কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - আনাজি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

 কলা সকলের কাছে একটি পরিচিত ফল। প্রায় সকলের কলা খেতে পছন্দ করে। গলার সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে ও সাহায্য করে। কলা পাকা কিংবা কাঁচা দুটাই মানব দেহের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ পাকা কলা খেতে পছন্দ করে। 

কারন এটি শরীরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। তেমনি উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা রয়েছে। কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। যেন এর উপকারিতা গুলো আমার পেতে পারে আবার এ অপকারিতা সম্পর্কে আমরা সচেতন থাকতে পারে।

কলার পুষ্টিগুণঃ

কলা পুষ্টি গুন  সম্পন্ন একটি ফল। এর বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচাতেও সাহায্য করে। তাই সুস্থ শরীরের জন্য কলা খাওয়া অনেক উপকারে। চলুন তাহলে জেনে নেই কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

কলাতে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে

  • ফাইবার
  • ক্যালসিয়াম
  • ক্যালোরি
  • পটাশিয়াম
  • আইরন
  • প্রোটিন। সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে।

কলার উপকারিতাঃ

কলা আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি ফল। সকলের কম বেশি কলা খেতে পছন্দ করা একটি ফল। কলা যেমন একটি সুস্বাদু ফল। তেমনি এটি বিভিন্ন পুষ্টিগুনে ভরপুর। কলাতে থাকা এই পুষ্টিগুণ মানব দেহের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

কলা বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আবার দুর্বল দেহের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। তাই কলা খাওয়া আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী।

১। মানব দেহের শক্তি যোগায়

কলা মানব দেহে শক্তি যোগাতে অনেক সাহায্য করেন। এতে রয়েছে ক্যালোরি। এই ক্যালরি মূলত আমাদের দেহে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এমনকি যাদের শরীর দুর্বল তাদেরকেও চিকিৎসকেরা কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া যারা অনেক বড় বড় খেলোয়াড় তারাও শক্তি বাড়ানোর জন্য কলা খেয়ে থাকেন।

২। মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে

মানসিক চাপের সমস্যা নেইএমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন পৃথিবীতে। বর্তমানে সময়ে বলতে গেলে এই সমস্যার পরিমাণ আরও বেড়ে গেছে। কলাতে থাকা এক ধরনের এসিড মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। তাই মানসিক চাপের সমস্যা থেকে দূর মুক্তি পেতে হলে কলা খাওয়া ভালো।

৩। হাড়ের সমস্যা দূর করে

কলাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম এর একটি ভালো উৎস। সকলেই জানে যে ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য কত উপকারী। এটি হাড়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে যেমনঃ হাড়ে ব্যথা, হাড় ক্ষয় এর মত বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।

৪। ত্বকের যত্নে

কলা ত্বকের যত্ন ব্যবহার হয়। কলার খোসা ত্বকের কালো দাগ দূর করতে অনেক সাহায্য করে। তাই কলার খোসা ফেলে না দিয়ে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে চোখের নিচে কালো দাগ, ব্রন থেকে হওয়া কালো দাগ ইত্যাদি দূর হয়ে যায়।

৫। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

কলায় রয়েছে ফাইবার। ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। আবার এর পাশাপাশি খুদা কম করতে সাহায্য করে। তাই যাদের বেশি খাওয়ার অভ্যাস আছে কিন্তু ওজন কমাতে চান সে ক্ষেত্রে কলা অনেক উপকারী।

৬। রক্তস্বল্পতা দূর করে

কলায় রয়েছে আয়রন। আর আমরা সকলেই জানি আয়রন রক্তস্বল্পতা কমাতে অনেক সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তের স্বল্পতা রয়েছে তাদের নিয়মিত কলা খাওয়ালে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যাবে।

৭। গর্ভবতীদের জন্য অনেক উপকারী

গর্ভবতীদের জন্য কলা খাওয়া অনেক উপকারে। কারণ গর্ভবতী অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে তার শরীর দুর্বল থাকে। তাই দুর্বল শরীরের জন্য কলা খাওয়া অনেক উপকারে। আবার বাচ্চার জন্ম দেওয়ার সময় শরীর থেকে অনেক রক্ত চলে যায়। তাই গর্ভবতী অবস্থায় কলা খেলে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই কারণে মূলত গর্ভবতী অবস্থায় কলা খাওয়া উপকারী

৮। এসিডিটি দূর করে

কলাতে থাকা ফাইবার পাকস্থলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। সে কারণে এসিডের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই যাদের অ্যাক্সিডেন্ট সমস্যা রয়েছে বা বদহজমের সমস্যা রয়েছে তারা  কলা খেতে পারেন।  কলা খাওয়ার ফলে এসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

৯।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের রাতে সাহায্য করে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারঈ। আমার যাদের এখনো ডায়াবেটিস হয়নি তাদেরও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

