তুরস্ক কাজের বেতন ২০২৪ - তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত


তুরস্ক কাজের বেতন ২০২৪। আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক পাঠিকা,আপনাদের সাথে আলোচনা করবো তুরস্ক বিষয়।আপনারা শুধু এটকু ধৈর্য আর মনোযোগ দিয়ে সম্পন্ন লেখাটি পড়বেন তবে আপনাদের তুরস্ক দেশের বিষয় ধারনা হবে।শুধু আজ তুরস্ক বেতন বিষয় আলোচনা করবো না।মোটামোটি তুরস্ক সব সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো।

তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত

তুরস্ক রাষ্ট্র বিষয় আপনাদের অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে।যেমন ধরুন তুরস্ক রাষ্ট্র কেমন?সেখানে কাজের চাহিদা কেমন,কেমন কাজ এ কেমন বেতন পাওয়া যায়?কিভাবে যাওয়া যায় তুরস্ক যেতে কত টাকা লাগে?কাজের ভিসার দাম কত? তুরস্ক ভিসা কি ভাবে পাবো?ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র লাগে?কারখানার শ্রমিকদের বেতন কত?এই সব বিষয়ে আপনাদের জানাবো,আশা করা যায় পুরো বিষয়গুলো ধৈর্য আর মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনাদের সুবিধা হবে। তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেই তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত তুরস্ক কাজের বেতন ২০২৪।

তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত।তুরস্ক কাজের বেতন ২০২৪

প্রিয় পাঠক আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়েছেন তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত। আবার আরো অনেকে জানতে চেয়েছেন  তুরস্ক কাজের বেতন ২০২৪। সেই নিয়েই আজকের আলোচনা।তুরস্ক হলো ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ ৷ তুরস্ক এর প্রায় ৯৯ ভাগ মুসলিম ৷ এশিয়া ও ইউরোপ এ অবস্হিত একটি দেশ তুরস্ক ৷ তুরস্ক ৮ হাজার বছর এর পুরনো দেশ ৷ এই দেশ এর প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষ গুলো মুসলিম ৷ তারপর ও এই দেশ টি ধর্ম নিরপেক্ষ ৷ এ দেশের নারী দের দেওয়া হয় সব রকম এর স্বাধীনতা ৷ এই দেশ টি এর জনসংখ্যা ৮ কোটি ২০ লক্ষ ৷ 

বিখ্যাত ২০ টি দেশ এর মধ্যে ১ টি হলো তুর্কি ৷ প্রতি টি ব্যাক্তি গড়ে মাসে প্রায় ৮ হাজার ডলার করে ইনকাম করে ৷ লাল রঙ এর টুপি পরা এই দেশ টি তে পুরো পুরি নিষিদ্ধ ৷ এই দেশ টি তে বেশ কয়েক বার ভূমিকম্প হয়েছে ৷ যার মধ্যে সব চেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ২০২৩ সাল এ হয়েছে ৷ যার ফলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ কিছু কিছু দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে ৷ তুরস্ক এর মানুষ সোস্যাল মিডিয়া আসক্ত ৷ ফেসবুক একাউন্ট এর দিক দিয়ে বিশ্ব এর তৃতীয় …

তুরস্ক দেশ কেমন?

আগের পর্বে আমরা জেনেছি তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত। এই পর্বে আমরা জানবো তুরস্ক দেশ কেমন।তার্কি বা তুর্কি হল লেড অব তারাস অথাৎ তুর্ক জনগোষ্ঠীর ভূখণ্ড। তুর্ক একটি নিত্যানতিক জনগোষ্ঠীর নাম।যারা হাজার বছর ধরে এ ভূখণ্ডে বসবাস করতো।এ কারনে এ তুর্কি বা তার্কি যা বাংলাতে বলা হয় তুরস্ক।আমরা অনেকে ভেবে থাকি তুর্কি আর তুরস্ক দুইটি দুই দেশ। এ দেশের সরকারী নাম রিপাবলিক অফ তার্কি। এ দেশের রাজধানীর নাম আনঙ্কারা।লিরা এ দেশের মুদ্রার বাম।সৃষ্টিকর্তা হয়তো অতি নিপুন যন্তে গড়ে তুলেছেন এই দেশ।

