জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয়

জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয় বর্তমানে অন্যান্য রোগ গুলোর মধ্যে ক্যান্সারের সমস্যা অনেক বেড়ে গেছে। আর মেয়েদের মধ্যে বিশেষ করে জরায়ু ক্যান্সারের সমস্যা আরো বেড়ে গেছে। অন্যান্য দেশে তুলনায় বাংলাদেশ এই ক্যান্সারের সমস্যা অনেক বেশি। কারণ মেয়েরা এসব বিষয়ে আগে থেকে সচেতন থাকে না। শুধু সচেতনতা নয় এই জ্বরের ক্যান্সার হওয়ার কারণ এবং পূর্ববর্তী লক্ষণগুলো সম্পর্কেও জানেনা। এইসব বিষয় না জানার কারণে অনেক সময় নিরীহ মেয়েদের প্রাণ চলে যায়। 

জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয়

তাই অবশ্যই একটি ভালো জীবন যাপন করতে হলে, এইসব সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে হবে।। এইসব বিষয়ে যদি আগে থেকেই জানা যায় তাহলে, সময় থাকতে প্রতিরোধ করা সম্ভব। অনেকে মনে করেন যে, ক্যান্সার হলে এর কোন প্রতিরোধ নেই। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। আগে থেকে লক্ষণ গুলো জানার পর সময় থাকতে ডাক্তারের কাছে যাওয়া যাবে। আর সময় থাকতে যদি ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় এবং চিকিৎসা করা যায় তাহলে অবশ্যই এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাহলে চলুন জেনে নেই জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয় ।

জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয়

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয়।  তাহলে চলুন জেনে নেই জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে সকল তথ্য। যদি না জেনে থাকেন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয়। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই বিস্তারিত আলোচনা। আজকে আমরা কথা বলবো জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয় এবং কোথায় দিতে হবে। 

জরায়ুর মুখে ক্যান্সারের টিকা ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সে যে কোন কিশোরী নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে টিকা নিতে হবে দুটি ডোজ। সে ক্ষেত্রে ৯০% সেই কিশোরী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ডেভলপ করবে। প্রথম টি যেদিন নিবে ঠিক সেদিন থেকে ছয় মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। যাদের বয়স ৪৫ বছর হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে তিনটি ডোজ নিতে হবে প্রথম ডোজ যেদিন নিবে ঠিক তার এক মাস পরে দ্বিতীয় এবং তার ছয় মাস পরে তৃতীয়ডোজ নিতে হবে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরে গেছেনজরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয়।

জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম।জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয়

আপনি কি জানেন জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পর্ব আপনার জন্য কেননা এই পর্বে আমরা আলোচনা করব জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম সম্পর্কে। তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেই জোড়ার মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম কত। আমরা আগের পর্বের আলোচনা করেছে জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয় সে সম্পর্কে। 

এ পর্বে আমরা আলোচনা করব জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম সম্পর্কে। কিছুদিন আগে বেসরকারি হাসপাতালে জরায় মুখের ক্যান্সারের টিকা সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে নেয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে সরকার এটি বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে এইচ ভিপি ভ্যাকসিন বিনামূল্যের সরকার দিচ্ছে। যে টিকাটি দিলে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি ৯০% কম হবে।

কাদের জরায়ুর ক্যান্সার হতে পারে?

অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জরায়ু ক্যান্সারে হার বেশি। প্রতি বছর জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অনেক মা এবং তরুণীরা মারা যাচ্ছে। যারা যেমন হয় তেমনি এর প্রতিকারও কিন্তু রয়েছে। কিন্তু সেটি হয়তো অনেকেই জানে না। আর এই অসচেতনতার কারণে অনেক নারীদের মৃত্যু হচ্ছে। তাই আমাদের জানতে হবে যে, জরায়ু ক্যান্সারের সচেতনতা সম্পর্কে। শুধু সচেতনতা নয় জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে অনেক তথ্য আমাদের জানা প্রয়োজন। 

বিশেষ করে নারীদের এ বিষয়ে জানতে হবে। জানাও পরবর্তীতে জরো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তাই আমাদের সবার প্রথমে জানতে হবে কাদেরজরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে।এটি জানা প্রয়োজন কারণ, যাদের জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের আগে থেকে সচেতন থাকতে হবে এবং নিজের খেয়াল রাখতে হবে। তারা যদি আগে থেকে সচেতন হতে পারে তাহলে এই জরায়ুর ক্যান্সার এর সমস্যা বেড়ে যাবে না। 

