অগ্রণী ব্যাংক অনলাইন একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আজকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আলোচনা করব অগ্রণী ব্যাংক অনলাইন একাউন্ট কিভাবে করতে হয় এ সম্পর্কে। আপনারা যারা জানেন না অগ্রণী ব্যাংকে কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয় তাদের জন্য আজকের এই পর্বটি।

তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই বিস্তারিত আলোচনা। আজকের আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে। অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজপত্র লাগে, অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট চেক কি করে লিখতে হয় এইসব বিষয় জানতে হলে পুরো পর্বটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অগ্রণী ব্যাংক অনলাইন একাউন্ট করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন অগ্রণী ব্যাংকে কিভাবে অনলাইনে অ্যাকাউন্ট করতে হয়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য কেননা আপনি এখন জানতে চলেছেন অগ্রণী ব্যাংকের অনলাইনে কিভাবে একাউন্ট করতে হয়। তাহলে চলুন দেরি না করে মূল পর্বে যাই।

প্রথমে আপনার স্মার্ট ফোনে গুগল প্লে স্টোর থেকে অগ্রণী ই একাউন্ট অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার পরে অ্যাপটি মোবাইলে ইন্সটল দিতে হবে। অ্যাপটি ইন্সটল করার পরে ওপেন করলে আপনার সামনে এরকম একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।


এরকম একটি ইন্টারফেস ওপেন হওয়ার পরে আপনাকে ভাষা সিলেট করতে হবে। এখানে লেখা আছে ইংলিশ এবং বাংলা আপনার বাংলায় করতে চাইলে বাংলা আর ইংলিশে করতে চাইলে ইংলিশ সিলেট করতে হবে। তারপর আপনার সামনে আরেকটি ইন্টারফেস আসবে।


এরকম একটি ইন্টারফেস আসার পরে সেখানে থাকবে আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট করবেন সেভিংস একাউন্ট করবেন নাকি কারেন্ট একাউন্ট করবেন। যদি আপনি সেভিংস একাউন্ট করতে চান তাহলে সেভিংস একাউন্টে বাটনে ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে সামনে এগিয়ে গেলে আপনার সামনে আরেকটি ইন্টারফেস আসবে।


আপনার সঙ্গে এরকম একটি ইন্টারফেস আসবে সেখানে আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার দিবেন। মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পরে সেন্ড বাটনে চাপ দিলে আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি যাবে। ওটিপি যাওয়ার পরে সেই ওটিপি বক্সে বসাতে হবে তারপরে পরের ধাপে আপনাকে যেতে হবে। যখন আপনি পরের ধাপে যাবেন তখন আপনার সামনে আরেকটি ইন্টারপ্রাইজ আসবে।


যখন আপনার সামনে এরকম একটি ইন্টারফেস আসবে তখন আপনি আপনার এনআইডি কার্ডের সামনের ছবি প্রথম বক্সে বসাবেন এবং এনআইডি কার্ডের পিছনের ছবি দ্বিতীয় বক্সে বসাবেন। এরপর আপনার সামনে আরেকটি ইন্টারফেস আসবে যেখানে আপনি আপনার ছবি উঠাবেন।


আপনার ছবি দেওয়া শেষ হয়ে গেলে আপনার সামনে আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আসবে।


এরকম ইন্টারপ্রাইজ আসার পরে এখানকার প্রত্যেকটি ঘর আপনাকে পূরণ করতে হবে। এখানকার প্রত্যেকটি ঘর পূরণ করার পরে আপনাকে পরের স্টেপ যেতে হবে সেখানে গেলে আপনি আরেকটি নতুন ইন্টারেস্ট পাবেন।


এরকম ইন্টারফেস যখন আপনার সামনে আসবে এখানে আপনার নমনীর যাবত ইনফরমেশন দিয়ে প্রত্যেকটি ঘর পূরণ করতে হবে। এবং সবশেষে বাম দিকের কোনাতে নমনীর ছবি যেখানে দেওয়া আছে সেখানে নমনীর ছবি দিয়ে দিতে হবে। দিয়ে দেওয়া শেষ হলে আপনার সামনে আরেকটি ইন্টারপ্রাইজ আসবে।

এরকম একটি ইন্টারফেস আসার পরে এখানে যাবতীয় সব তথ্য দিয়ে প্রত্যেকটি ঘর পূরণ করতে হবে। পূরণ করা শেষ হলে এখানে একটি সাবমিট বাটন আছে সে বাটনে ক্লিক করতে হবে তাহলে আপনার অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলার পর্ব শেষ হবে। তারপর আপনি ব্যাংকে গিয়ে আপনার চেক বই এবং এটিএম কার্ড নিয়ে নিতে পারবেন আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছ...