তুরস্ক কিন্তু একটি নয় দুটো মহাদেশ জুড়ে অবস্হিত।ভৌগলিক ভাবে  তুরস্ক অবস্থান এশিয়া এবং ইউরোপ এর মাঝে।এশিয়ার পশ্চিমে এবং ইউরোপ এর দক্ষিণ পূর্বে এই অবস্হান তুরস্কের। তুরস্ক একটি ইসলামিক দেশ এবং মর্ডান দেশ নামে পরিচিত।এটি পৃথিবীর একমাত্র ইসলামিক রাষ্ট্র যাদের আচার আচরন ইউরোপীয়ান দেশের মত। এ দেশে ৮৫ হাজার মসজিদ রয়েছে।

এ দেশ ৯৭ শতাংশ এশিয়াতে এবং বাকি ৩শতাংশ ইউরোপে অবস্থিত।এ দেশে ৯৯ শতাংশ মানুষ মুসলিম,তবে এ দেশের মোট জনসংখ্যা ৮ কোটি।জনসংখ্যার দিক থেকে এ দেশের অবস্হান বর্তমান ১৭ নাম্বার।পর্যটনদের জন্য এ দেশকে সবচেয়ে সুন্দর একটি দেশ বলা হয়ে থাকে।এ দেশের লোকজন বেশিরভাগ দেশ প্রেমি হয়ে থাকে যার কারনে খুব খারাপ অবস্থা হলেও কেউ এ দেশের বিরুদ্ধে কিছু বলে না।

এ ছাড়া এ দেশে ১০ এর থেকে বেশি UNESCO ওয়াল্ড হেলথ্ সাইড পাওয়া গেছে।এই দেশের মানুষ ২৫ শতাংশ গ্রামে এবং ৭৫ শতাংশ মানুষ শহরে বাস করে।এ দেশে এমন একটি ব্রীজ আছে  যা দুই মহাদেশের এপার থেকে অপর পাশে যাওয়া যায়।এ দেশে অন্যন্য দেশের তুলনায় অনেক কম দামে জিনিস কিনতে পারবেন। এ কথাটি বলার কারন হল আপনারা যাতে এই দেশে গিয়ে কখনো ঠকে না যান। এদেশের একটি বিখ্যাত শহরের মধ্যে একটি শহর ইস্তাম্বুল। এই শহরে এদিকে এশিয়ার জন্য বিমানবন্দর রয়েছে অপর দিকে ইউরোপ এর জন্য বিমানবন্দর রয়েছে।

কি কি ভিসায় তুরস্ক যেতে পারবো?

বাংলাদেশ থেকে যেসব নাগরিক তুরস্ক যেতে চান তারা ঢাকা দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। দূতাবাসের বিভিন্ন ধরনের ভিসা ইস্যু করে থাকে।

১.ট্যুরিস্ট ভিসা/ ভিজিট ভিসা

২.স্টুডেন্ট ভিসা

৩.ওর্য়াক পারমিট ভিসা 

জেনে নেই কি ভাবে আবেদন করবো:

ট্যুরিস্ট ভিসা/ ভিজিট ভিসা:ভিজিট ভিসার জন্য দূতাবাসে যে সকল ফরম রয়েছে তা সম্পূর্ণ করতে হবে।এটা কঠিন কোন বিষয় নয়। তবে একটা কথা  অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আপনাকে অন্তত ৩ দেশ ভ্রমন করতে হবে এবং ৩টি দেশের ভিসা আপনার পাসপোর্ট এ থাকতে হবে। তা ছাড়া আবেদন এর সময় আপনার  কিছু কাগজ পত্র লাগবে-

১ব্যাংক ইস্টেটমেন্ট

২ট্রাভেলিং ইন্সুইরেন্স 

এনওসি পেপার( যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠান জব করেন বা স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তবে সেই প্রতিষ্ঠান বা কলেজ থেকে এনওসি কাগজ আনতে হবে)