১০। হার্ট সুস্থ রাখে

কলা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ফলে হার্ট এর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। তাই হার্ট সুস্থ রাখতে কলা খাওয়া অনেক উপকারী।

কাঁচা ও পাকা কলাঃ

কাঁচা কলা ভালো নাকি পাকা কলা ভালো। অনেকের মধ্যে এই প্রশ্ন জাগে। যে আসলেই কি কাঁচা কলা খাওয়া ভালো নাকি পাকা কলা খাওয়া বেশি ভালো। একদল মানুষ বলে কাচা কলা খাওয়া অনেক ভালো। আবার আরেক দল মানুষ বলে কাচা করা থেকে পাকা কলা খাওয়া বেশি ভালো। তাই এই প্রশ্নের উত্তর জানতে নিচে দেওয়া পাকা ও কাঁচা কলা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন।

পাকা কলা

  • কলাতে রয়েছেপটাশিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে
  • পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে
  • অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য অনেক উপকারী
  • অনিদ্রা দূর করে

কাঁচা কলা

  • রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
  • খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে

কলা খাওয়ার অপকারিতাঃ

কলা যেমন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তা মনে এটা অনেকের জন্য অপকারীয় হতে পারে। কলা বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। এতে করার উপকারিতা বিপরীত হয়ে যাবে। তাই যে কোন জিনিস পরিমাণ মাথায় খাওয়া ভালো। 

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য পাকা কলা খাওয়া একদমই ভালো নাই। আবার যারা ওজন কমাতে চান কিংবা ওজন বেশি তাদের জন্য পাকা কলা ওজন বাড়িয়ে দেয়।

আবার অনেকের কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে কাঁচা কলা না খাওয়াই ভালো। এছাড়াও অনেকের কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। যেমনঃ চুলকানি, পেটে ব্যথা,রেসেস ইত্যাদি। আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 তাই এই সব দিক বিবেচনা করে কলা খাওয়া প্রয়োজন। যেন ভালোর জন্য খেতে গিয়ে আবার খারাপ না হয়ে যায়। তাই আগে থেকে কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানাটা খুব প্রয়োজন। তাহলে এর উপকারিতা গুলো পাওয়া যাবে আবার অপকারিতা থেকেও দূরে থাকা যাবে।

আনাজি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

আনাজি, বা কলা, একটি গোধূলি ফসল হিসেবে পরিচিত ।এবং এটির উপকারিতা অনেকগুলি রয়েছে। আনাজি মূলত ভিত্তি করে বাস্তব ও পৌষ্টিকতা, একজন মানব জীবনের অবিভাজ্য অংশ হিসেবে গণ্য। এটি ধান, গম, চাল, মুগ, সোয়া, রাগি, জোয়ার, কর্ন, ইত্যাদির মধ্যে প্রধান রূপে চরম প্রসারিত রয়েছে।

আনাজির উপকারিতা মূলত তার পৌষ্টিক মানে বিদ্যমান। এটি ভারতীয় রাজ্যগুলিতে প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এটি ভিত্তি করে অনেক প্রকারের খাবার তৈরি হয়। আনাজির মাধ্যমে অধিকাংশ মানব জীবন নির্বাহী হয়ে থাকে এবং এটি ভিত্তি করে অনেক ধরণের খাদ্য উৎপাদন হয়, যা মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে, অন্যদিকে, অতিরিক্ত আনাজি খাওয়া মোতাদিক হতে পারে শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অধিক পরিমাণে আনাজির খাবার হেলথ ইস্যুসহ শরীরে প্রদাহ তৈরি করতে পারে এবং এর কারণে অতিরিক্ত ওজনের সঙ্গে যৌথভাবে সমস্যা উত্পন্ন হতে পারে।

সমগ্রভাবে বলা যায়, আনাজি হলো একটি মৌলিক খাদ্য যা পৌষ্টিকভাবে অমূল্যে ব্যবহার করা হতে পারে, তবে এটি উপভোগ করার মোতাদ মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ কথা

কলা, প্রাচীন ফল যা সমৃদ্ধিতে এবং পৌষ্টিকতা সমৃদ্ধ হিসেবে পরিচিত। এটি ভিত্তি হিসেবে পৌষ্টিক ও স্বাস্থ্যকর ফলের অভিজ্ঞান করা হয়, যা পুষ্টিকর এবং সহনশীল। কলা মূলত প্রাকৃতিক শক্তির একটি শীতল সুস্বাদু ফল এবং এটি বিভিন্ন খাবার এবং মিষ্টির তৈরি একটি প্রধান উপাদান। এটি ফলকে খাদ্য হিসেবে প্রযোজ্য করা হয় এবং বিভিন্ন সারমুচে উপকারিতা অনুভব করা হয়, তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url