ইন্টারনেট -বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় কত সালে

সুপ্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করি। কিন্তু কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ইন্টারনেট কি ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে। তাহলে এর সঠিক উত্তর হয়তো অনেকেই বলতে পারবে না। আজকের আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম নতুন একটি আর্টিকেল টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আজকে কি নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। হ্যাঁ আপনার সঠিক ধরেছেন আপনি আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ইন্টারনেট এবং বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় কত সালে এসব বিষয়।
ইন্টারনেট -বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় কত সালে

সারা বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইটি বা ইন্টারনেট প্রোটোকল নামে এক প্রমান্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদান করা হয়, তাকে ইন্টারনেট বা অন্তর্জাল বলে। এক বিশেষ ধরনের যোগাযোগ প্রযুক্তি যা বিশেষ যোগাযোগের সবথেকে সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই ইন্টারনেট সম্পর্কে এবং বাংলাদেশের ইন্টারনেট চালু হয় কত সালে।

ইন্টারনেটের ইতিহাসঃ

২ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ক্লেইনরক ল্যাবে বসে  ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের দুটি কম্পিউটারের মাঝে সংযোগ ঘটাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে ২৯ অক্টোবর দুইটি সাইটের মাঝে প্রথম সাফল্যভাবে তথ্য আদান প্রদান করা হয়। ঠিক সে মুহূর্তের জন্ম হয় ইন্টারনেটের পূর্বপুরুষ আরপানেট নেটওয়ার্কের। 

প্রতিরক্ষা গবেষণা বিভাগের গোয়েন্দা সংস্থা আরপা(advanced research project agency -ARPA) এর উদ্দেশ্য ছিল প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনা।ARPAর উদ্যোগে তৈরি করা হয় বলেই হয়ে এর নাম আরপানেট হয়। (advance research project agency network ARPANET) ২৫ জুলাই ১৯৭৩ প্রথম আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপতি হয়। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরপানেট এর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থগিত হয় লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের। ১৯৭৩ সালেই আরপানেটের রবার্ট বব কান এবংভিনটন গ্রে কারফ প্রথমবারের মতো তৈরি করেন ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল এবং ইন্টারনেটের প্রটোকল(TCP/IP), ইন্টারনেট কে পূর্ণতা দান করে। একে জানুয়ারি ১৯৮৩ আধুনিক ইন্টারনেট চালু করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। 

নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল প্রটোকলকে(NCP) ছড়িয়ে চালু করা হয় ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রোটোকল এবং ইন্টারনেট প্রটোকল(TCP/IP)। ১৯৮৯ সালে যুক্তরাজ্যের গবেষক টিম বারনাস লি প্রথম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড হয়ে ধারণার অবতারণা করেন এবং ১৯৯১ সালে WWW SOFTWARE ON INTERNET এর ঘোষণা দেন। ৩০ এপ্রিল ১৯৯৩ সালে ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে World Wide Web উন্মুক্ত করা হয়। ৬ জন ১৯৯৬ বাংলাদেশ ইন্টারনেট চালু হয়।

ইন্টারনেট সংস্কৃতিঃ

ইন্টারনেট সংস্কৃতি গুলো একটি সম্পূর্ণ নতুন সাংস্কৃতি যা আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত এবং ইন্টারনেটের আবিষ্কার ও বিকাশের ফলে উদ্ভব হয়। এটি মানসিকতা, আদর্শ, নীতি ও নীতিমালা, উচ্চতার ভাবনা এবং সম্প্রদায়ের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়। অর্থাৎ এটি ইন্টারনেট ব্যবহার ও পরিচালনায় যেসব সংস্কৃতি ও নীতিমালা রয়েছে তারা দ্বারা সংঘটিত ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সামাজিক ও সংস্কৃতিক মানসিকতা। 

ইন্টারনেট ব্যবহার করে সৃষ্টিশীল হওয়া এবং অনলাইনে কমিউনিটি, সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্স এবং বিভিন্ন ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তৈরি হওয়া যা পরিবর্তন করে সংস্কৃতিক প্রথাগতি। এটি দর্শকদের মধ্যে সম্প্রতিক সংস্কৃতির গঠন এবং প্রচারণার সম্পর্কে পরিচিত প্রদান করে এবং কিভাবে মানুষের সংস্কৃতি ও নীতিমালা পরিবর্তন হয় তা নিয়ে আলোচনা করে।

