শীতের পিঠা - শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ

সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন আজকের টাইটেল দেখে আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন আজকে  আমরা কি নিয়ে আলোচনা করব। হ্যাঁ আপনি ঠিক করেছেন আজকে আমরা আলোচনা করব শীতের পিঠা ও শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ নিয়ে।

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন শীতের পিঠা শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে। জানতে হলে পুরো পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

শীতের পিঠা, একটি বাঙালি পার্বণিক খাদ্য, শীতকালে সক্রিয়ভাবে উপভোগ হয়। এটি চাল, গুড়, নারিকেল, গুড়ের রস, দারচিনি, এবং মখানো দুধের মিশ্রণে তৈরি হয়। পিঠাটি বাকুলবিধান্তে ছোট সাইজে হয়ে থাকে এবং পাত্রে ঢেউয়ে সেজে রেখে তার আকৃতি বড় করা হয়। তারপর সেটি ভাপের জ্বালে বানানো হয়, যাতে পিঠাটি সুজি হয়ে উঠে। পরবর্তীতে তার উপরে ঘি ও গুড় দিয়ে সাজিয়ে নেওয়া হয়। শীতের পিঠা সার্দির মধ্যে একটি আদর্শ তাত্ত্বিক খাদ্য, যা স্থানীয় সংস্কৃতির অভিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি শীতকালে সার্দির মধ্যে একটি রুচির স্বাদে উপভোগ হয়।

শীতের সকাল 

শীতকাল সময়টা অলসতার মধ্যে দিয়ে কাটে। সকালে কম্বলের নিচে থেকে যেন উঠতে মন চায় না। শীতকালের সময়টাই প্রায় সকলেই দেরিতে ওঠে। মানুষ পশু পাখি এমনকি আমাদের সূর্য্যি মামাও দেরিতে উঠে।শীতের সকাল কুয়াশাচ্ছন্ন এবং ঠান্ডা। চারপাশে যেদিকেই তাকায় শুধু কুয়াশা আর কুয়াশা। চারিপাশ কুয়াশায় ঢেকে থাকে ।

আশেপাশের কোন কিছুই দেখা যায় না। মাঝে মাঝে এই কুয়াশা এতটাই হয় যে সূর্যের আলো মাটিতে এসে পৌঁছতে পারে না। সূর্য বিলম্বে উঠে বলে মনে হয়। শিশু এবং বৃদ্ধরা সকালে হাড় কাঁপানো শীতে কষ্ট অনুভব করে। শীতের সময় রাত থেকেই কুয়াশা বাড়তে থাকে। আশেপাশের ঘাস কিংবা গাছপালায় শিশির জমতে শুরু করে।

যখন ধীরে ধীরে কুয়াশা সরে যায় তখন সূর্যি মামা উঁকি দেয়। সে আলো সোনার মতো ঝলমল করে। সূর্য উঠার পর ধীরে ধীরে সকলে অলসতা কাটিয়ে কম্বলের নিচে থেকে উঠতে থাকে। কৃষকেরাও গরু ছাগল নিয়ে মাঠে যায়। অন্যান্য সময়ে সূর্যের তাপ ভালো না লাগলেও। শীতের এই সূর্যের তাপ সকলের কাছে মিষ্টি লাগে। 

বৃদ্ধ এবং শিশুরা শীতের এই মিষ্টি রোদ উপভোগ করে। বেলা বেশি হওয়ার সাথে সাথে শীতের সকালের দৃশ্য ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে থাকে। এভাবেই মানুষেরা তাদের কাজে লেগে পড়ে। শীতের অন্যতম একটি পছন্দের জিনিস হল শীতের নানা রকম পিঠ পুলি। বেশিরভাগ পিঠা এই শীতকালে তৈরি হয়ে থাকে। তাই অনেক সময় শীতকালকে পিঠা প্রধান মৌসুমও বলা হয়।

এই সময় প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে পিঠার উৎসব লেগে থাকে। শীতকালের এ পিঠা উৎসব হওয়ার অন্যতম কারণ হলো খেজুরের গুড়। কারণ শীতকাল ছাড়া অন্য সময় খেজুরের রস পাওয়া যায় না। তাই টাটকা টাটকা রসের খেজুরের গুড়ের পিঠার স্বাদ একটু অন্যরকম।

