কক্সবাজার হোটেল ভাড়া 2023 - কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

বাংলাদেশের একটি বড় এবং সবুজ ঘেরা বিভাগ চট্টগ্রাম। এটি বর্তমানে বাণিজ্যিক মূল কেন্দ্র ও রাজধানী  হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রামের পাহাড় সমুদ্র এবং উপত্যকায় ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষের মন মুগ্ধ করে। আর এ কারণে মূলত চট্টগ্রাম বিভাগটি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত বিভাগ। 

এটি বিখ্যাত হওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে সেটি হল বিখ্যাত জেলা কক্সবাজারের জন্য। চট্টগ্রাম মূলত সমুদ্র সৈকতের জন্য খুব বেশি বিখ্যত। আজকে আমরা আলোচনা করব কক্সবাজার বিখ্যাত হওয়ার কারণ - কক্সবাজার হোটেল ভাড়া ২০২৩ সম্পর্কে।

কক্সবাজার বিখ্যাত হওয়ার কারণঃ

চট্টগ্রাম মূলত বিখ্যাত সমুদ্র সৈকতের জন্য। চট্টগ্রামে অনেক গুলো সমুদ্র সৈকত রয়েছে কিন্তু, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত অন্যতম। কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর। এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের একটি জেলা। এটি কক্সবাজার তার নৈস্বর্গীক সৌন্দর্যের জন্য অনেক বিখ্যাত। যা ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তর মৎস্য বন্ধনর। এখানে আরো রয়েছে সাবমেরিন কেবল ইন স্টেশন।

কক্সবাজার সৈকত একটি মায়াবী ও রুপময় সৈকত। প্রতিদিন প্রতি সময়ে এই রূপ পরিবর্তন হতে থাকে। সকালে কক্সবাজারের দৃশ্য অন্যরকম এবং সন্ধ্যায় কক্সবাজার দৃশ্য অন্যরকম। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শী্‌ত ও বসন্ত প্রত্যেকটি ঋতুতে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ভিন্ন রকম। কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য অন্যতম।

কক্সবাজারের ইতিহাসঃ

 কক্সবাজার বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত। আমরা হয়তো এখনো অনেকেই জানিনা যে কক্সবাজার যে মূলত সৃষ্টি হয়েছিল কবে।  এর নামকরণে বা কে করেছিল। কক্সবাজার নৈস্বর্গীক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। তাই এ এলাকাটি পানোয়া নামে পরিচিত ছিল। যার অর্থ হলুদ ফুল।

 এর আরো একটি নাম রয়েছে সেটি হল পালঙ্কি। কক্সবাজারের এই অংশটি প্রথমে আরাকান রাজ্যের একটি অংশ ছিল। মুঘলরা এ অঞ্চল দখল করে। এরপর এ এলাকাটির দখল করে পূর্ত গির্জা। এ এলাকার নাম কক্সবাজার হওয়ার পেছনে রয়েছে ব্রিটিশদের হাত।১৭৭৩ সালের পরে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স একজন কর্মকর্তাকে কক্সবাজারের মহা কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেন।

 তিনি মারা যাওয়ার পর, তাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ওই এলাকাটির নাম হয়ে যায় কক্সবাজার। এখানে ১৭৯৯ সালে একটি বাজার নির্মাণ করা হয়। তখন এর নাম রাখা হয় কক্স সাহেবের বাজার। এ নামটি থেকে ধীরে ধীরে এলাকাটির নাম হয়ে যায় কক্সবাজার। ১৮৫৪ সালে এখানে একটি থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ১৮৬৯ সালে এখানে একটি পৌরসভায় পরিচিত হয়। এভাবে ধীরে ধীরে এলাকাতে বড় হতে থাকে।প্রতিবছর প্রায় ২৬ থেকে ৩০ লক্ষ পর্যটক এ কক্সবাজার দর্শন করতে আসেন।

হোটেলের ছবি



কক্সবাজার হোটেল ভাড়া ২০২৩ঃ

 কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের কাছে বহুল জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিবছর 26 থেকে 30 লক্ষ মানুষ এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসে। যারা হয়তো দূর থেকে আসে, তারা যদি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি অনেক ভালোভাবে দেখতে চান তাহলে তাদের তো নিশ্চয়ই হোটেল ভাড়া নিতে হবে। 

