
নাওইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা'লা সালাসা রাক'আতাই সালাতিল বেত্রে ওয়াজিবুল্লাহি তা'লা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।
বাংলা নিয়ত: তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।

বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া

বিতর নামাজ করার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে আপনারা কি জানেন বেতর নামাজ হচ্ছে বিজোর নামাজ এটি এশার নামাজের পর থেকে পড়া যায়। এশার নামাজের পরপরই এই নামাজ পড়া ওয়াজিব। আর রমজান মাসে তারাবি নামাজের পর জামাতবদ্ধ হয়ে ইমামের সঙ্গে বেতর নামাজ পড়া যায়।

বিতর নামাজ পড়ার সম্পর্কে আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ তাগিদ দিয়ে বলেন, বিতরের নামাজ পড়া আবশ্যক। যে ব্যক্তির ভেতর আদায় করবে না আমাদের জামাতের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। (আবু দাউদ)
এশার নামাজের পর অন্যান্য নামাজের ন্যায় বিতর নামাজ ফরজ নামাজের ন্যায় দুই রাকাত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহুদ পড়া। তারপর তৃতীয় রাকাতে পড়ার জন্য উঠে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোন সূরা বা আয়াত মিলানো।

কিরাআত( সূরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দুই হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবীরের তাহারি মার মত হাত বাঁধতে হয়। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু সিজদাহর পর শেষ তাশাহুদ দুরুদ দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে বেতরের নামাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
সতর্কতা: তৃতীয় রাকাতের দোয়া কুনুত না পড়ে সেটাই চলে গেলেন নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ এর পরে সাহু সিজদাহ করলেই চলবে আবার ভুলে প্রথমবার দ্বিতীয় রাকাতে দোয়া কুনুত পড়ে ফেললেও সাহু সিজদাহ দিতে হবে। সুতরাং বিতরের নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলিম উম্মাদের নিয়মিত বেতের নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুক আমিন।

বিতর নামাজ দোয়া: বিতর নামাজে আমাদের দোয়া কুনুত পড়তে হয়। এই দোয়া কোনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিতর নামাজের জন্য এইজন্য দোয়া কুনুত সবসময় মুখস্থ করে রাখতে হবে চলুন জেনে আসি বিতর নামাজের দোয়া।
দোয়া কুনুত আরবি:
 اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা ওয়া নাসতাগফিরুকা ওয়া নুমিনুবিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইরা ওয়া নাশকুরুকা ওয়া লা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ ওয়া নাতরুকু মাইয়্যাফঝুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা নাবুদু, ওয়া লাকা নিসাল্লি ওয়া নাসঝুদু, ওয়া ইলাইকা নাস আ ওয়া নাহফিদু, নারঝু রাহমাতাকা ও নাখশা আজাবাকা, ইন্না আজাবাকা বিল-কুফফারি মুলহিক্ব।

অর্থ: 'হে আল্লাহ! আমরা তোমার সাহায্য চাই তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। তোমার উপর ঈমান আনি। তোমার ওপরে ভরসা করি। আর তোমার প্রশংসা করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। অকৃতজ্ঞ হই না। যে তোমার নাফরমানি করে, আমরা তাকে ত্যাগ করি বর্জন করি।

হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমার জন্য নামাজ পড়ি এবং সেজদা করি। তোমারই দিকে ধাবিত হই এবং তোমারি অনুগত্য করি। তোমার রহমতের আশা রাখি আর তোমার আজব কে ভয় করি। নিশ্চয়ই তোমার আজাব কাফেরদের ধরে ফেলবে। '

মহিলাদের বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম

মহিলাদের বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে মহিলাদের বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম কি তাদের কি আলাদা কোন নিয়মে বেতনামাজ আদায় করতে হবে। বেতর নামাজের জামাত রমজান মাসে তারাবি নামাজের পর জামাতে বেতর নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব এটি পুরুষদের জন্য কিন্তু মহিলাদের জন্য বিতর নামাজ তারাবির নামাজ আদায় করার পরে বিতর নামাজ আদায় করতে হবে।

মহিলাদের একাকী অবস্থায় বিতর নামাজ আদায় করতে হবে। মাগরিবের তিন রাকাত নামাজের নিয়ম অনুযায়ী ফরজ বেতরের নামাজ ও একইভাবে আদায় করতে হবে পার্থক্য শুধু এখানে নিয়তের নিয়ত করার সময় ওয়াক্তের পরিবর্তে বিতর ব্যবহার করতে হবে এবং ফরজের পরিবর্তে ওয়াজিব ব্যবহার করা হয় দুটি উচ্চারণ করতে হবে আলাদা।
দুই রাকাত পড়ার পর প্রথম বৈঠকের পর দাঁড়িয়ে সুরা ফাতেহা এবং আরেকটি সূরা আল্লাহু আকবার বলে কান পর্যন্ত (মহিলাদের জন্য কাঁধ পর্যন্ত) উঠানো এবং আবার পুনরায় হাত বাঁধবে তারপর দোয়া কুনুত পাঠ করবে এবং রুকু করেন।