বিশ্ব ব্যবস্থাঃ

বিশ্ব ব্যবস্থা বলতে বোঝায় পৃথিবীর সমস্ত দেশগুলোকে সম্ভব নয় সহযোগিতার মাধ্যমে গঠিত প্রতিষ্ঠান, নীতি এবং কাজ করে নীতি এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের সহায়তা প্রদান করে। ইন্টারনেট সংস্কৃতি সম্পর্কে বিশ্বব্যবস্থা পর্যালোচনা করলে সাংস্কৃতিক, সামাজিক মানসিকতা, অর্থনীতি, রাজনীতি, প্রযুক্তির প্রভাব, নীতি ও নীতিমালা, ইন্টারনেট ব্যবহারে পরিবর্তন এ তাদের ওপর আলোকপাত করতে হয়।

প্রযুক্তির প্রভাবঃ

ইন্টারনেট সংস্কৃতি বিশ্ব ব্যবস্থার অংশ হিসেবে অজস্র সংস্থা, প্রোটকল এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন সহ অসংখ্য সেবা প্রদান করে। যেমনঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস আদালত, বিভিন্ন গবেষণা, বিভিন্ন মার্কেট, উন্নত যানবাহন, নিজস্ব বা ভাড়াটে বাড়ি, দামি রেস্টুরেন্ট, গোপন নিরাপত্তা, ক্রয়-বিক্রয়, ফাইল-ডাটা সংরক্ষণ, ধর্মীয় রীতিনীতি চর্চা, পত্র-পত্রিকা পাঠ, মুহূর্তের মধ্যে বিশেষ যে কোন প্রান্তে কথাবাত্রা, তথ্য আদান-প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে বর্তমানে ইন্টারনেট অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। 

বিভিন্ন দেশ, কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক পর্যন্ত ইন্টারনেটের সহায়তায় লেনদেন ও হিসাব নিকাশ করে থাকে।গুগোল, ফেসবুক, ইমো, টুইটার এবং ইউটিউব সহ নানা প্রকার সামাজিক সাইট গুলোতে প্রতিদিন কোটি কোটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে। ইন্টারনেটের অবদানে ইউটিউব, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং এবং পিটিসিসহ ইত্যাদি প্রযুক্তির সহায়তায় লক্ষাধিক বেকার যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে চাকুরীজীবী, ছাত্র শিক্ষক, নারী-পুরুষ, সকল বয়সের মানুষ উপার্জন করছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ, পিসি ও এন্ড্রয়েড সেট গুলো বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রদের শিক্ষার একটা বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করেই।

সাংস্কৃতির পরিবর্তনঃ

ইন্টারনেট সংস্কৃতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটি প্রভাব রাখে ও নিজস্ব সংস্কৃতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে। ইন্টারনেট সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষেরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, ভাষা, ধর্ম, রাষ্ট্রীয়তা এবং অন্যান্য সামাজিক পরিচিতি কে প্রভাবিত করতে পারেন। মানুষের মধ্যে যুক্তি ও যোগাযোগ সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতিক প্রথার মধ্যে বিবরণ সহজ করে এবং নতুন সামাজিক পরিবর্তন ও রূপান্তর সৃষ্টি করে।

সামাজিক মানসিকতা রূপান্তরঃ

অংশ হিসেবে ইন্টারনেট সংস্কৃতি সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এটি একটি প্রাসঙ্গিক সামাজিক ব্যবস্থা তৈরি করে এবং মানুষের মধ্যে যুক্তি, ধারণা, মতামত, সম্পর্ক ও বৈচিত্রের পরিবর্তন উপস্থাপন করে। ইন্টারনেটের প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষের সময় এবং দূরত্বের সীমার বাইরে অন্য সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং গভীরভাবে তথ্যের সাথে নিজেদের সংস্কৃতির পরিচিতি করতে পারেন। সামাজিক মাধ্যমের প্রাসঙ্গিকতা ,সম্প্রদায়িকতা ও সম্পর্কের পরিচালনা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আরও উন্নত হয়, যার সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

অর্থনৈতিক পরিবর্তনঃ

বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অসংখ্য সম্ভাব্য মাধ্যমে আর্থিক পদ্ধতির বাস্তবায়নে স্বপ্নের মতো পরিবর্তন সৃষ্টি করেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা, মার্কেটিং, বিতরণ, অর্থ লেনদেন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে। ইন্টারনেটের প্রযুক্তির কারণে অর্থনৈতিক সম্পদ মূল্য নির্ধারণ ও অর্থনৈতিক প্রভাব অর্জন করছেন নতুন সীমা। 

ইন্টারনেট সংস্কৃতির এ প্রভাব এখনো অধিকাংশ দেশে অনুভূত হয়নি কিন্তু এটি ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনীতিতে বিপুল পরিবর্তন আনবে। বর্তমানে আগের তুলনায় অনেক পরিবর্তন এনেছে এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা। কারণ একটা সময় বাংলাদেশে বেকারত্বের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। 

কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে শুধু বেকাররা নয় ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের মানুষ অর্থ উপার্জন করতে পারবে। আর এটি ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হয়। এভাবে ইন্টারনেট অর্থনতিতে সহায়তা করছে এবং এটি আমাদের অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।

ইন্টারনেট সংস্কৃতির অপব্যবহারঃ

ইন্টারনেট পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। বিশ্বায়নের এ যুগে জীবনের সব ক্ষেত্রে এখন ইন্টারনেটের ব্যবহার ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। খোলা আকাশের মত ইন্টারনেটে ও সবার জন্য অবারিত। প্রযুক্তির ব্যবহার খারাপ নয়। তবে ব্যবহারের ওপর এর ভালো মন্দ নির্ভর করে।

 ইন্টারনেটের সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে। ফেসবুক শুধু প্রচুর সময় কেড়ে নিচ্ছে তা নয় বরং আমাদের আচার-আচরণ, অভ্যাস এবং জীবন পদ্ধতিতে নেতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ভুয়া খবর এবং গুজব ছড়ানো সহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার বেছে নিতে ফেসবুক তথা ইন্টারনেটকেই। 

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সহ ব্যক্তিগত মেয়ের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কিছু অসাধুচক্র মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ও বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগতির ছবির মাধ্যমে ব্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তরুণীরা যেসব সাইট ব্রাউজ করে তার বেশিরভাগই পর্নো সাইট।

যেখান থেকে অবাধে পর্নো ছবি দেখা ও ডাউনলোড করা যায়। পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বেড়েছে মাদকাসক্তি। এদের বেশিরভাগ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। ইন্টারনেটের নারী ও কিশোর কিশোরীর হয়রানি ওজন ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। এইসব কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাড়ছে অনলাইনে জুয়া খেলা, শুধু জুয়া খেলা নয় আরো বিভিন্ন ধরনের খেলা রয়েছে যেগুলো দেশদ্রোহের মতো ইত্যাদি ভয়ানক অপরাধ প্রবণতা। 

যেমন আমরা বৈদেশিক সংস্কৃতির মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারছি তেমনই বৈদেশিক সংস্কৃতি গ্রহণ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অপসংস্কৃতি তাদের জীবনকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তাই ইন্টারনেট সংস্কৃতি জন্য অপসংস্কৃতি না হয়ে ওঠে এ ব্যাপারে তরুণ জনগোষ্ঠীসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

ইন্টারনেট সংস্কৃতি ও বিশ্ব ব্যবস্থা একটি সম্পূর্ণ নতুন বিষয় এবং এর পরিধি ব্যাপক। এর ফলে বিস্ময়কর এক সংস্কৃতির সমাজ ব্যবস্থার উত্থান ঘটেছে। আমরা হিমো সেপিয়েন্স, মনুষ্য প্রজাতি, একাকী টিকতে পারি না। তাই সর্ব অবস্থায় কোন না কোন সম্পর্কে আবদ্ধ থাকতে চাই। আমাদের সমাজের ও সংস্কৃতি প্রক্রিয়াগুলির ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংস্কৃতি দ্বারা আমরা প্রতিনিয়ত অনেক পরিবর্তন দেখছি। 

কোন নির্দিষ্ট সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে না, বরং এটি বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। ইন্টারনেট যেহেতু এটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন যা বিশ্বব্যাপী আলোচনা, তথ্য প্রবাহ, সাংবাদিকতা, ব্যবসায়ী কার্যক্রম এবং সামাজিক যোগাযোগ ও সম্প্রচারের নতুন উপায় সৃষ্টি করে তা এটির ক্ষেত্রে আমরা আরো বেশি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি এবং বিকাশ অত্যন্ত জরুরী।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা গুলো কি কি?

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা গুলো কি কি। এই পর্বে আমরা আলোচনা করব ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা গুলো নিয়ে। তাহলে চলুন জেনে নেই।

  • যে কোন রকমের তথ্য সংগ্রহের জন্য আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। তাই বলা চলে তথ্যপ্রাপ্তির জন্য ইন্টারনেট আবশ্যক।
  • যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট আপনি এক দেশ থেকে আরেক দেশে কারো সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হতে হবে তাই বলা চলে ইন্টারনেট যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করে।
  • শিক্ষা যে কোন রকমের অনলাইন কোর্স টিউটোরিয়াল এবং আরো অন্যান্য মূলক শিক্ষা গ্রহণের জন্য ইন্টারনেট শিক্ষা ব্যবস্থাকে খুব সহজ করে তুলেছে।

বাংলাদেশের কত শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে?

গত ১০ বছরে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ গুন বেড়েছে বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। ২০২৩ জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা বিভা.৫৯. ০ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগের ২৭.৩ শতাংশ। ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় ৯০.৫%। কম্পিউটার ব্যবহার করি ৭. ৩ শতাংশ।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url