মিনোক্সিডিল এর কাজ কি - মিনোক্সিডিল দাম

 চুল পাড়ার সমস্যা নেই এরকম কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।কারণ বর্তমানে জলবায়েপরিবর্তনের কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সব রোগের পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেড়ে গেছে। আদিম যুগের মানুষের, চুলের সমস্যা ছিল না বললেই চলে। কিন্তু বর্তমানে চুল পড়ার সমস্যা নেই এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। 

মিনোক্সিডিল এর কাজ কি -  মিনোক্সিডিল দাম

তাই বর্তমানে অনেক মানুষ চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে অনেক চিন্তিত হয়ে আছেন। তারা ভাবছেন কিভাবে তাদের এই চুল পড়ার সমস্যাগুলো দূর করতে পারবে। বিশেষ করে তাদের সমস্যা হয়,যাদের মাথায় চুল পড়তে পড়তে টাক হয়ে গেছে। তাই এই পর্বে আমরা আলোচনা করব মিনোক্সিডিল এর কাজ কি -  মিনোক্সিডিল দাম জানতে হলে আজকের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

ভূমিকা

কারণ টাক হয়ে যাওয়ার পর সেই জায়গাটা তেলতেলে হয়ে যায়। সেখান থেকে নতুন চুল পড়া সম্ভব না একদমই কম। অসম্ভব বললেও চলে। কিন্তু এখন তো বিজ্ঞানের যুগ অসম্ভব বলতে কোন কিছুই নেই। ঠিক এভাবেই বিজ্ঞান অসম্ভবকে সম্ভব করে এক নতুন ট্যাবলেট বা স্প্রে আবিষ্কার করেছে। যেটি টাক সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করবে। 

তাহলে চলুন দেখে নেই সেই ট্যাবলেট অথবা স্প্রে এর কাজ । এটি কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এগুলো জেনে নিই।তার সাথে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোও জানা দরকার।যেন পরবর্তীতে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। আসুন জেনে নিই মিনোক্সিডিল এর কাজ কি -  মিনোক্সিডিল দাম।

মিনোক্সিডিল এর কাজ কিঃ

মিনোক্সিডিল  ট্যাবলেট বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু বর্তমানে এটি চুলের সমস্যার জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে। আগে এই ট্যাবলেট ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবহার করা হতো। এখনো হয়। যখন ব্লাড প্রেসারের রোগীরা এই ট্যাবলেটটি ব্যবহার করতে শুরু করল তখন ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীরে বিভিন্ন ধরনের চুল গজাতে শুরু করলো। এরপরে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করে জানতে পারলেন যে, এই ট্যাবলেটটি চুল গজানোর জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

বর্তমানে এটিকে ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কিংবা ড্রপার দিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনারা যদি এটিকে স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে, মাথায় স্প্রে করার পর হাত দিয়ে সেটিকে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এই ট্যাবলেট অথবা স্প্রেটি বিশেষ করে ছেলেদের জন্য অনেক উপকারী। 

কারণ বর্তমানে ছেলেদের অনেক বেশি পরিমাণে টাকের সমস্যা হচ্ছে। এ ধরনের সমস্যা অনেক কার্যকরী। সেই সঙ্গে মেয়েদের চুল পড়ে যেয়ে সিঁথি বড় হওয়ার সমস্যাও দূর করে দেয়। আপনার যে জাগাতে সমস্যা হয়েছে সেই জায়গাতে স্প্রে করে হাত দিয়ে মাসাজ করে নিতে হবে। বর্তমানে ট্যাবলেটের তুলনায় স্প্রেটি ব্যবহার করা হয় বেশি। 

তাই মিনোক্সিডিল স্প্রে আকারে বেশি বিক্রয় করা হচ্ছে এবং এর ব্যবহারও বেশি। তাই আপনারা চাইলে স্প্রেটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে যে স্প্রেটই ব্যবহার করতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছা মত ব্যবহার করতে পারবেন। যেটিতে আপনার বেশি উপকার হচ্ছে আপনি সেটাই ব্যবহার করবেন।

মিনোক্সিডিল ট্যাবলেট  কিভাবে খাওয়া উচিতঃ

আমরা এতক্ষন জানলাম মিনোক্সিডিল ট্যাবলেট এটি ব্যবহার গুলো কি কি। কিন্তু ব্যবহারগুলো জানার পাশাপাশি, কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটিও তো জানতে হবে। মিনোক্সিডিল ট্যাবলেট সঠিক নিয়মে আমরা যদি ব্যবহার করতে না পারি তাহলে এর উপকারিতা আমরা পাবো না। তাই অবশ্যই এর ব্যবহার গুলো জানতে হবে, সেই সাথে কখন ব্যবহার করতে হবে সেটিও জানতে হবে। 