ট্রাভেল ইন্সুইরেন্স করতে হলে করতে হলে অবশ্যই আপনাকে তুর্কি ভিসা সেন্টার থেকে করতে হবে।এসব তথ্য গুলো আপনি সম্পূর্ণ করতে পারলে সহজে ভিসা পেয়ে যাবেন।

স্টুডেন্ট ভিসা:আবেদন করার জন্য বাংলাদেশে অনেক এজেন্ট আছে যারা তুর্কি ভিসা নিয়ে কাজ করে।তাদের মাধ্যমে আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।  তবে আপনি দুইটি প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন

১.ব্যাচেলার প্রোগ্রাম 

২.মাস্টার্স প্রোগ্রাম 

ব্যাচেলার প্রোগ্রাম এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই H.S.C পাস করতে হবে।মাস্টার্স প্রোগ্রাম এর জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই ব্যাচেলার ডিগ্রি সম্পূর্ণ করতে হবে।এসব প্রোগ্রাম এর জন্য বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট তুরস্ক গিয়ে থাকে।তবে ব্যাচেলার প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই 3 পয়েন্ট থাকা লাগবে।আর মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন এর জন্য আউট অফ 4 মধ্যে 3পয়েন্ট থাকা লাগবে।তবে আপনারা আবেদন করে তুরস্ক যেতে পারবেন।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা:আপনি যদি তুরস্ক কাজ করতে চান অবশ্যই আপনার তুরস্ক কাজের ভিসা প্রয়োজন হবে।তুরস্কে কাজের ভিসার জন্য অবশ্যি আপনাকে তুরস্ক কোন কোম্পানি থেকে চাকরির অফার পেতে হবে।কোম্পানিটি আপনাকে একটি ভিসা স্পনসার করবে এবং আপনাকে একটি ভিসার আবেদনপত্র পূরন করতে হবে।তুরস্ক কাজের ভিসা সাধারনত ১ বছর এর জন্য প্রদান করে।আপনি ১ বছর এই ভিসা নবায়ন করতে পারবেন।তা ছাড়া তুর্কি কাজের ভিসা সম্পর্কে আরো তথ্য জানার জন্য তুরস্ক দূতাবাসে যোগাযোগ করতে পারেন।

বিভন্ন ক্যাটাগরি ভিসা দাম?তুরস্ক কাজের বেতন ২০২৪

ভিসার ক্যাটাগরি ভিত্তিতে ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।সেক্ষেত্রে জানা যায় কোন ভিসায় কত টাকা লাগে। আপনি যেহেতু বিভিন্ন ভিসায়  যেমন-স্টুডেন্ট ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা,ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি ভিসায় তুরস্ক যাওয়ার চিন্তা করছেন  সেক্ষেত্রে  ভিসার আবেদনের খরচের ব্যাবধান অনেক।তুরস্কে যাওয়ার জন্য   সরকারি ভাবে যদি ভিসা পেতে চান তবে আপনার  ৩-৫ লক্ষ টাকা  ভিসা পাবেন।

ট্যুরিস্ট ভিসার দাম:  যারা তুরস্কে ভ্রমণ বা পর্যটক  হিসেবে যেতে চান তবে আপনার যে পাসপোর্ট রয়েছে সেই পাসপোর্ট এ অবশ্যই ৩ টি রাষ্ট্রের ভ্রমণ ভিসা থাকতে হবে।এ ক্ষেতে আপনাকে কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে।

১.  এন আইডি কার্ড 

২.জন্মনিবন্ধন( ডিজিটাল)

৩.পাসপোর্ট সাইজের ৫-৬ কপি ছবি।

৪.পাসপোর্ট( অবশ্যই ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)

ট্যুরিস্ট ভিসায় তুরস্ক গেলে আপনার খরচ হবে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা।

স্টুডেন্ট ভিসা:আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় তুরস্ক যেতে চান তবে আপনার ভিসা প্রসেসিং করতে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সময় লাগবে। আপনি ১ বছর বা কয়েক বছর বৈধতা অনুযায়ী উচ্চ শিক্ষার জন্য এ দেশে থাকতে পারবেন।স্টুডেন্ট ভিসা যদি আপনি সরকারি ভাবে পেয়ে থাকেন  সেক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং করার সময় অল্প টাকা লাগে এবং সরকারি ভাবে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা লাগে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: আপনি সর্বনিম্ন ৫৫০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আবেদন ফি পরিশোধ করে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য দালালের মাধ্যমে তুরস্ক যেতে চান তবে আপনার খরচ পড়বে বেশি।তা ছাড়া কাজের ভিসার দাম হয়ে থাকে সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা আর সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা।