অগ্রণী ব্যাংক ঃ

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম অ্যাকাউন্ট হল এ অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট। এই ব্যাংকটি ২০০৭ সালে এই ব্যাংকটি লোকজনের মাঝে পাবলিক করা হয়। এরপর থেকে এ ব্যাংকটি মানুষ ব্যবহার করতে থাকে। 

অন্যান্য ব্যাংকের পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক একাউন্টও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল লোন দিচ্ছে। অগ্রণী ব্যাংক একাউন্টের বিভিন্ন ভাগ রয়েছে যেমনঃ স্টুডেন্ট একাউন্ট, সেভিং একাউন্ট এ ছাড়া আরও বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

এখানে স্টুডেন্ট একাউন্ট কিংবা সেভিংস অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি, অনলাইন লোন নেওয়ারও সুবিধা রয়েছে। আপনারা চাইলে যে কোন পর্যায়ে লোন এই অ্যাকাউন্ট থেকে নিতে পারবেন। যেমনঃ পার্সোনাল লোন, হোম লোন ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের লোন আপনারা নিতে পারবেন। এই ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। 

এই শর্তগুলো পূরণ করলে আপনি অ্যাকাউন্ট থেকে লোন খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। লোনের ভাগ অনুযায়ী আপনি সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন তা নির্ভর করবে। যেমনঃ পার্সোনাল লোন নিতে হলে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন, যেকোনো কাজের জন্য যদি লোন নেন তাহলে, সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আপনি লোন নিতে পারবেন। এভাবে ভাগ অনুযায়ী লোন দিয়ে থাকে অগ্রণী ব্যাংক।

অগ্রণী অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজনঃ

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে, আপনার কিছু তথ্য সমূহ দিতে হবে। এসব তথ্য দেওয়ার পর একটি ফরম ফিলাপ করে। দিয়ে দিতে হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে আপনাকে কত টাকা লোন দেওয়া হবে তা ঠিক করা হয়। এরপর সে একাউন্টে আপনাকে লোন দেওয়া হয়। অনেকেই এই একাউন্ট থেকে লোন নিয়েছেন। 

কিন্তু যারা এখনো লোন নেননি কিন্তু পরবর্তীতে লোন নিতে চান। তাহলে লোন নিতে হলে কি কি প্রয়োজন সেগুলো জানতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। তাহলে চলুন জেনে নেই, অগ্রণী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লোন নিতে হলে কি কি প্রয়োজন হয়।

  • অ্যাপসটি খোলার পর এখানে আপনাকে এনআইডি ও আপনার ছবি আপলোড করে দিতে হবে।
  • এরপরে আপনার বিভিন্ন ইনফরমেশন এর ফরম দেওয়া থাকবে সে ফর্মটি সম্পূর্ণ করতে হবে। এ ফর্মে আপনার বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিতে হবে যেমনঃ আপনার পিতার নাম, মাতার নাম ইত্যাদি কিছু এখানে লিখতে হবে।
  • আপনাকে আপনার বিভাগ, জেলা, আপনি কি কাজ করে্ন, আপনার বেতন কত এইসব তথ্য দিতে হবে। এছাড়া এটি খুলতে আপনার প্রাইমারি ডিপোজিট মিনিমাম ৫০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়ঃ

অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করে খুলতে হয়। অনেকেই এই ধাপগুলো সম্পর্কে জানেন না। তাই অনেক সময় তাদের বিভিন্ন অসুবিধায় পড়তে হয়। তাহলে চলুন জেনে অনলাইনে অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়।

  • প্রথমে অ্যাপসটি ডাউনলোড করার পর, আপনাকে আপনার ভাষা, আপনি কি কারণে এই একাউন্টটি করেছেন সেই সব সিলেক্ট করতে হবে।
  • মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করতে হবে, কারণ অ্যাকাউন্টটি খোলার পর আপনার ফোনে একটি ওটিপি আসবে। আর সেখানে যে কোডটি দেওয়া থাকবে সেটি খালি বক্সে দিতে হবে। দেওয়া শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী ক্লিক করলে প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
  • এরপর আপনার এন আই ডি কার্ড এবং ছবি প্রয়োজন। এখানে আপনার জাতীয় পত্রের ছবি আপলোড করে দিতে হবে। এর পাশাপাশি আপনার নিজের একটি ছবি আপলোড করে দিতে হবে।
  • আপনার সম্পর্কে কয়েকটি ইনফরমেশন দিতে হবে। এর জন্য আপনাকে এর জন্য আপনাকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে সেটিকে সম্পূর্ণ পূরণ করতে হবে।
  • এরপর আপনার নমিনের ইনফরমেশন দিতে হবে। যেমনঃ আপনার নমিনের নাম কি, নমিনির সাথে আপনার সম্পর্কে কি ইত্যাদি আরব বিষয় সম্পর্কে ইনফরমেশন দিতে হবে।
  • ব্রাঞ্চ ইনফরমেশন এবং অন্যান্য কিছু তথ্য দিতে হবে। এখানে আপনাকে আপনার বিভাগ জেলা, আপনার পেশা ক্‌ আপনার মেইল, বর্তমান ঠিকানা ইত্যাদি আরব বিষয়ে ইনফরমেশন দিতে হবে। এর পরে একদম নিচে আবেদন অপশনে আপনি দুইটি জিনিসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • আপনার ইনফরমেশন গুলো রিভিউ করে নিশ্চিত করতে হবে। এখানে আপনার সকল ইনফরমেশন গুলো দেখতে পারবেন এবং সবগুলো ঠিক আছে কিনা সেগুলো একবার চেক করে নিতে হবে। এরপর একদম শেষে ট্রান্স এন্ড কন্ডিশন এর পাশে থাকা খালি বক্সটিতে টিক দিতে হবে। এরপর কনফার্ম করতে হবে।
  • কনফার্মে ক্লিক করার পর আপনার একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি এসএমএস করে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এর পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ব্যাংকে গিয়ে আপনার কেওয়াইসি সম্পন্ন করতে হবে।

