চোখে ঝাপসা দেখা দূর করার উপায়

আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে আপনি চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। আরো অনেক ধরনের কারণ রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নেই।

আপনি যদি চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে খুব দ্রুত আপনার চোখ পরীক্ষা করতে হবে। এগুলো হলো আপনার চোখের কোন অসুখের কারণ হতে পারে। আপনি যদি এই ছোট সমস্যাকে বেশি কিছু মনে না করেন তাহলে আপনার চোখে আস্তে আস্তে অনেক বড় ধরনের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। চোখে ঝাপসা দেখা এটাতে কোন ধরনের চোখ ব্যথা করে না এরকম ধরনের সমস্যা শুধুমাত্র একটি চোখে বুঝতে পারবেন। আপনার যদি একটি চোখে এরকম ধরনের সমস্যা দেয় তাহলে আপনার আই একটি চোখ আস্তে আস্তে ক্ষতির দিকে নিয়ে যাবে।

চোখে ঝাপসা দেখার কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন চোখের বিভিন্ন ধরনের রেটিনা রয়েছে সেগুলো অনেক ধরনের অসুখ হতে পারে আবার আপনার বয়স অনুযায়ী আপনার চোখে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই চোখে ঝাপসা দেখার কারণে কোন ধরনের ডাক্তার না দেখিয়ে বিশ্বের বারো শতাংশ মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। সভাপতি রাজভর্দন আজাদ এ চোখে ঝাপসা দেখার কারণে গণমাধ্যমকে বলেছেন যে এ এম ডি রোগ হল একটি প্রচলিত লক্ষণ যেই কারণে আপনি আপনার চোখে বিবৃতি আকারে দেখেন এবং আপনার দৃষ্টিতে কাল একটি বিন্দু দেখা যায় যা আপনার চোখে ঢেউয়ের মত দেখাতে পারে।

আপনি যদি আপনার চোখ পরীক্ষা করেন তারপরও এইরকম ধরনের রোগ গুলো আড়াল হয়ে যায় আপনি তখনই বুঝতে পারবেন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অর্থাৎ দৃষ্টি শক্তি হারাচ্ছে না ততক্ষণ বোঝা যায় না। এএমডি রোগটি আপনার দৃষ্টিশক্তি প্রতিরোধ করার মত কোন ক্ষমতা রাখতে পারেনা আর যারা চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছে তাদের চিকিৎসা করার জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

আপনার শরীরে যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে আপনি চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যায় ভুগতে পারেন তাই চোখে ঝাপসা দেখা দূর করার উপায় সম্পর্কে আমরা আরো বিস্তারিত জানবো। আপনি যদি খুব অল্প বয়সে চোখের ঝাপসা দেখেন তাহলে আপনার অবশ্যই আপনার চোখ পরীক্ষা করানো জরুরী কেননা এখান থেকে আপনার বড় ধরনের একটি সমস্যা দেখা দিবে।

আমরা ছোট বড় সবাই জানি যে চোখের সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হয়। ঔষধে যদি কোন কিছু না হয় তাহলে ডাক্তার চশমা নেওয়ার জন্য পরামর্শ করে থাকেন। তখন থেকেই আমাদের চোখে চশমা পরার প্রয়োজন হয় সেই ছোটবেলা হোক আর বড় বেলা হোক আমাদের সব সময় বাধ্যতামূলক চশমা না পড়লে আমরা চোখে ঝাপসা দেখতে তাই চলুন চোখে ঝাপসা দেখা দূর করার উপায় ও চোখে ঝাপসা দূর করার ড্রপ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই। চোখে ঝাপসা দূর করার ড্রপ উন্নত মানের হল আই ড্রপ।

এই ড্রপটি আমেরিকার ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তৈরি করেছেন। আমাদের এই ডিজিটাল যুগে যেমন উন্নত মানের হচ্ছে ঠিক তেমনি উন্নতমানের ঔষধ তৈরি হচ্ছে। এই ড্রপটির পূর্ণাঙ্গ নাম হলো ভিউটি। যারা ছোটবেলা থেকেই চশমা পড়ে বিরক্তবোধ মনে করেন এখন অথবা যাদের চশমা পড়তে ভালো লাগে না তাদের জন্য বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে ভিউটি ড্রপ টি অত্যন্ত কার্যকরী। বিউটি ড্রপটি সম্পর্কে আমরা একটু আলোচনা করি। ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অর্থাৎ এফ ডি এ চলতি বছরে ই ভিউটি ড্রপটি অনুদান দিয়েছেন।