তুরস্কের রাজধানী ও মুদ্রার নাম কি

ইস্তাম্বুল কে তুর্কি দেশ এর রাজধানী অনেক মানুষ মনে করে কিন্তু দেশ টি এর রাজধানী হলো আঙ্কারা ৷ আর তুরস্ক দেশ টি এর মুদ্রার নাম হলো লিরা ৷ তুরস্ক এর সিংহ ভাগ ভুখন্ড এশিয়া মহা দেশ এ থাকলে ও এই দেশ টির ছোট একটি অংশ ইউরোপ মহা দেশ এ অবস্হিত ৷ তুরস্ক দেশ টি এর যে অংশ এশিয়া মহা দেশ এ অবস্হিত যে অংশ টি আনাতোলিয়া নামে পরিচিত ৷ 

তুর্কি এর় যে অংশ টি ইউরোপ এ অবস্হিত সে অংশ টি তুর্কিড ট্রেস নামে পরিচিত ৷ ইউরোপ এর অংশ টি দক্ষিণ বারকা উপদ্বীপ এ দক্ষিণ কোণে অবস্হিত ৷ সেখানে রয়েছে তুরস্ক দেশ টি এর বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুল এর কিছু অংশ অবস্হিত ৷ দীর্ঘ দিন আগে তুর্কি দেশ এর রাজধানী ইস্তাম্বুল ছিল কিন্তু এখন তা পরিবর্তন হয়ে তুরস্ক এর রাজধানী আঙ্কারা করা হয়েছে ৷ অর্থাৎ বর্তমান সময়ের তুরস্ক দেশ টি এর রাজধানী আঙ্কারা কিন্তু বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুল কে বলা হয় ৷

ভিসা প্রসেসিং করতে কি কি কাগজ লাগে?

প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দিয়ে ভিসা প্রসেসিং করা হয়।তবে আমরা অনেকে ভিসা প্রসেসিং এর সময় ভুল করে থাকি, অনেকে ভেবে থাকি কি কাগজ দিয়ে ভিসা প্রসেসিং করবো,আমরা জেনে নেই কি কি কাগজ লাগবে।

১. পাসপোর্ট 

২.৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট 

৩.টি আইএন সার্টিফিকেট  এর ফটোকপি 

৪.পাসপোর্ট সাইজের দুইকপি ছবি

৫.এন আইডি কার্ডের ফটোকপি 

৬.চাকরিজীবি হলে অফিস আইডি কার্ডের ফটোকপি। 

তুরস্ক কাজের ধরন কেমন?

তুর্কি বা তুরস্ক বলতে আমরা অর্ধেক এশিয়া অর্ধেক ইউরোপ এর অন্তগত।এ দেশে মূলত আমরা বাঙ্গালীরা বিভিন্ন উপায় গিয়ে থাকি।তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে এটি ট্রেড এ লোক নিয়োগ করে থাকে।কনট্র্যাকশন কাজের উপর লোক নিয়ে থাকে।এই ট্রেডগুলোতে রয়েছে জেনারেল লেবার থেকে শুরু করে টেকনিশিয়ান। 

যেমন ধরুন- স্টারিং কার্পেটার,স্টিল পিকচার,ফরম্যান,ইন্জিনিয়ার,ইলেক্ট্রিশিয়ান এই সব কাজে বেশি লোক নিয়ে থাকে।যেসব মূলত ট্রেড রয়েছে সে ট্রেড গুলো উপর আপনাকে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা এই কাজের উপর আপনাকে ট্রেনিং থাকতে হবে।এই ট্রেড এর উপর আপনার ভিসা হলে অবশ্যই আপনাকে এই ট্রেড এর উপর আপনার টেস্ট নিবে।আর যারা লেবার রয়েছেন বা যারা লেবার কাজে তুরস্ক যেতে চান তারা  শারীরিক শক্তি সম্পন্ন হলে নির্বাচন হবেন অন্য কিছু প্রয়োজন হবে না।বাংলাদেশ অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা তুরস্ক ওর্য়াক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজ করে।সে সব  এজেন্সি খুজে বের করতে হবে। 

ডিউটির ধরন কেমন?