তাদের হয়তো খুব একটা ধারণা থাকে না সেখানে হোটেলে ভাড়ায়। আর যদি হোটেল ভাড়া সম্পর্কে তাদের জানা থাকে তাহলে তাদের বাজেট নিয়ে কোন সমস্যা হয় না। তাই আজকে জানবো কক্সবাজারের সাতটি হোটেল সম্পর্কে। তাহলে চলুন বিস্তারিত তথ্য।

১।Opera Ocean

এটি সুগন্ধা পয়েন্টে উপস্থিত। এ হোটেলের রুমের সংখ্যা ৩৩ টি। এখানে ডাবল বেড , একটি রুম এর ভাড়া ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে। এই হোটেলে লিফট এর ব্যবস্থা আছে। আর এ হোটেল ৩৩ টি রুমে এসি রুম।

২।Amari Resort

এই রিসোর্ট এর ভাড়া আগেরটি থেকে একটু কম। এর একটি রুমের সিঙ্গেল বেডে চাইলে আপনারা দুই থেকে তিনজন থাকতে পারেন। কিন্তু এসি নেই। তবে এ রুমের ভাড়া 700 থেকে 800 টাকা পর্যন্ত।

৩।Hotel Sams Plaza

এই হোটেলের মোট রুম সংখ্যা ৪০ টি। ডাবল বেডর 16 টি রুম। এর রুম গুলোর  ভাড়া 1000 থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।  এখানে কাপড় রুম দের ভাড়া হবে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে।

৪। Green Lodge Resort

এখানে আপনারা ৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত আপনার রুম পাবেন। এখানে এসি রুম, সিঙ্গেল রুম, ডাবল রুম , নন এসি রুম পাবেন।

৫।Sohagh Guest House

এটি বেশ বড় একটি হোটেল । এই হোটেলে কোন  লিফট নেই এবং রেস্টুরেন্টও নেই। এখানে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে চার হাজার টাকা পর্যন্ত হোটেল বুক করতে পারবেন।

৬।Hill Tower

এ হোটেলটিতে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই হোটেলের প্রত্যেকটি রুমে বেলকুনি রয়েছে। এই হোটেলে অফিসিয়াল প্রোগ্রামের জন্য জায়গায় রয়েছে। এ হোটেলে এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত রোম রয়েছে।

৭।Hotel Al- Safa Tower

এটি ছোট হোটেল। এইখানে আপনারা ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত রুম পাবেন। এই হোটেলে আপনার সব ধরনের রুম পাবেন যেমনঃ নন এসি রুম, এসি রুম, কাপল রুম, সিঙ্গেল রুম। 

আপনারা চাইলেই এই হোটেল গুলোর যেকোনো একটিতে থাকতে পারেন। কিন্তু একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, বিভিন্ন সময় অনুযায়ী হোটেল গুলোর ভাড়া বেড়ে যায়। সেই সময় গুলো খেয়াল রেখে আপনারা হোটেল বুক করতে পারেন। মূলত যখন পর্যটক বেশি হয় তখন ভাড়া বেড়ে যায়। আবার নির্দিষ্ট দিন যেমনঃ শুক্রবার, রবিবার। এই দিনগুলোতে হোটেল গুলোর ভাড়া একটু বেশি থাকে। তাই আপনারা সবকিছুর খোঁজখবর নিয়ে হোটেল বুক করবেন।

আগে থেকে আপনাদের একটি কথা জানিয়ে রাখি যে, অনলাইনে হোটেল বুক করা থেকে হোটেলগুলো নিজে যেয়ে দেখে বুক করা ভালো।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দৈর্ঘ্য কত

আপনি কি জানেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত কত দৈর্ঘ্য কিলোমিটার। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যেটি বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচত।

কক্সবাজার এর অপর নাম কি

আজকের পর্বে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কক্সবাজারের অপর নাম কি আপনি জেনে অবাক হবেন যে কক্সবাজারের অপর নাম হচ্ছে পালংকি।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই আর্টিকেলের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আজকের আর্টিকেল যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url