আগে থেকে সচেতন হতে পারলে তার মৃত্যুর হার অনেকটাই কমে যাবে। আর তাদের জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার কারণগুলো জানতে পারলে, বাংলাদেশের জরায়ুর ক্যান্সারের হার অনেকটাই কমে যাবে।তাই অবশ্যই আগে থেকে সচেতন হতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই কাদের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোন রোগকে নির্মূল করতে হলে, প্রথমে এসে রোগের কারণ জানতে হবে। আর আমরা যদি কারণটি জানতে পারে তাহলে সে রোগের নির্মূল করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাই অবশ্যই আগে রোগের কারণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

যাদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়

বাংলাদেশের জরায়ু ক্যান্সারের হার বেশি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো, মেয়েদেরঅল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ বাল্যবিবাহ। আর এটি বাংলাদেশ অন্যান্য দেশে তুলনায় অনেক বেশি রয়েছে। শুধু তাই নয় আজকের এই আধুনিক বাংলাদেশ ও বাল্যবিবাহের মত সমস্যা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ এ বিষয়ে কিছু আইন করে দিয়েছে, কিন্তু তা দিয়েও এখনো পর্যন্ত বাল্যবিবাহ ঠেকানো যায়নি। কিন্তু অনেকাংশেই এর হার কমে গেছে। 

এই বাল্যবিবাহের কারণে মূলত মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সারের অনেক বেশি হয়ে থাকে। বাল্যবিভার কারণে শুধু যে জরায়ু কেন্দ্রের সমস্যা হয় তা কিন্তু নয় বরং শিশুর জন্ম দেওয়ার কারণে মৃত্যুর হারও অনেক বেশি হয়ে থাকে এসব নারীদের। আবার অনেক সময় মায়ের অপুষ্টির জন্যও মা ও শিশু মারা যায়। তাই তাদের অল্প বয়সে বিয়ে হচ্ছে তাদের জরায়ু ক্যান্সারের হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি রয়েছে।

কম বয়সে অধিক বাচ্চা প্রসব

বাল্লা বিহার পর এই সমস্যার কারণেও কিন্তু জরায়ু ক্যান্সারের সমস্যা হতে পারে। এটি শুধু ছোট বয়সে মায়েদের নয় বরং সব মায়েদের জন্যই হতে পারে। কারণ কি অধিক বাচ্চা প্রসবের জন্য জরায়ুতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে, আর সেই সমস্যাগুলো থেকে জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাল্যবিবাহেরপাশাপাশি কোন মা যেন অধিক সন্তান প্রসব না করেন সেই দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। 

আমাদের বাংলাদেশে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যে পরিবারে সাত আট জনের বেশি সন্তান রয়েছে একজন মায়ের। আগে এর হার বেশি হল বর্তমানে অনেক কমে এসেছে। কিন্তু এখনো অনেক জায়গায় দুইটি মেয়ে কিংবা দুইটি ছেলে হওয়ার পর একটি ছেলে অথবা একটি মেয়ের আশায় অনেকেই সন্তান নেয়। আবার অনেকে এরকম করে চার-পাঁচটা সন্তান নেই। শুধু তাই নয় অনেক পরিবারে বংশের প্রতীকের জন্য জড়াজড়ি করে মূলত ছেলে সন্তান নিতে হয়। 

এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে যেসব কারণে নারীদের অধিক বাচ্চা প্রসব করতে হয়। আর এই বাচ্চা প্রসবের হার যদি কমানো যায় তাহলে, জরায়ু ক্যান্সারের হার ও অনেকাংশে কমে যাবে।এইসব কারণ ছাড়াও আরো কারো রয়েছে যেসব কারণে  জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে। জরায় ক্যান্সার মূলত এক ধরনের ভাইরাসের কারণে হয়। জরায়ু ক্যান্সার হয় মূলত বেশিরভাগ ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীদের। জরেও ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেও প্রথমদিকে বোঝা যায় না যে তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন। 

জরায়ু ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার দু-তিন বছর পর বোঝা যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অনেক দেরিতেও বোঝা যায়। অনেকে মনে করেন যে ক্যান্সার হলে এরকম কোন উপায় নেই। কিন্তু আগে থেকে ক্যান্সার বিষয়ে যদি কেউ সচেতন হতে পারে তাহলে, এর রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই সকলের জানা প্রয়োজন কিভাবে প্রতিরোধ করতে হয়। শুধু তাই নয় এটিও জানতে হবে যে কি কি কারনে ক্যান্সার হতে পারে।

জরায়ু মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আপনারা জানতে চেয়েছেন জরায়ু মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন জরায়ু মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি।

এতক্ষন আমরা জানলাম জরায়ু ক্যান্সার কাদের হতে পারে। এটিই জানার পাশাপাশি জরায়ু মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কেও জানতে হবে । প্রাথমিক লক্ষণ গুলো যদি আগে থেকে জানা যায় তাহলে যারা ক্যান্সার প্রথম থেকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী যারা ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন কারণ, তারা আগে থেকে জরায়ু মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হয় না। আর এই সচেতন না হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে জরায় ও ক্যান্সার আর বাড়তে থাকে। 