জেনারেল লেবার যারা আছেন তাদের কাজের ধরন  ৮ ঘন্টা।তবে ৮ ঘন্টা বেশি ডিউটি করলে অভারটাইম পাবেন। খাবার খরচ আপনাকে বহন করতে হবে।ভিসার মেয়াদ থাকবে ২ বছর।তারা ৪০০-৫০০US ডলার স্যালারি পেয়ে থাকে।

যেগুলো ট্রেড এর ভিসা সেগুলো মূলত ৫০০-৬০০US ডলার স্যালারি  পেয়ে থাকে।৮ ঘন্টা ডিউটি ৮ ঘন্টার বেশি করলে অভারটাইম এতে একস্ট্রা টাকা বেতন এর সাথে যোগ হবে।খাবার খরচ আপনাকে বহন করতে হবে।

সরকারি ভাবে তুরস্কে কর্মী নিয়োগ দেয় কি?

হ্যা বাংলাদেশ দেশ থেকে অনেকে সরকারি নিয়োগের মাধ্যমে তুরস্ক গিয়ে কাজ করে থাকে।নারী পুরুষ উভয় কাজ করে থাকে।তুরস্কে  টেক্সটাইল সেক্টরে বিভিন্ন কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ করে থাকে। যেমন-টেক্সচারাজিং স্পিনিং, ডাইং, এসব কাজের জন্য লোক নিয়োগ করে। ২ বছর মেয়াদ থাকবে চাকরির জন্য তবে এই ২ বছর হবে আপনার জন্য নবায়নযোগ্য। সপ্তাহে ৬ দিন কর্মীকে ৮ ঘন্টা ডিউটি করতে হবে। ৫০ হাজার টাকা হবে তার মাসিক বেতন। কোম্পানি থেকে তার বিমান ভাড়া,চিকিৎসা, আসবাবপত্র, খাওয়া খরচ প্রদান করেন যে কোম্পানি থেকে নিয়োগ দিয়েছেন তারা।

 ১৮ থেকে ৩৫ বছরের বয়স হলে আপনি আবেদন করতে পারবেন। ইংরেজি ভাষা জানতে হবে এবং পারদর্শী হতে  হবে।  এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার শিক্ষাগত সার্টিফিকেট থাকতে  হবে।কর্মীকে সর্বনিম্ন ৫ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ৫ফুট ৫" হতে হবে।

আবেদন করতে কি কি লাগবে জেনে নেই-

১ ইংরেজিতে এক কপি জীবনবৃত্তান্ত 

 ২. পাসপোর্ট রঙিন কপি

৩.অভিজ্ঞতা সনদ( পূর্বে টেক্সটাইল এ কাজ করছেন কি না)

  তুরস্ক সর্বনিম্ন বেতন কত?

হাজারা হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ভাবে তুরস্ক কি ভাবে যাবো? কি কাজে যাবো? বেতন কেমন হবে? কোন কাজটি করলে বেতন বেশি পাবো,এসব প্রশ্ন আমাদের অনেকর মনের ভিতর ঘুরতে থাকে। দেশ থেকে বিদেশ পাড়ি দেয় মানুষ একটু ভালোভাবে জীবন যাপনের জন্য, পরিবার এর মানুষদের ভালো রাখার জন্য। 