এভাবে দ্বিতীয় রাকাত পড়ার পর তাশাহুদ, দুরুদ এবং দোয়া মাসুরা পড়ে নামাজ শেষ করবেন। বেতর নামাজে তিন রাকাতের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার সাথে অন্য একটি সূরা পাঠ করা ওয়াজিব। এই নিয়ম অনুসারে মহিলারা বিতর নামাজ আদায় করতে পারবেন।

বিতর নামাজ কত রাকাত ও সহিহ নিয়ম কোনটি

বিতর নামাজ কত রাকাত ও সহীহ নিয়ম কোনটি এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাজ করে। অনেকেই বলে যে তিন রাকাত বিতর নামাজ আদায় করতে হয় কেউ আবার বলে এক রাকাত বিতর নামাজ আদায় করতে হয়। এই সকল প্রশ্ন নিয়ে নানা রকমের মনে দ্বিধা কাজ করে যে কিভাবে বিতর নামাজ পড়লে সঠিকভাবে বেতের নামাজ আদায় হবে।

হজরত ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.) বলেন,'বিতর নামাজ তিন রাকা। ইমাম শাফেঙ্গ (রহ.) এবং অন্যান্য ইমামদের মতে, এটি এক রাকাত। প্রকৃতপক্ষে মহানবী (সাঃ) সর্বদা তাহাজ্জুদের নামাজ জোড়ায় জোড়ায় আদায় করতেন অর্থাৎ দুই রাকাত চার রাকাত আট রাকাত তাৎপর তিন রাকাত এবং কখনো কখনো এক রাকাতে সাথে বিতর অর্থাৎ জোড়া ছাড়া ।

সুতরাং সাহাবীদের মধ্যে যে যা দেখেছেন তা বর্ণনা করেছেন আমাদের মাযহাবে বিতরের নামাজ তিন রাকাত। এক রাকাত নামাজ পড়লে বিতর হবে না।বিতর নামাজ সহিহ নিয়ম: হাদিস শরীফের বেতের নামাজ আদায়ের কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। তবে সেগুলো আরো কে বিভিন্ন মাজহাবে একাধিক পন্থায় বেতের নামাজ আদায়ের পদ্ধতি পরিলক্ষিত হয়। তবে হানাফি মাজহাবে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় চলুন জেনে আসে
বিতর নামাজ তিন রাকাত অন্য ফজরের মতো দুই রাকাত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহুদ পড়বে কিন্তু সালাম ফেরাবে না তারপর দ্বিতীয় রাকাত পড়ার জন্য উঠে সূরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা বা আয়াত মেলাবে। কিরাত (সূরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বললে দুই হাত কান পর্যন্ত উঠে তাকবীর তাহরিমার মত হাত বাড়বে তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়বেন।

দোয়া কুনুত পড়ে আগের মত রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতর নামাজ সমাপ্ত করবে।বিতরের নামাজের এই পদ্ধতি হাদিস থেকে সুপ্রমাণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত তাহাজ্জুদের করতেন এবং বিতর তিন রাকাত পড়তেন। তিন রাকাতে দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহুদের জন্য বলতেন কিন্তু সালাম ফিরাতেন না।

বেতের নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ

বেতের নামাজ পড়ার সময় অনেকেই মনে করে যে যারা বেতের নামাজ এক রাকাত পড়বে তারা কি নিয়ত পড়বে এবং যারা নামাজ তিন রাকাত পড়বে তারা কি আলাদা নিয়ত করবে এই নিয়ে অনেকের মনে নানা রকমের প্রশ্ন থাকে আসলে বেতের নাম আজ সাধারণত বেজোড় করতে হয় তবে আমাদের এইখানে কিন্তু বেতের নামাজ তিন রাকাতই আদায় করা হয়।চলুন জেনে আসি

বেতের নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ: নাওইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা'লা সালাসা রাক'আতাই সালাতিল বেত্রে ওয়াজিবুল্লাহি তা'লা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।
বাংলা নিয়ত: তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুমিন বান্দাকে সালাত আদায় করার তৌফিক দান করুক এবং সকলকে হেদায়েত দান করুক আল্লাহর দ্বীনের পথে চলার আমীন।

লেখকের মন্তব্য।৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত।বিতর নামাজের নিয়ম

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ করে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন ৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত এবং বিতর নামাজের নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হয়েছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
এছাড়াও আপনি যদি ইসলামি সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেল আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url