বীজ শোধন কাকে বলে - বীজ শোধন ঔষধের নাম

প্রিয় পাঠক আপনি যদি বীজ শোধন কাকে বলে - বীজ শোধন ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব ফসলের বীজ শোধন ওষুধের নাম এবং কাকে বলে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক বীজ শোধন কাকে বলে - বীজ শোধন ঔষধের নাম।

বীজ শোধন কাকে বলে - বীজ শোধন ঔষধের নাম
বীজ শোধন এবং বীজ শোধন ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব বীজ শোধন কাকে বলে এবং বীজ শোধন করার জন্য কোন ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক বীজ শোধন কাকে বলে - বীজ শোধন ঔষধের নাম।

বীজ শোধন ঔষধের নাম

আপনি নিশ্চয়ই বীজ শোধন ঔষুধের নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব বীজ শোধন ওষুধের নাম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক বীজ শোধন ঔষুধের নাম। বীজ শোধন করার জন্য দুইটি পদ্ধতি রয়েছে একটি পদ্ধতি হলো শুকনো পদ্ধতি এবং আরেকটি পদ্ধতি হলো ভেজা পদ্ধতি। আপনি যে কোন পদ্ধতির মাধ্যমে বীজ শোধন করতে পারবেন।


বাজারে কার্বানডেজিন,ডায়থিন ৪৫ অথবা ইন্ডোফিল এম ৪৫ নামের ঔষধ পাওয়া যায়। এই দুইটি ওষুধের মধ্যে আপনি যেকোনো একটি ব্যবহার করে বীজ শোধন করতে পারবেন। আপনি যদি শুকনো পদ্ধতি মাধ্যমে শোধন করতে চান তাহলে আপনি প্রতি কেজি বিজে ২ গ্রাম অথবা আড়াই গ্রাম এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন। ভেজা পদ্ধতির মাধ্যমে যদি আপনি কাজ করতে চান তাহলে এক গ্রাম ওষুধের সাথে এক থেকে দেড় কেজি পানি মিশিয়ে এক কেজি বীজে 15 থেকে 20 মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।

বীজ শোধনের প্রধান উদ্দেশ্য কোনটি

আপনি কি জানেন বীজ শোধনের প্রধান উদ্দেশ্য কোনটি? যদি না জেনে থাকেন এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব বীজ শোধনের প্রধান উদ্দেশ্য কি। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক বীজ শোধনের প্রধান উদ্দেশ্য কোনটি। বীজ শোধনের প্রধান উদ্দেশ্য হল বীজে যেকোনো ছত্রাক জনিত রোগ যেন কম হয় এবং উৎপাদন খরচ কম হওয়া।
চাষাবাদ ব্যবস্থায় দিয়ে বীজ শোধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে কোন বীজ বপনের পূর্বে অবশ্যই শোধন করে নেওয়া আবশ্যক। যার ফলে ছত্রাক জনিত যেকোনো রোগ বালাই কম হয়ে থাকে এবং উৎপাদন খরচ ও কম হয়। বীজ শোধন ছত্রাক নাশক এবং সুস্থ ব্যবস্থাপনায় করতে পারে ভালো ফলন। এক কথায় বলা যায় বীজ শোধন মানেই বীজের বাইরে অথবা বীজের মধ্যে কার ছোট ছোট জিব কণার হাত থেকে রক্ষা করা জন্য জৈবিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়া।

আলু বীজ শোধন পদ্ধতি

আপনি যদি আলু বীজ শোধন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আলু বীজ শোধন পদ্ধতি। অধিক ফলনের জন্য আলু রোপনের পূর্বে আলু বীজ শোধন অতি জরুরী। বর্তমান মাঠে আলো লাগানোর উপযুক্ত সময়। তাই অধিক ফলন পেতে আলু রোপনের পূর্বে আলুর বীজ শোধন করে নিন।

বীজ আলু লাগানোর পূর্বে শোধন করার জন্য কার্বেনডাজেম + থেরাম গ্রুপের অথবা কার্বোন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক নাশক বীজ করতে পারেন। বীজ শোধনের জন্য যেকোনো কৃষক বাজার থেকে প্রভেক্স, ভিটাফিএক্স, হ্যাডাক ইত্যাদি পাউডার কিনে আনে। আলুর বীজ শোধনের জন্য প্রতি ১০ কেজি আলু বীজের জন্য ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম পাউডার ১০ লিটার পানির মধ্যে মিশিয়ে আলু বীজ পাঁচ থেকে দশ মিনিট পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। পানি থেকে তুলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে শুকিয়ে জমিতে রোপণ করতে হবে।