আপনি যদি এ ড্রপটি একবার ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চোখে সর্বনিম্ন ৬ থেকে ১০ ঘন্টা আপনি সম্পূর্ণ স্পষ্টভাবে দেখতে পারবেন বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। এ ড্রপটি ব্যবহার করার জন্য ৭৫০ অথবা তারও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ ড্রপে যখন মানুষ ব্যবহার করছিল তখন তারা বলছিল আসলে এ ড্রপটি কার্যকারী। একজন ডক্টর রয়েছেন ওয়ার্নিং বলেন চোখের একটি পিউল আকৃতি রয়েছে সেটা যদি ছোট করতে পারে তাহলে অবশ্যই চোখের দৃষ্টিশক্তি অনেক বড় হবে ফলে অনেক স্বাভাবিকভাবেই তারা সবকিছু দেখতে পারবে এতে কোন ধরনের সমস্যা থাকে না।

কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে একদম সম্পূর্ণভাবে ভালো হবে তাহলে এই চিন্তা ধারণা ভাঙতে হবে কারণ আপনার যদি চোখের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আরাম পেয়ে যাবেন কিন্তু সম্পূর্ণভাবে চোখের সমস্যার থেকে মুক্তি পাবেন না। এ ড্রপটি সম্পূর্ণভাবে কার্যকরী হয় তখন যখন আপনার অল্প থেকে মাঝারি ভাবে অসুখটি যখন থাকে তখন ভালো কাজ করে। বৃদ্ধ বয়সে অর্থাৎ ৬৬ বছর পেরোলেই এই ওষুধটি সম্পূর্ণভাবে কাজ করে না। তবে চোখে ঝাপসা দূর করার জন্য এবং যাদের চশমা ব্যবহার করতে ইচ্ছুক না তারা ব্যবহার করতে পারেন।

বর্তমান যুগে আমরা চোখের সমস্যা নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই ভোগান্তির মুখে পড়ছি। এই সমস্যার সাধারণত বৃদ্ধ মানুষের বেশি হয়ে থাকে কিন্তু এখন ডিজিটাল যুগে অনেক ধরনের আলোকরশ্মি অর্থাৎ স্মার্ট মোবাইল টিভি এবং কম্পিউটার এ ধরনের প্রযুক্তি আসার কারণে অনেকে চোখের সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিচ্ছি। চলুন আমরা নিম্নে চোখে ঝাপসা দেখা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।

আপনার চোখে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি চশমা ব্যবহার অথবা ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি প্রাণায়াম এবং ইয়োগা ও নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে অনেকটা সমস্যা কমিয়ে আনা যায়। এগুলো ছাড়াও আপনি যেগুলো নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করবেন তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ

• বাসার টিভি, মোবাইল ও কম্পিউটার অর্থাৎ তেজস্ক্রিয় রশ্নি থেকে চোখের দূরত্ব বজায় রাখুন।
• শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে সমস্যা হয় এজন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত কচুর শাক, বৈশাখ, ধনিয়া পাতা, গাজর, এ ধরনের সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
• চোখের মধ্যে সব সময় পরিষ্কার করে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
• লিউটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ও বিটা ক্যারোটিন আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
• সবুজ শাকসবজি ও ডিমের সাদা অংশে লিউটিন রয়েছে।
• ফ্যাট জাতীয় খাবার, ধূমপান, মিষ্টি জাতীয় খাবার এগুলো চোখের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো থেকে বিরত থাকুন।
• প্রতিনিয়ত আরবিক ব্যায়াম করুন, এই ব্যায়াম চোখের জন্য খুব উপকারী।

