ওজন কমাতে সাহায্য করে লাউ - লাউ এর উপকারিতা

লাউ এমন একটি খাবার যে,এটি প্রায় সকলেরই পছন্দ। কিন্তু কিশোর তরুণরা এই সবজি তেমন পছন্দ করে না। শুধু এই সবজি নয় অন্যান্য আরো সবজি খেতেও তারা পছন্দ করে না। তারা পছন্দ না করলেও এইসব সব যে অনেক উপকারিতা রয়েছে। 

যা তাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। কারণ রায় রয়েছে প্রচুর পানি। এতে ফাইবার, ভিটামিন ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান থাকে। এই সাধারণ লাইনে আমাদের জন্য অনেক উপকারি। আজকে আমরা জানবো ওজন কমাতে কিভাবে সাহায্য করে লাউ সে সম্পর্কে।

 লাউ এর উপকারিতা

লাউ অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এটি খাবার। এটি সকলে খেতে পছন্দ না করলেও এর উপকারিতা কিন্তু কমে যাবে না। এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। আমাদের অবশ্যই লাউএর উপকারিতা সম্পর্কে জানা উচিত। তাহলে আমরা এই লাভের গুরুত্ব বুঝতে পারবো।

 ক্যালরি কম থাকে

ক্যালরি হিসেবে লাউ আদর্শ একটি খাবার। লা এ প্রাইড ৯৬% পানি থাকে। শরীরে শক্তি বৃদ্ধির জন্য ক্যালরি অনেক প্রয়োজন। কিন্তু বেশি ক্যালরি ও ভালো নয়। এটি শরীরে মেদ জমা করতে পারে। আর কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার হলে, জমা মে থেকে শরীর শক্তি তৈরি করে নিতে পারবে। 

ফলে মেদের পরিমাণ কমে যাবে। তাই সুস্থ থাকার জন্য কম ক্যালরিযুক্ত খাবারই শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

 হজম শক্তি বৃদ্ধি করে লাউ

লাউএ রয়েছে রয়েছে ফাইবার। এটি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক সাহায্য করে। এছাড়াও যে কোন ধরনের এসিডিটির সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। এসিডের সমস্যা হলে প্রায় অনেকেই লাউয়ের তরকারি খেয়ে থাকেন। কারণ লাভের তরকারি খেলে এসিডিটির সমস্যা কম হয়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও অনেক সাহায্য করে।

 শরীর ঠান্ডা থাকে

লাউএ রয়েছে অনেক পরিমাণে পানি। তাই লাউ খাওয়ার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে। শরীরে তাপমাত্রা ঠান্ডা থাকে। তাই গরমের সময় লাউ অনেক উপকারি একটি খাবার। গরমের সময় এটি শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেক সাহায্য করে। আবার যারা অনেক রোদে কাজ করে তাদের জন্য লাউ খাওয়া অনেক উপকারি। প্রচন্ড রোদে তাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেক সাহায্য করবে।

 ওজন কমাতে সাহায্য করে লাউ 

লাউ কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। তাই ওজন কমাতেও এটা অনেক সাহায্য করে। আপনারা হয়তো অনেকে জেনে থাকবেন যে, যাদের ওজনের সমস্যা হয়েছে তারা ক্যালরিযুক্ত খাবার একটু এড়িয়ে যাওয়ারই চেষ্টা করেন। কারণ কেউরে যুক্ত খাবার আরও ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই কম ক্যালোরি খাবার আপনার ওজন কমাতে কিন্তু অনেক সাহায্য করবে। 

এছাড়াও এটা রয়েছে ফাইবার। এটি ফাইবার যুক্ত খাবার বলে, এটি খাওয়ার পর অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। তাই বেশি খাওয়ার সমস্যাটা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও এটি যেহেতু হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই শরীরের অতিরিক্ত খাবার হজম হওয়ার ফলে, ওজন খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

 চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে লাউ 

আজ কার অকালে চুল পাক আর সমস্যা প্রায় অনেকেরই রয়েছে। বর্তমানে এই সমস্যাটি আরো বেশি বেড়ে গেছে। তাই চুল পাকার আগে সময় থাকতেই লাউ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এটি অকালে চুল পাকা সমস্যার সমাধান করে। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে যে, সকালে নিয়মিত তাজা লাউ জুস করে পান করলে চুল পাকার সমস্যা অনেকটা কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

 ত্বকের জন্য অনেক উপকারী লাউ 

ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে অনেক সাহায্য করে। মুখের ত্বকের তেলের ভারসাম ও বজায় রাখতে অনেক সাহায্য করে। যাদের অয়েল স্কিন লাউ তাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এছাড়াও এটি ব্রণের সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রকার ত্বকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের যত্ন লাউ এর অবদান অন্যতম।

 ঘুমের সমস্যা দূর করে লাউ 

টেনশন কিংবা অন্যান্য কোন বিষয়ে প্রায় অনেকেরই রাতের ঘুম চলে যায়। তাদের জন্য লাউ অনেক উপকারি। লাও ভালো ঘুম হতে অনেক সাহায্য করে। তিলের তেলের সাথে লাউয়ের জুসের মিশ্রণ করে খেলে ইনসমনিয়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। লাউ রান্না করে খেলে এটি মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে অনেক সাহায্য করে। আর যদি মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে তাহলে, অবশ্যই ভালো ঘুমের জন্য এটি উপকারী।