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট এর চেক লেখার নিয়মঃ

যেকোনো ব্যাংক হোক না কেন এগুলোর চেক লেখার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। অনেকে এ নির্দিষ্ট নিয়মটি জানেনা। এর ফলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। তাই ব্যাংকের চেক লেখার আগে কিভাবে লিখতে হয় সে বিষয়ে জানতে হবে। কোথায় কোথায় কি লেখা প্রয়োজন সেটিও জানতে হবে। অগ্রণী ব্যাংকে চেক লেখার নিয়মঃ

  • অগ্রণী ব্যাংকের চেক লেখার সময় প্রথমে আপনাকে তারিখ দিতে হবে। আপনি কবে টাকাটি উঠাতে চাচ্ছেন। 
  • তারিখ দেওয়ার পর কার মাধ্যমে আপনি টাকাটি উঠাতে চান তার নাম দিতে হবে। আপনি যদি নিজে থেকে উঠাতে চান তাহলে, সেই জায়গাতে "নিজ" লিখতে হবে।
  • এরপর আপনি কত টাকা উঠাতে চান তার পরিমাণটা লিখতে হবে। প্রথমে নাম লেখার পর নিজেদের টাকার অপশনটি থাকবে সেখানে কোথায় টাকার পরিমান দেখতে হবে।
  • এরপরের নিচে আরেকটি অপশন থাকবে,  একটি বক্সের ভিতরে টাকার পরিমাণটা লিখতে হয়। সেইখানে আপনাকে সংখ্যায় টাকার পরিমাণ লিখতে হবে। এই ভুলটি অনেকেই করে থাকেন। কথায় লেখার জায়গায় সেখানে অংকে অনেকে লিখে দেন।
  • এগুলো লিখার পর আপনাকে আপনার স্বাক্ষর দিতে হবে। প্রথম পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর দেওয়ার পর। পৃষ্ঠায় আরো দুইটি স্বাক্ষর দিতে হবে। এভাবে মোট তিনটি স্বাক্ষর আপনাকে দিতে হবে। তারপর সেখান থেকে কাগজ থেকে ছিঁড়ে নিয়ে ব্যাংকে জমা দিয়ে দিতে হবে।

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্টে লোনঃ

অগ্রণী ব্যাংকে আপনি বিভিন্ন ধরনের লোন পাবেন। যেমনঃ পার্সোনাল লোন, যেকোনো কাজের জন্য লোন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য লো্ন, স্বল্প মেয়াদী লন এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের লোন রয়েছে যেগুলো আপনি অগ্রণী ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন। এই গুলো থেকে সবচেয়ে বেশি পার্সোনাল লোন নেওয়া হয়। 

পার্সোনাল লোন নেওয়ার কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে যেমনঃ আগে কম পরিমাণে লোন দেওয়া হতো এবং সময়ও কম থাকতো। এখন আপনি যদি পার্সোনাল লোন নেন তাহলে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন এবং মেয়াদ সর্বোচ্চ আট বছর পর্যন্ত। আর আপনার সুদের পরিমাণটাও কম থাকবে। এরকম বিভিন্ন ধরনের সুবিধা করে দিয়েছে লোনের ক্ষেত্রে। রোনে সুদের হারের পরিমাণ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে আপনার কোন জামানত দিতে হবে না। আপনি যদি ভালো পরিমাণে লোন নিতে চান তাহলে এটি নির্ভর করবে আপনার মাস শেষে কত টাকা থাকছে। এর উপর নির্ভর করে আপনি লোন নিতে পারবেন। আর ঠিক সময় মতো যে কিস্তিগুলো শোধ করে দিতে পারেন তাহলে, পরবর্তীতে ভাল পরিমানের আরও নিতে পারবেন। 

আর লোন যদি ঠিক সময় মত পরিশোধ না করেন আপনাকে জরিপানা দিতে হতে পারে। তাই আপনি যদি ঠিক সময় মত টাকা শোধ করে দিতে পারেন তাহলে আপনার জন্যই এটি অনেক ভালো হবে।

 লেখকের মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক কাজে দিবে। আজকের এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url