অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আমাদের সবার কাছে একটি ট্রেনিং একটি ভিনেগার। আমরা মনে করি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অথবা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার নিয়ন্ত্রণ রাখতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার সারাদিন যদি পান করা হয় তাহলে হয়তো এই সমস্যাগুলো দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।
এই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা করব। জানতে হলে আজকের এই পর্বটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
  আমরা হয়তো সকলেই এই অ্যাপেল ভিনেগার এর সাথে পরিচিত। অ্যাপেল ভিনেগার রয়েছে
  বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। যেগুলো আমাদের জন্য অনেক উপকারী। হয়তো অনেকেই এই
  অ্যাপেল ভিনেগার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। তাই তাদের অ্যাপেল ভিনেগারের এই
  উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যেন এগুলো তারা তাদের উপকারে ব্যবহার করতে
  পারে।
সর্দির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যাপেল সিডার
ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে অ্যাপেল ভিনেগার অনেক উপকারী। সিজন চেঞ্জ হওয়ার কারণে। অনেকেই ঠান্ডার সমস্যা হয়। ঠান্ডার সমস্যা হলে প্রায়ই দেখা যায় নাক বন্ধ থাকে। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই নাক বন্ধনে অনেকেি রাতে ঘুমাতে পারে । নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
  এ ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। প্রতিদিন সকালে এক
  গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ মিশিয়ে পান করলে ঠান্ডা জড়িত সমস্যা খুব সহজেই দূর
  হয়ে যাবে।বিশেষ করে যাদের নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা রয়েছে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটা গবেষণায়ও প্রমাণ পাওয়া গেছে। অ্যাপেল ভিনেগার খাওয়ার পর অতিরিক্ত ক্ষুধার সমস্যা চলে যায়। এছাড়াও এটি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের শরীরে যে অতিরিক্ত খাবারগুলো থাকে সেগুলো খুব সহজে হজম হয়ে যায়। এ কারণে মূলত অ্যাপেল ভিনেগার ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। আপনারা চাইলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারের মাধ্যমে ওজন কমাতে পারেন।
চুলের যত্নে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কীভাবে ব্যবহার করবেন
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার চুলের খুশকি নিরাময় অনেক ভালো কাজ করে। এছাড়াও চুল দ্রুত বৃদ্ধি করত সাহায্য করে। চুল নোংরা থাকার কারণে, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমনঃ চুল পড়া, চুল থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। এক কাপ পানিতে এক চামচ পরিমাণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে এরপর এটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে।
চুলে স্প্রে করতে হবে। তিরিশ মিনিটের মতো রেখে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। এছাড়াও এটি চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া কমাতেও সাহায্য করে।
রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
  অ্যাপেল ভিনেগার রয়েছে পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস। একটি রক্তচাপের সমস্যা দূর
  করতে সাহায্য করে। রক্তচাপের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি শরীরের অতিরিক্ত পানি বের
  করে দিত সাহায্য করে। আবার কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো যে সমস্যাগুলো হয় সেই সমস্যা
  প্রতিবাদ করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও এছাড়াও এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের
  ব্যথা নিরাময় করতেও সাহায্য করে।
শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
কাজ করার পর আমাদের শরীরে শক্তির চাহিদা আরো বেড়ে যায়। তাই যেকোনো ধরনের কাজ করার পর আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। যেগুলো আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই স্বাস্থ্যকর খাবার গুলোর মধ্যে এত সাইডার ভিনেগার অন্যতম। এটিও আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  অ্যাপেল সাইডের ভিনেগার এ রয়েছে পটাশিয়াম ও বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেগুলো আমাদের
  শরীরে শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করে। তাই যাদের শরীর দুর্বল, তাহলে ভিনেগার
  খাওয়ার ফলে তাদের এই দুর্বলতার সমস্যা দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা। কমে যায় ফলে তাদের রক্তের শর্করা পরিমাণও বেড়ে যায়। এই কারণে মূলত ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। একবার ডায়াবেটিস হলে আর কখনো ভালো হয় না। সারা জীবন এই ডায়াবেটিসের ভার বই নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু আপনি চাইলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারবেন।
এতে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু কাজ করতে হবে। তার মধ্যে হলো ইনসুলিন বাড়ানোর খাবার খেতে হবে। তেমনি এক ধরনের খাবার হল অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে রক্তের শর্করা পরিমাণ কমে যায়। এটি গবেষণায়ও প্রমাণিত হয়েছে।
  তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অ্যাপেল ভিনেগার অনেক উপকারী। এর জন্য প্রতিদিন রাতে
  পানিতে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি আপনার
  ইনসুলিনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
অ্যাপেল ভিনেগার খাওয়ার নিয়মঃ
  মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় একটি ভিনেগার হলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। এর
  উপকারিতা জন্য এ ভিনেগারটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বর্তমানে। রক্তের শর্করার
  পরিমাণ কমানোর সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় এ ভিনেগার উপকারী। অ্যাপেল
  ভিনেগারে রয়েছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ ছাড়া আরও বিভিন্ন
  ধরনের উপাদান। যেগুলো আমাদের জন্য অনেক উপকারী। তাই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
  খাওয়ার নিয়ম গুলো জানতে হবে। যেন এগুলোকে আমরা প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারি।
- এটিকে চাইলে খাবার রান্না করার একটা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
 - আবার কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ মিশিয়ে ড্রিংক হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এভাবে দিনে দুইবার অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়া যাবে। তবে প্রথম থেকে কম খেলেই ভালো।
 - অনেকে আবার সালাতে এই অ্যাপেল ভিনেগার ব্যবহার করেন।
 
অ্যাপেল ভিনেগারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
  ভিনেগার যেমন আমাদের জন্য উপকারী, তেমন এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে।
  যেগুলো আমাদের অনেক ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া আমার প্রায় সকলেই জানি যে কোন
  জিনিসের বেশি প্রভাব কখনো ভালো হয় না। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে ভিনেগার খাওয়ার ফলে
  বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আগে
  থেকে জেনে রাখা উচত। যেন পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়।
- আপনারা যদি ভিনেগার পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান তাহলে, এ ভিনেগার খাবার আধা ঘন্টা পরে যেকোনো ধরনের খাবার খাবেন। না হয় কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
 - আর নিয়মিত ভিনেগার খাওয়া যাবেনা, আপনারা চাইলে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন। অতিরিক্ত ভিনেগার খাওয়ার ফলে যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে। কারণ কি এতে রয়েছে অ্যাসিটিক এসিড, যেগুলো আমাদের জন্য অনেক ভালো কিন্তু এর বেশি পরিমাণ আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকারক হতে পারে।
 - 
    অ্যাপেল ভিনেগার আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ভালো কাজ করে, কিন্তু এর বেশি প্রভাব
    আমাদের ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে।
 - 
    আবার অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যাপেল ভিনেগার খাওয়ার ফলে চোখ অন্ধও হয়ে যেতে পারে।
    এছাড়াও আরো চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই সাবধানে আপেল ভিনেগার
    খেতে হবে।
 
এখন কথা হলো অ্যাপেল ভিনেগার যেহেতু আমাদের জন্য ক্ষতিকারক তাহলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। এরকমটি নয় কোন জিনিসের ভালো গুণ থাকলে তারা খারাপ কোন অবশ্যই থাকবে। তাই বলে তার উপকারিতা গুলো ভুলে যাব তা কিন্তু নয়। আমাদের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু, আপনি যদি একটু সাবধানতা অবলম্বন করে আপেল ভিনেগার খান তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url