তাহলে চলুন জেনে নিই মিনোক্সিডিল ট্যাবলেট কখন এবং কিভাবে খাওয়া উচিত।আপনারা যদি মিনোক্সিডিল ট্যাবলেটটি ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন। আসলে কি এটি আপনার খাওয়া উচিত নাকি উচিত নয়, এটা অবশ্যই জানতে হবে। তাছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই যদি আপনি খেয়ে নেন।তাহলে যেকোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

সাধারণত ডাক্তাররা পরামর্শে এটিকে খাবারের পর কিংবা খাবারের আগে খাওয়া যেতে পারে। আর সাধারণত এটিকে প্রতিদিন দুইবার করে খেতে হয়। আর ট্যাবলেট গুলি প্রতিদিন একই সময়ে খেতে হবে।আর যেটা স্প্রে আকারে পাওয়া যায় সেটিকে প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করতে পারেন।তারা চাইলে এটিকে দুই বেলা ব্যবহার করতে পারেন। দুই বেলা ব্যবহার করলে এর অনেক ভালো ফল পাওয়া যাবে। তবে তার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। দুই বেলা অর্থাৎ সকাল এবং রাতে ব্যবহার করতে হবে। 

মিনোক্সিডিল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো কি কিঃ

মিনোক্সিডিল  বাজারে বিভিন্নভাবে কিনতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে ট্যাবলেট এবং স্প্রে বেশি ব্যবহার করা হয়। এ দুটি যাতে বেশি ব্যবহার করা হয় তাই এই দুটির পার্শ্বপ্রতিকর সম্পর্কে জানব। কোন কিছু ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিকা এবং উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

ট্যাবলেট

  • হার্টবিট বেড়ে যাওয়া
  • শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে
  • মাথা ঘুরার মত সমস্যা হতে পারে
  • হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • মাথাব্যথা মত আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে

স্প্রে

  • চোখে পড়লে, চোখ জ্বালা করা কিংবা আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে
  • ভুল করে যদি মুখে ঢুকে যায় তাহলে, বুকে বুকে ব্যথা/মাথাব্যথার মত সমস্যা হতে পারে
  • ত্বকের ক্ষতি করতে পারে ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে

তাই এটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার পরামর্শ নেওয়ার পর এদিকে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও মিনোক্সিডিল ব্যবহার করার আগে লিফলেটটি ভালো করে পড়ে নিতে হবে। কারণ সেখানে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সে সব লিখা থাকে। শুধু তাই নয় আরো বিভিন্ন বিস্তারিত লেখা থাকে। 

যেগুলো জানা খুব প্রয়োজন। তাই এটি ব্যবহার করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ এবং লিফলেটটি পড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আর আপনি ট্যাবলেট নাকি স্প্রে ব্যবহার করবেন সেটি আপনার ইচ্ছা। তবু ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেওয়া ভালো যে আপনার জন্য কোনটি বেশি ভালো হবে। সবকিছু জানার পর তারপরে এটিকে ব্যবহার করবেন।

মিনোক্সিডিল ব্যবহার করার সময় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজনঃ

মিনোক্সিডিল ব্যবহার করার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেসব সতর্কতা অবলম্বন করলে, এর যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলোর হাত থেকে আপনি নিস্তার পাবেন। তাই এর যে সতর্কতা গুলো রয়েছে সেগুলোকে অবলম্বন করতে হবে।

  • এটি ব্যবহার করার আগে ডাক্তার পরামর্শ নিতে হবে। কারণ হঠাৎ করে চুল পড়া কারণে যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই সবদিক নিশ্চিত করে তারপর ব্যবহার করতে হবে যে, এটি ব্যবহার করা আপনার উচিত নাকি উচিত নয়।
  • আপনার যদি কোন অ্যালার্জির সমস্যা থাকে কিংবা অন্যান্য ত্বকের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারকে জানাতে হবে। যেন তিনি সব বিষয় নিশ্চিত হতে পারে।
  • আর ডাক্তার যেভাবে এটিকে ব্যবহার করতে বলছে ঠিক সেভাবে ব্যবহার করতে হবে।
  • আপনি যদি মিনোক্সিডিল অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে থাকেন তাহলে, অবশ্যই সেই ডাক্তারকে জানাতে হবে। আর যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তাহলে দেরি না করে হাসপাতালে যেতে হবে।