শীতের পিঠা

বিচিত্র পিঠাপোলির দেশ বাংলাদেশ। পিঠা আমাদের প্রিয় খাবার।এও  বলা যায় যে বলা যায় যে, পিঠা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জিনিসের মধ্যে একটি। আমাদের দেশের সারা বছরে পিঠা হয়। তবে শীতের দিনে পিঠা বেশি তৈরি করা হয়। শীতকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়। 

এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত পিঠাগুলোর নাম হলঃ চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, বড়া পি, পাটিসাপটা পুলি পিঠা পুলি ইত্যাদি আরও নানা ধরনের পিঠা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে দুধপুলি, খিরপুল্‌, চন্দ্র পুল্‌ মালপোয়া, পাকোয়ান আরও নানা ধরনের পিঠা রয়েছে।শীতকালের  নারিকেল আর খেজুর গুড়ের গরম ভাপা পিঠা খেতে সবাই পছন্দ করে। এমনকি এটি শহরের বিভিন্ন রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি করা হয়। আমাদের দেশের  অন্যতমপিঠা হলো পুলি পিঠা। 

পুলি পিঠা দেখতে যেমন সুন্দর। খেতেও তেমনি মজা। পাটিসাপটা পিঠাও অনেক মজার। একেক রকমের পিঠার স্বাদ এক এক রকম। আবার এমন কিছু কিছু পিঠা রয়েছে যেগুলোতে মিষ্টির বদলে ঝাল জিনিস ব্যবহার করা হয়।আমাদের দেশের মেয়েরা নানা রকমের নকশা পিঠাও তৈরি করতে পারে।

নকশা পিঠার বিখ্যাত হওয়ার কারণ এই পিঠা নকশাগুলো। এই পিঠাকে একটু বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। তেমনই এই পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি দেখতে অনেক সুন্দর। এই পিঠাগুলোর এলাকা ভেদে নাম রয়েছে। একেক জায়গায় একেক নামে ডাকা হয় পিঠাগুলোকে। কিন্তু সব জায়গায় এই পিঠা একই রকম ভাবে বানানো হয়। শীতের দিনে সবচেয়ে বেশি গ্রামগুলোতেই পিঠাপুলি বানানো হয়। তবে আজকাল শহরের রাস্তাঘাট সহ , বিভিন্ন বড় বড় দোকানেও এই পিঠাপুলি বিক্রি করা হয়।

শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ

 অনুচ্ছেদ লিখা হয় একটি বাক্যের ওপর কিংবা একটি শব্দের ওপর নির্ভর করে। অনুচ্ছেদ লিখতে হলে সে বাক্যটির ওপর সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সে অনুচ্ছেদে লিখতে হবে। এরপর পরবর্তীতে অনুচ্ছেদের বাকি অংশগুলো উন্নয়ন ও সমর্থনের জন্য আরও বাহিরের কিছু বাক্য যোগ করতে হবে। এমন একটি বাক্য দিয়ে শেষ করতে হবে। যেন সে বাক্যটি পড়ে সে অনুচ্ছেদের কথা সম্পূর্ণভাবে বোঝা যায়।

এই নিয়মে অনুচ্ছেদ লিখলে। অনেক ভালো নাম্বারও পাওয়া যাবে। চেষ্টা করতে হবে সেখানে সহজ বাক্য দেওয়ার। সেই সঙ্গে সেটা যেন সেই নির্দিষ্ট বাক্যটির অন্তর্ভুক্ত হয় কিংবা তার আশেপাশের কিছু বাক্য থাকতে হবে। তাহলে অনুচ্ছেদটি অনেক আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। ফলে ভালো নাম্বারও পাওয়া যাবে।

শীতের পিঠার নাম

প্রিয় পাঠক নিচে কয়েকটি শীতের পিঠার নাম দেয়া হলো:
ভাঁপা পিঠা 
ঝাল পিঠা
ছাঁচ পিঠা 
ছিটকা পিঠা
চিতই পিঠ
দুধ চিতই
বিবিখানা 
চুটকি পিঠা
চাপড়ি পিঠা
চাঁদ পাকান পিঠা
পুলি পিঠা 
পাটিসাপটা
কুলশি
খেজুরের পিঠা, ক্ষীর .

শীতের পিঠা ছবি








শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই পর্বের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি আশা করছি আপনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং শীতের পিঠা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আজকের এই পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url