৮। শরীরে পানি স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে

যারা অনেক পরিশ্রমি কাজ করতে লেগে শরীর থেকে অনেক ঘাম ঝরে পড়ে। ফলে তাদের শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। তাই তাদের জন্য লাউ অনেক উপকারি। এছাড়াও আমরা হয়তো অনেকের শুনেছি যে, কিডনি ভালো রাখার জন্য শরীরে পানি প্রয়োজন। তাই এটি কিডনি ভালো রাখত সাহায্য করে। কিডনি ভালো রাখতে ও শরীরের পানি স্বল্পতা কমাতে লাউ অনেক উপকারী।

লাউ চাষ পদ্ধতিঃ

লাউ যেহেতু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই এটি অবশ্যই খাওয়া প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে অনেকেই সবজির বাগান করতে অনেক ভালোবাসেন। তারা চাইলে তাদের সবজির বাগানে লাউয়ের চাষও করতে পারেন। কারণ লাউ আমাদের বিভিন্ন উপকারে আসে। তাই যারা তাদের বাগানে লাউ চাষ করতে চান তাদের অবশ্যই জানা উচিত। লাউ চাষের সঠিক পদ্ধতি। তাহলে চলুন জেনে কিভাবে লাউ চাষ করতে হয়।

লাউয়ের চারা গাছ তৈরি

লাউয়ের য়ের বীজ মাটিতে রোপন করে এর চারা গাছ তৈরি করা যায়। কিন্তু আপনারা যদি খুব দ্রুতই চারা গাছ তৈরি করতে চান তাহলে, একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে খুব দ্রুতই চারা গাছ তৈরি হয়ে যাবে। চারা গাছ তৈরি হতে প্রায় পাঁচ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। এছাড়া আপনারা যদি সেই বৃষ্টিকে মাটিতে রোপন করেন, তাহলে এ থেকে অনেক সময় লাগবে। দ্রুত চারা গাছ তৈরি করতে হলে, লাউয়ের বীজগুলোকে একদিনের জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

পানিতে ভিজে রাখার পর এগুলোকে সেখান থেকে বের করে নিতে হবে। এবার একটি টিস্যু পেপারে ভালো করে মুড়িয়ে নিতে হবে। টিস্যু পেপারটি ভালো করে মুড়িয়ে নেওয়ার পর  এটাকে আরেকটু ভিজিয়ে নিতে হবে। এবার এটিকে তিন দিনের জন্য রেখে দিতে হবে। এটিকে একটি কন্টেইনারের ভিতরে রাখতে হবে। যেন সেখানে বাতাস না প্রবেশ করে। 

এবার চারদিন পর এসে দেখবেন যে সেখান থেকে গোরা বের হতে শুরু হয়েছে। সবগুলো চার গোড়া নাও বের হতে পারে। কিন্তু সেগুলোকে মাটিতে রোপন করলেও খুব দ্রুত চারা গাছ বের হয়ে আসবে। আর যেটির গোড়া বের হয়ে গেছে শুধু ঘোড়ার দিকটাই মাটিতে রোপন দিতে হবে।

মাটিতে রোপন করার আগে, মাটিতে আগে থেকে কম্পোস্ট সার মিশিয়েরাখতে হবে। তাহলে এটি ভালো ফলন দিতে অনেক সাহায্য করবে। এরপর সেখানে বীজটি রোপণ করে দিতে হবে। রোপন করে দেওয়ার পর সেখানে পানি দিতে হবে। এভাবে নিয়মিত পানি সেখানে দিতে হবে।এর পর এক থেকে দুই দিনের মধ্যে একটি সুন্দর চারা গাছ বেরিয়ে আসবে। এছাড়া গাছটি অনেক দ্রুতই বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।

লাউয়ের ভালো ফলন

কষ্ট করে গাছটিকে বড় করার পর যদি গাছে ভালো ফলন না হয়। তাহলে এটি সত্যি অনেক কষ্টদায়ক। একটি আছে দুই ধরনের ফুল হয়ে থাকে একটি হল পুরুষ ফুল এবং অপরটি হল নারী ফুল। অনেক সময় একটি গাছে পুরুষ ফুলের সংখ্যা বেশি থাকে এজন্য গাছের ফলন ভালো হয় না। তাই জন্য গাছের আগা গুলোকে কেটে দিতে হবে। কেটে দেওয়ার ফলে গাছে আর নতুন নতুন শাখা প্রশাখা তৈরি হতে শুরু করবে। এটি করার পর গাছটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং নারী ফুলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।

আর একটি গাছের ভালো ফলনের জন্য পরাগায়ন অবশ্যই প্রয়োজনীয়। তাই মাঝে মাঝে একটি ফুলের পরাগরেণু অন্য ফুলে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ফুলের আগার যে হলুদ অংশ থাকে সেটিকে মূলত পরাগরেণু বলা হয়। এটি ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে গাছে ফলন আরো বেশি হয়ে যাবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনি নিশ্চয় জেনে গেছেন ওজন কমাতে কিভাবে সাহায্য করে লাভ এবং লাভের উপকারিতা কি কি এর সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url