আর যতদিনে তিনি এই জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে জানতে পারেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। জোরেও ক্যান্সার চিকিৎসা করা সম্ভব কিন্তু তার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। না হয় তাহলে পরবর্তীতে এ থেকে মৃত্যু হতে পারে। তাই অবশ্যই প্রতিটা মেয়েদেরই জানা প্রয়োজন যে, ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি। আর এ লক্ষণ গুলো সম্পর্কে যদি আগে থেকেই সচেতন হওয়া যায় তাহলে, যারা ও ক্যান্সারের চিকিৎসা করা সম্ভব। অনেকে মনে করেন যে ক্যান্সার হলে তা থেকে নিস্তার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই ধারণাটি ভুল। অবশ্যই ক্যান্সার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব তবে, এর পূর্ববর্তী লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই জরায়ু ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি কি?

অতিরিক্ত ঋতুস্রাব

জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি লক্ষণ হল অতিরিক্ত ঋতুস্রাব। নারীদের স্বাভাবিকভাবে স্রাবের সমস্যা থাকে তবে, এটি যদি অত্যধিক আকারে হয় তাহলে সত্যি এটি চিন্তার বিষয়। শুধু অতিরিক্ত নয় যদি ঋতুস্রাব গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে, তাহলেও এটি জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি শুধু জরায়ু ক্যান্সার নয় বরং অন্যান্য ক্যান্সারের ও লক্ষণ হতে পারে। 

তাই এই বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে সচেতন থাকতে হবে, তাহলে যখন এই সমস্যা দেখা যাবে তখনই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যাবে। আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রথমে জানা যাবে যে তার জরায়ু ক্যান্সার হয়েছে নাকি হয়নি। আর যদি হয়েও থাকে তাহলে সে বিষয়ে সম্পর্কে আগে থেকে চিকিৎসা নেয়া হলে তার এ জরায়ুর ক্যান্সার ভালো হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই কিন্তু এ বিষয় সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। নইলে পরবর্তীতে এই সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।

অনিয়মিত মাসিক

অনেক সময় দেখা যায় মেয়েদের আগে ঠিক সময় মত । মাসিক হতো তবে ইদানিং ধরে দুই মাসের মাঝখানে মাসিক হয়। আর এই সমস্যা ধীরে ধীরে আরও বাড়তে থাকে। এই দুই মাস আরও বেশি সময় পরিণত হয়। এরকম সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। তবে এই সমস্যা হলেই যে জরায়ুর ক্যান্সারের সমস্যা তা কিন্তু নয় তবে লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি। তাই এরকম সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আগে থেকে পরীক্ষা করে নিতে হবে আপনার ক্যান্সারের সমস্যা আছে কিনা। 

বর্তমান সময়ে এ ধরনের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় 15 থেকে 20 বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে। তাই তাদের যদি এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে, আগে থেকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শুধু অনিয়মে তো মাসিক হয় বরং অতিরিক্ত ব্লিডিং এর সমস্যা হলেও বুঝতে হবে যে, হয়তো আপনার জরাল ক্যান্সার রয়েছে। কারন এটিও জড়াও ক্যান্সারের একটি অন্যতম লক্ষণ। তা এ ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই আগে থেকে সচেতন হতে হবে। 

আর জরায়ু ক্যান্সার না হলেও যদি অন্য নিয়মিত মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলেও সচেতন হতে হবে। কারন প্রথম দিক থেকে সচেতন না হলে, ধীরে ধীরে এই সমস্যা আরো বেড়ে যায় এবং মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অবশ্যই সচেতন হতে হবে এ বিষয়ে। এছাড়াও আরো যে পূর্ববর্তী লক্ষণ গুলো রয়েছে।

জরায়ু ক্যান্সার কিভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারেঃ

জরায়ু মুখে ক্যান্সার হয় মূলত এক ধরনের ভাইরাসের কারণে। আর সেই ভাইরাসের নাম হল পাপিলোমা ভাইরাস। আর এ ভাইরাসে মূলত শুধু মেয়েরাই আক্রান্ত হয়। এই জরায়ু ক্যান্সার অর্থাৎ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে যেমনঃ ছোট বয়সে বিয়ে দেওয়া অর্থাৎ বাল্যবিবাহ দেওয়া। শুধু এ কারণেই নয় বরং আরো কিছু কারণ রয়েছে তার মধ্যে অধিক সন্তান প্রসব করার কারণেও জরায়ুর ক্যান্সারের সমস্যা হতে পারে। 