২০২৩ সালে জুন মাসে সর্বনিম্ন বেতন নিধারিত করা হয় তুরষ্কে।একজন ব্যক্তির কর্মরত অবস্থায় বেতন সর্বনিম্ন নিধারন করা হয়  10,008.00  TRYথেকে 13,414.00TRY।যা আমাদের বাংলাদেশে ৪০হাজার টাকা থেকে ৪৫হাজার টাকা প্রায়। তুরস্ক আপনি সপ্তাহিক ভাবেও বেতন পেতে পারেন আবার মাসিক ভাবেও বেতন পেতে পারেন। এ দেশে 32.92 লিরা ঘন্টা প্রতি সর্বনিম্ন বেতন এর রেট।যা আমাদের বাংলাদেশের ১৩১ টাকা প্রায়।সর্বনিম্ন তুরস্ক মজুরি ওপর নির্ভর করে এই টাকা। আপনি যদি ভালো কোন উচ্চ পদে চাকরি করেন তাহলে আপনার বেতন হবে আরো অনেক বেশি।

শ্রমিকদের বেতন কেমন?

আপনার কাজের ওপর ভিত্তি করে আপনার বেতন এর মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে,আপনি যদি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ করে থাকেন তা হলে আপনার বেতন কম বেশি হবে।সাধারণ একজন শ্রমিকের তুরস্কে বেতন হয়ে থাকে ২৪০০ থেকে ৬২৮২  TR। যা বাংলাদেশে ১০০০০ হাজার টাকা থেকে ২১০০০হাজার টাকা।

তুরস্ক ইউরো নাকি লিরা ব্যবহার করেন?

লিরা তুরস্ক রাষ্ট্রের পছন্দের একটি মুদ্রা। দেশের প্রায় প্রতিটি জায়গায় সর্বোচ্চ গ্রহনযোগ্যতা ধরে রাখে।তবে কিছু কিছু জায়গায় অন্যানয় মুদ্রা ও ইউরো গ্রহন করা হয়।ধারাবাহিক ভাবে স্হানীয়রা এটি বেছে নেয়াতে বিনিময়ের হার এবং মূল্য ভালো দিয়ে থাকেন।


তুরস্কে কত ভাগ মুসলমান।তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত

তুরস্ক হলো ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ ৷ তুরস্ক এর প্রায় ৯৯ ভাগ মুসলিম ৷ এশিয়া ও ইউরোপ এ অবস্হিত একটি দেশ তুরস্ক ৷ তুরস্ক ৮ হাজার বছর এর পুরনো দেশ ৷ এই দেশ এর প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষ গুলো মুসলিম ৷ তারপর ও এই দেশ টি ধর্ম নিরপেক্ষ ৷ এ দেশের নারী দের দেওয়া হয় সব রকম এর স্বাধীনতা ৷ এই দেশ টি এর জনসংখ্যা ৮ কোটি ২০ লক্ষ ৷ বিখ্যাত ২০ টি দেশ এর মধ্যে ১ টি হলো তুর্কি ৷ তুরস্ক মুসলিম জনগন এর রাষ্ট্র হওয়ার পর ও এই দেশ টির নারী দের দেওয়া হয় পূর্ণ স্বাধীনতা ৷ 

তারা নিজেদের ইচ্ছা মতো জীবন যাপন করতে পারেন ৷ তুর্কি দেশ এর প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষ গুলো মুসলিম ধর্মালম্বি বাকি সব ১ ভাগ মানুষ অন্যান্য ধর্ম অনুসরণ করে থাকে ৷ তুরস্ক দেশ টি এর মানচিত্র চতুর্ভুজ এর মতো ৷ তুরস্ক দেশ টি ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করলে ও এই দেশ টির সকল মানুষ এর জীবন যাপন ইউরোপ এর অন্যান্য দেশ গুলো এর মতো ৷ 

এই দেশ এর একজন আরেক জন এর হাতে চুম্বন করা কে সম্মান এর প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে ৷ তুরস্ক দেশ টি এর যে সব মহিলা রা সরকারি সকল ক্ষেত্র গুলো তে চাকরি করতেন তাদের হিজাব পরিধান করা নিষিদ্ধ ছিল এক সময় ৷ তবে এখন আর তা মানা হয় না ৷

তুরস্কে নাগরিকত্ব পাওয়া কি না?