আপনি যখন চোখে ঝাপসা দেখবেন তখন এটা খুবই কষ্টকর ও একটি রোগ। আমাদের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো চোখ। কারণ চোখের মাধ্যমে আমরা সবকিছু দেখে থাকি ও আমাদের শরীরে অনুভব করে থাকি। অনেক ধরনের কারণ রয়েছে সে কারণগুলোর জন্য আপনার চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হয়ে থাকে আবার আপনার যদি সর্দি কাশি এবং জ্বর অতিরিক্ত পরিমাণ হয় তাহলে আপনি চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। কিন্তু চোখে ঝাপসা দেখার কারণ হলেও এটা সুস্থ হলে ঠিক হয়ে যায়।

আপনি যদি প্রতিনিয়ত চোখে ঝাপসা দেখেন তাহলে অবশ্যই আপনার মনে করতে হবে যে আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি অর্থাৎ কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে, অতিরিক্ত বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে ও এ ধরনের সমস্যা আস্তে আস্তে শুরু হয়। থাকে তাহলে চোখে ঝাপসা দেখতে পারে।

আপনার চোখে যদি ছানি পরে তাহলে আপনি চোখে ঝাপসা দেখবেন। আমরা যদি একটি ক্যামেরার সাথে তুলনা করে থাকি তাহলে বোঝা যায় যে ক্যামেরা যে লেন্স রয়েছে সেটা যদি ঘোলাটে আগে দেখা যায় তাহলে আপনি যতই ক্যামেরা পরীক্ষা করেন না কেন আপনার ক্যামেরা ঘোলাটে দেখাবে ঠিক তেমনি আপনার চোখে যদি ছানি পরে তাহলে আপনার ঝাপসা দেখাবে এটা যদি আপনি অপারেশন না করেন তাহলে আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি হারাতে হবে।

আবার অনেকে মনে করেন যে ছানি যখন শক্ত হয়ে যাবে তখন অপারেশন করলে অনেক ভালো হবে কিন্তু এখন ডাক্তারের কাছে গেলে বলে যে সেটা ভালো না। চোখে ছানি পড়ার জন্য এখন আধুনিক যুগে একটি ফ্যাকো নামের অপারেশন করা হয় এ অপারেশন করার মাধ্যমে চোখে ছোট্ট একটি ছিদ্র করার পরে সে ছানি খেয়ে গলিয়ে নিয়ে আসা হয়। তাই ছানি শক্ত হওয়ার আগে এই অপারেশনটা করে নেওয়া ভালো।

আপনাকে যখন কোন একজন মানুষ এসে বলে যে আমি চোখে কম দেখি অথবা আপনি যদি চোখে কম দেখেন তাহলে আমরা অনেক ধরনের দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে থাকি। চশমা জনিত কোন কারণও হতে পারে অথবা আপনার অন্য কোন কারণের জন্য চোখের পাওয়ার কমে যেতে পারে। আপনি যদি এগুলো বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিলে আপনাকে পিনহল নামের একটি যন্ত্রের মাধ্যমে ফ্রেম দিয়ে আপনাকে দেখাবে আপনি যদি স্পষ্ট দেখতে পারেন তাহলে আপনার চোখের সমস্যা না আর যদি ঝাপসা দেখেন তাহলে আপনার চোখের সমস্যা রয়েছে বুঝতে পারবেন।

এছাড়াও আপনার চোখে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি পড়া, চোখের কর্নিয়াতে ঘা হওয়া এবং রেটিনার কোন সমস্যা থাকলে আপনি চোখে ঝাপসা দেখবেন। এভাবে আপনি চোখের পাওয়ার কমে যাওয়ার কারণ গুলো লক্ষণ বুঝতে পারবেন। উপরোক্ত আমরা চোখে ঝাপসা দেখা দূর করার উপায় সম্পর্কেও আলোচনা করেছি।

আপনি যদি চোখের সমস্যায় পড়েন অর্থাৎ চোখে ঝাপসা দেখা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই এয়ার টিকেট আপনার উপকারে আসবে। আমরা এই পোস্টে চোখে ঝাপসা দেখা দূর করার উপায় ও লক্ষণ এবং প্রতিকার সবকিছুই আলোচনা করেছি। আশা করি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগবে। এতক্ষণ এই পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।