বাংলাদেশে মিনোক্সিডিল ট্যাবলেট এর দাম কতঃ

বাজারে যেহেতু মিনোক্সিডিল এর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাওয়া যায়।। এর কয়েকটি ব্র্যান্ড রয়েছে বাজারে বেশি বিক্রি করা হয়। তাহলে চলুন জেনে নিই  মিনোক্সিডিল ব্র্যান্ড অনুযায়ী এর দাম গুলো।মিনোক্সিডিল এর বিভিন্ন ব্র্যান্ড রয়েছে। আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছামত ব্র্যান্ড নিতে পারেন।

  •  যারা স্বল্প মূল্যে মিনোক্সিডিল খুঁজছেন তাদের জন্য স্প্রেলেডোরা অনেক ভালো হবে। এর বাজার মূল্য ৬০০ টাকা।
  • হেয়ার ব্যাক ইন্ডিয়ান মিনোক্সিডিল এর মার্কেট প্রাইস  ৭১৫ টাকা।
  • ব্রিনটোপ মাঝে মাঝে এর দাম বেড়ে যায় এবং কমে যায়। তবে এটি ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ড রয়েছে আপনারা চাইলে খোঁজ করে নিতে পারেন। এগুলোকে অনলাইন ও কিনতে পাওয়া যায় আপনারা চাইলে সেখান থেকেও নিতে পারেন।

মিনোক্সিডিল কি চুল গজায়

মিনোক্সিডিল হলো একটি পুনর্নিমিত্ত দ্রব যা ব্যবহার করা হয় ছালা পৃষ্ঠ বৃদ্ধি করার জন্য। এটি প্রায়ই ছালার ঝুলসানি এবং মড বালিং রোধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। মিনোক্সিডিল ব্যবহারে অনেকে দেখেন ছালা গজে উঠতে পারে এবং পৃষ্ঠের পুনর্নিমিত্ত অনুমান বৃদ্ধি হতে পারে। 

এটি মহিলাদের ছালার ঝুলসানি এবং ছালার হার্ট অব ছালা নির্মাণের জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। তবে, মিনোক্সিডিল এই ফলাফলটি নিশ্চিত করতে কোনও নিশ্চিততা নেই, এবং এর ফলাফল ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পর্যাপ্তভাবে ভিন্ন হতে পারে।

মিনোক্সিডিল ৫ প্রাইস ইন বাংলাদেশ

বাংলাদেশে মিনোক্সিডিল ৫% এর দাম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ফার্মেসি থেকে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত এটি বিভিন্ন ব্রান্ডে উপলব্ধ থাকে এবং তাদের মূল্য বিভিন্ন হতে পারে। আপনি মিনোক্সিডিল ৫% এর দাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে স্থানীয় ফার্মেসি বা অনলাইনে মেডিকেল সাপ্লাই স্টোর থেকে অনুসন্ধান করতে পারেন। 

বিভিন্ন ফার্মেসি রিটেইলার এবং অনলাইন ফার্মেসি এই পণ্যটি বিক্রয় করতে পারে, এবং তারা মূল্যের ভিত্তিতে পণ্যটি উপলব্ধ করায় পারে। প্রতিষ্ঠানের পোস্টেড মূল্যের উল্লেখ থাকতে পারে, তবে সময়ের প্রবর্তনে মূল্য পরিবর্তন হতে পারে।

মিনোক্সিডিল কতদিন ব্যবহার করতে হবে?

মিনোক্সিডিল মূলত চুলের সমস্যার সমাধান করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর ট্যাবলেট অথবা স্প্রে দিনে দুইবার মাথার ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে। আর ট্যাবলেট হলে সেটিকে দুইবার খেতে হবে। এছাড়াও এটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তারা এটি এমন একটি ওষুধ যেটি সাবধানতার সাথে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। তাই অল্প সমস্যায় হুট করে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। তাই অবশ্যই সাবধানতার সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এটিকে দিনে দুইবার এবং চার মাস পর্যন্ত ব্যবহার করলে এর ফলাফল পাওয়া যায়। এছাড়াও ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা ভালো।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে লাগবে। যদি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি কোন ভাবে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। কেননা আজকে আর্টিকেলে মিনোক্সিডিল এর কাজ কি -  মিনোক্সিডিল দাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যাদের চুল পড়ার সমস্যা আছে তাদের জন্য অনেক উপকৃত হবে।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url