ক্রিপ্টোকারেন্সি কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নিন


ক্রিপ্টোকারেন্সি এই নামটার সঙ্গে আমরা এখন কম বেশি সবাই পরিচিত। যারা অনলাইনে কাজ করে তারা এই ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে জানে। মূলত এই ক্রিপ্টোকারেন্সি হল এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা। এই পোস্টটি পড়লে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি কি এই সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা পাবেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি

এই পোস্টটি পড়লে আমরা জানতে পারবো ক্রিপ্টোকারেন্সি কি, ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা, ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে কিভাবে আয় করা যায় এইসব বিষয়। চলুন তাহলে দেরি না করে নিচের পোস্ট সূচীপত্র গুলো দেখে নিন। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ক্রিপ্টোকারেন্সি কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।

ক্রিপ্টোকারেন্সি অর্থ।ক্রিপ্টোকারেন্সি কি

ক্রিপ্টোকারেন্সি হল একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা এনক্রিপশন এলগোরিদম ব্যবহার করে বেতনের একটি বিকল্প রূপ।এনক্রিপশন  প্রযুক্তির ব্যবহার মানে  ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলো মুদ্রা এবং ভার্চুয়াল একাউন্টিং সিস্টেম হিসেবে উভয়ই কাজ করে। সহজ করে বলতে গেলে  ক্রিপ্টোকারেন্সি হল এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা, যা ভার্চুয়াল বা অনলাইন জগতে ব্যবহার করা হয়।

ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি পরিচিত শব্দ যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের কাছে। এটি কোন দেশের রাষ্ট্র বা সরকার যোগান দেয় না ভার্চুয়াল জগতের বিভিন্ন জটিল সব অ্যালগরিদম ব্লগ এবং ক্রিপ্টো গ্রাফি অনুসরণ করে এক একটি কয়েন বানাতে হয়। আর এই কারেন্সি শুধুমাত্র ভার্চুয়াল দুনিয়াতে ব্যবহার করা হয়।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার

আপনারা আগের পর্বতে জেনেছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি কি। এই পর্বে আপনারা জানবেন ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার।প্রশ্ন যদি আসে ক্রিপ্টো কারেন্সি কত প্রকার তাহলে সহজ করে বলতে গেলে বলা যায় দুই প্রকার একটি হল কয়েন ও আরেকটি হলো টোকেন।ক্রিপ্টোকারেন্সি আরো প্রায় নয় ধরনের হয়েছে এগুলো হল ইউটিলিটি, এক্সচেঞ্, পেমেন্ট, সিকিউরিটি, স্টেবলকয়েন, ডিফাই টোকেন, এনএফটি, এবং এসেট।

ক্রিপ্টোকারেন্সি তালিকা

আজকে আমরা জানবো পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় যে কয়েন গুলো আছে তার তালিকা গুলো চলুন দেখে নেওয়া যাক পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় বিটকয়েনের তালিকা নিচে দেখে আসি।
  • বিটকয়েন
  • ইথোরিয়াম
  • লাইট কয়েন
  • ডগি কয়েন 
  • ড্যাশ(DASH)
  • মনিরো(XMR)
  • ফেয়ার কয়েন(FAIR)
  • প্রিয়ার কয়েন(PPC)
  • লহর(XRP)

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা

 ক্রিপ্টোগ্রাফিক পদ্ধতি যা কাউকে লেনদেন নিশ্চিত করার জন্য তৃতীয় পক্ষ যেমন সরকার বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনরকম প্রয়োজন ছাড়াই নিরাপদে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে এবং বিক্রি করতে বা বিনিয়োগ করতে দেয়।  ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের বিনিয়োগ হিসেবে কাজ করে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি অস্তিত্ব শুধু ইন্টারনেটে রয়েছে। এই কারেন্সি শুধুমাত্র অনলাইনে ব্যবহার উপযোগী। এই কারেন্সিতে বিনিয়োগ করে আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল

আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে এই কারেন্সি হল এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা। এই মুদ্রা কোন দেশের সরকার বা রাষ্ট্র উৎপাদন করেনি। তবে কিছু কিছু রাষ্ট্রের বৈধতা আছে বর্তমানে বাংলাদেশে এর বৈধতা এখনো দেওয়া হয়নি সুতরাং বাংলাদেশ এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা করা যাবে না। তাহলে এটি সরকার বিরোধী কাজ হবে। তবে এটি হালাল নাকি হারাম এটা আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। তবে না বুঝে না জেনে শুনে এই ব্যবসায় কোন রকম ইনভেস্ট করা যাবে না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় 

এই কারেন্সি থেকে আপনিও আয় করতে পারবেন। এই কারেন্সি থেকে আয় করতে হলে আপনাকে ঝুঁকি নিতে হবে, সঠিক জ্ঞান ছাড়া এই ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করা অনেক কঠিন কাজ। ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেট করা হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা হয় তার একটি প্রধান বিষয়। আমরা জানি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেটের দৈনিক গড় পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এক পারসেন্ট বর্তমানে এই কারেন্সির বাজারের প্রচুর অস্থিরতা বিদ্যমান। তাই স্বল্পমেয়াদ করার সম্ভাবনা রয়েছে যদিও এই মুহূর্তে ক্রিপ্টোর বাজার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই ছোট পরিসরে, সেখানে প্রচুর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি বাংলাদেশে বৈধ

যেহেতু বাংলাদেশে ডিজিটাল মুদ্রা বা বিটকয়েন সরকার অনুমোদিত না সেহেতু এই ভার্চুয়াল জগতের মুদ্রা বাংলাদেশ বৈধ না। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২৪ শে ডিসেম্বর ২০১৭ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় সেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না, বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই। সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেনের দ্বারা মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসের  সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এখানে ঝুঁকির পরিমান অনেক বেশি সেই কারণে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি আইন বাংলাদেশ

২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার এই ক্রিপ্টোকারেন্সি  বা বিটকয়েন কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এইরকম নিষিদ্ধ ঘোষণার তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরো কিছু দেশ আছে যেখানে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি  বা বিটকয়েন কে নিষিদ্ধ করা হয়। এরকম দেশের নাম আলজেরিয়া বলিভিয়া ইকুয়াডোর, মরক্কো, নেপাল ও মেসিডোনিয়া।

ক্রিপ্টোকারেন্সি বই

 যেহেতু এই ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের ফাইনান্স বা ডিজিটাল মুদ্রা এমনই ডিজিটাল মুদ্রা  জা খুবই উত্তেজনা পূর্ণ এবং দ্রুত বিকাসিত হওয়ার মাধ্যম যারা বই পড়ার মাধ্যমে ২০২৩ সালে সম্পর্কে জানতে চাই তাদের জন্য নিচে কয়েকটি বইয়ের তালিকা দেয়া হলো তারা এ সমস্ত বই চর্চা করলে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পাবেন।
  • অর্থের ইন্টারনেট
  • বিটকয়েন এবং ব্লকচেইনের মূল বিষয়গুলি
  • বিটকয়েন আয়ত্ত করা
  • দ্য বিজনেস ব্লকচেইন
  • ডামিদের জন্য ব্লকচেইন

ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ

বিশ্বের সর্বপ্রথম এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে দেশ তার নাম হচ্ছে এল সালভেদর। এই দেশে মার্কিন ডলারের পাশাপাশি বিটকয়েন কে একটি বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে লেনদেন করার স্বীকৃতি দিয়েছে। এই আইন করার ফলে এখন সে দেশে বিটকয়েন কে বৈধ মুদ্রা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

লেখকের মন্তব্য।ক্রিপ্টোকারেন্সি কি

সুপ্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি কি  -  ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা সম্পর্কে একটি ধারণা। এবং আরো জানতে পেরেছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ কোনটি। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাহলে আপনার এই শেয়ারের মাধ্যমে আপনার বন্ধু বন্ধ করেও জানতে পারবেন ক্রিপ্টোকারেন্সি কি  -  ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা সম্পর্কে ।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url