আমরা অনেকেই তুরস্কতে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে  যায়। এবং সেসব ভিসার মেয়াদকাল থাকে কম।যার জন্য আমাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে দেশে ফিরে আসতে হয়, আজ আপনাদের জানাবো কোন উপায়ে তুরস্কে আপনি নাগরিকত্ব পাবেন।

১.প্রথমত আপনাকে ৫ বছর তুরস্কে থাকতে হবে।(অবৈধ ভাবে নয় বৈধ ভাবে থাকতে হবে,তবে কোন স্টুডেন্ট ভিসা বা ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে থাকতে পারবেন না।)

২.বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব (যদি তুরস্ক কোন নাগরিক এর সাথে বিবাবে আবদ্ধ হন)

৩.জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব 

৪.বিশেষ নাগরিকত্ব

৫.বিনিয়োগ মাধ্যমে নাগরিকত্ব

তুরস্ক দেশে থাকতে হলে আপনাকে তুরস্ক সরকারকে দেখাতে হবে আপনি এই দেশকে ভালবাসেন এবং এই দেশে থাকতে ইচ্ছুক তাই এই দেশের নাগরিকত্ব চাচ্ছেন। 

এবার জেনে নেই নাগরিকত্ব তথ্য -

৫ বছর তুরস্ক থাকার নাগরিকত্ব

১.৫ বছর তুরস্কে থাকতে হলে আপনাকে কমপক্ষে শেষ এর ১ বছর বৈধ কোন চাকরি করতে হবে

২. ৫ বছরের ৬ মাসের বেশি তুরস্কে বাহিরে থাকা যাবে না।

৩ স্টুডেন্ট  বা ট্যুরিস্ট হিসেবে তুরস্কে থাকলে তা গন্য হবে না।

৪.নাগরিকত্ব পেতে আবেদন এর পর দেড় দুইবছর অপেক্ষা করতে হবে।

বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব -

১.বর বা কনে যে কোন একজন তুরস্ক নাগরিক হলে চলবে

২.কমপক্ষে ৩ বছর সংসার করতে হবে। ৩ বছরের ভিতর বিচ্ছেদ হলে নাগরিকত্ব পাবেন না।

৩.বিয়ের ৩ বছর পর নাগরিকত্ব এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব-

১.বর বা কনে যে কোন একজন তুরস্ক নাগরিক হলে চলবে।

২.সন্তান যেকোন দেশে জন্ম নিক না কেন সে নাগরিকত্ব পাবে।

৩.জন্মের পর পরই আবেদন করতে পারবেন

৪.মা বাবা বিদেশদী সন্তান তুরস্কে জন্ম নিলেও নাগরিকত্ব পাবে।

বিশেষ নাগরিকত্ব-

১.তুরস্কের স্বার্থে বিশেষ অবদান রাখবে এমন কোন বিদেশী নাগরিকত্ব পাবেন।

বিনিয়োগ মাধ্যমে নাগরিকত্ব:

১.তুরস্কে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।

২.বিনিয়োগ এর মাধ্যম-জমি কেনা,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করা,

৩.ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫০ জন তুর্কি নাগরিকে চাকরি দিতে হবে।

এছাড়া নাগরিকত্ব আবেদন করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশের কিছু কাগজপত্র দেখাতে হবে, যেমন আপনি বাংলাদেশের নাগরিক কি না? তবে তুরস্ক নাগরিকত্ব প্রসেসটি দেড় থেকে দুই বছর চালু থাকে।এই দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে তারা আপনাকে বিভিন্ন টেস্ট নিয়ে থাকে,আপনি তুরস্ক থাকেন কি না?আপনি চাকরি করেন কি না?যে বাসার ঠিকানা দিয়েছেন সেই বাসায় থাকেন কি না?তুরস্ক কোন অবৈধ কাজের সাথে জড়িত কি না? এসব জানার পর তুরস্ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে ফলাফল আসে আপনি নাগরিকত্ব পাবেন কি না।

শেষ কথা।তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত। তুরস্ক কাজের বেতন ২০২৪

 সবশেষ  বলছি আপনারা এই পোস্টির মাধ্যমে অনেক কিছু ধারনা পেয়ে থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আর যদি এই পোস্ট থেকে আপনি ভালো কোন ধারনা পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আশা করছি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন তুরস্ক কাজের বেতন ২০২৪ এবং তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url