আবার অনেক সময়ে যৌন মিলনের সময় পুরুষের কাছ থেকে নারীর দেহে এই ভাইরাসটি ঢুকে যায়। তবে ভাই সঙ্গে সঙ্গে ঢোকার পরে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয় না। ক্যান্সার হতে সময়ের প্রয়োজন হয়। ক্যান্সার হতে যে শুধু সময় প্রয়োজন হয় তা নয় বরং ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো বুঝতেও সময়ের প্রয়োজন হয়। লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে দেখা যায়। লক্ষণগুলো জানার পাশাপাশি এই জরায়ু ক্যান্সার কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেটি সম্পর্কেও জানতে হবে। 

আমরা যদি জরায়ুর ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হতে পারি তাহলে অনেক নিরীহ মেয়ের প্রাণ বেঁচে যাবে। অনেকে মনে করেন যে ক্যান্সার হলে, এ থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। সময় থাকতে যদি এ বিষয়ে সচেতন হওয়া যায় তাহলে, অবশ্যই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এতক্ষণ জানলাম জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ এবং কারণ সম্পর্কে। এগুলো জানার পাশাপাশি আমাদের এর প্রতিরোধ কিভাবে করা যায় সেটি সম্পর্কে জানতে হবে।

বাল্যবিবাহ রোধ করা

জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে হলে প্রথমেই বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে। কারণ এটি বাংলাদেশে অধিক জরায়ু ক্যান্সারের হাড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই প্রথমে জরায়ু ক্যান্সারের হার কমাতে হলে অবশ্যই বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে। বাল্যবিভার কারণে যে শুধু এই জরায়ু ক্যান্সার ছড়িয়ে যায় তা কিন্তু নয় বরং আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে সেগুলো ছুড়ে যেতে পারে। 

যেমনঃ এইচআইভি এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে তাদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। আবার কম বয়সে সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে ও তাদের মৃত্যু হতে পারে। তাই জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে হলে সর্বপ্রথমে বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে। আর এ বাল্যবিবাহ রোধ করার মাধ্যমেও জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

অধিক সন্ধান প্রসব না করা

অধিক সন্তান প্রসব করা জরায়ু ক্যান্সারের অন্যতম একটি কারণ। তাই যদি অধিক সন্তান প্রসব করার বিষয়টিকে কমানো যায় তাহলে জরায় ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যেতে পারে। অধীর সন্তান প্রসব করার কারণে শুধু জরায়ু ক্যান্সার নয় আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায় যেমনঃ প্রসবকালীন সময়ে মায়ের মৃত্যু হতে পারে, জরায়ুতে অন্য কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে। 

এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে যেগুলো এই অধিক সন্তান প্রসব করার জন্য হয়ে থাকে। তাই শুধু জল ক্যান্সারের জন্য এদিকে প্রতিরোধ করার প্রয়োজন নই পড়া নারীদের আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে এদিকে প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। তাই জ্বরের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিন গ্রহণ করা

জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য বর্তমানে এক ধরনের ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। যেটির মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর এই ভ্যাকসিন ৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সে মেয়েদেরকে দেওয়া হয়ে থাকে। এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আগে থেকে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে। এই ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার আগে ধ্বংস হয়ে যাবে। 

তাই জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। প্রত্যেকটা মেয়েদের উচিত এই ভ্যাকসিন নেওয়া। এর মাধ্যমেও এই মাধ্যমেও জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই এটি সম্পর্কে সকলেরই জানা প্রয়োজন। জানার পাশাপাশি সময় থাকতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। এভাবেই ভ্যাকসিন দিতে থাকলে , একটা সময়ে জরায়ু ক্যান্সার অনেকটাই কমে যাবে।

লক্ষণ গুলো দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে

জরায় ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে, অবশ্যই এ লক্ষণগুলো যদি দেখা যায় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ সময় থাকতে যদি চিকিৎসা করা যায় তাহলে, এই রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর সময় থাকতে যদি চিকিৎসা না করা হয় তাহলে পরবর্তীতে এই সমস্যা আরো বেড়ে যাবে এবং এর প্রতিরোধ করা যাবে না। 

তাই অবশ্যই নতুনগুলো জানার পাশাপাশি, যদি এ লক্ষণগুলো কারো মধ্যে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। দিক এভাবে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিটা বিষয়ের উপর খেয়াল রাখলে খুব সহজে প্রতিরোধ করা যাবে। তাই সুস্থ স্বাভাবিক জীবন পেতে হলে, অবশ্যই এসব বিষয় সম্পর্কে আগে থেকেই জ্ঞান থাকতে হবে।

শেষ কথা।জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয়

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই আর্টিকেলের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাতে পেরেছি জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা কোথায় দেওয়া হয় এবং জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম আরো বিস্তারিত আলোচনা। আজকে আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন তাহলে বেঁচে যেতে পারে আরেকটি জীবন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url