বীজ শোধন কাকে বলে

আপনি কি জানেন বীজ শোধন কাকে বলে? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব বীজ শোধন কি বা কাকে বলে? তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যায় বীজ শোধন কাকে বলে। যেকোনো রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করে ফসলের বীজ কে জীবাণুমুক্ত করার পদ্ধতিকে বীজ শোধন বলে।  

বীজ শোধনের প্রধান উদ্দেশ্য হল বীজে যেকোনো ছত্রাক জনিত রোগ যেন কম হয় এবং উৎপাদন খরচ কম হওয়া। চাষাবাদ ব্যবস্থায় দিয়ে বীজ শোধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে কোন বীজ বপনের পূর্বে অবশ্যই শোধন করে নেওয়া আবশ্যক। যার ফলে ছত্রাক জনিত যেকোনো রোগ বালাই কম হয়ে থাকে এবং উৎপাদন খরচ ও কম হয়। বীজ শোধন ছত্রাক নাশক এবং সুস্থ ব্যবস্থাপনায় করতে পারে ভালো ফলন।

তিনটি বীজ শোধনকারী রাসায়নিকের নাম

তিনটি বীজ শোধনকারী রাসায়নিকের নাম জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বীজ শোধনকারী রাসায়নিক তিনটি ওষুধের নাম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক তিনটি বীজ শোধনকারী রাসায়নিকের নাম। বীজ শোধনকারী তিনটি রাসায়নিকের নাম নিচে দেওয়া হলঃ
  • কারবেন্ডাজিম ৫০ % ডব্লিউপি
  • থাইরাম ৭৫% ডব্লিউ এস
  • ক্যাপটান ৭৫% ডব্লিউপি

বীজ শোধন করা হয় কেন ব্যাখ্যা কর

আপনি কি জানেন বীজ শোধন করা হয় কেন? যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক বীজ শোধন করা হয় কেন? বীজ শোধন ছত্রাক জনিত রোগ যেন কম হয় এবং উৎপাদন খরচ কম হওয়া। চাষাবাদ ব্যবস্থায় দিয়ে বীজ শোধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 

যে কোন বীজ বপনের পূর্বে অবশ্যই শোধন করে নেওয়া আবশ্যক। যার ফলে ছত্রাক জনিত যেকোনো রোগ বালাই কম হয়ে থাকে এবং উৎপাদন খরচ ও কম হয়। বীজ শোধন ছত্রাক নাশক এবং সুস্থ ব্যবস্থাপনায় করতে পারে ভালো ফলন। এক কথায় বলা যায় বীজ শোধন মানেই বীজের বাইরে অথবা বীজের মধ্যে কার ছোট ছোট জিব কণার হাত থেকে রক্ষা করা জন্য জৈবিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়া।

ধান বীজ শোধন পদ্ধতি

আপনি যদি ধান বীজ শোধন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব ধানে বীজ শোধন পদ্ধতি সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ধান বীজ শোধন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত। ধানে বীজ শোধন পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলঃ
  • বীজ শোধন করার জন্য ১০ গ্রাম বোভিস্টিন এবং ২.৫ গ্রাম পোসামাইসিন বা ২.৫ গ্রাম এগ্রাইমাইসিন বা ১ গ্রাম স্ট্রেপটোসাইক্লিন  ১০ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে একটি সমাধান তৈরি করতে হবে।
  • এই দ্রবণটি ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে
  • ২০ কেজি বীজের সাথে ২৫ লিটার দ্রবণ প্রয়োজন হবে
  • উক্ত পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা বীজ বলে মূল পচা রোগ পাতা ঝলসানো রোগ এবং দমকা রোগের মত লোক কম প্রবণ হবে।
  • পানিতে মেশানো ৩ গ্রাম বাভিস্টিন ছত্রাক নাশক এক কেজি বীজে যোগ করে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
  • আপনি ছত্রাক নাশক গুড়ো যোগ করে দিতে পারেন।

ধান বীজ শোধন ঔষধ

ধান বীজ শোধন ঔষধ কি জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ধান বীজ শোধন ঔষধ কোনটি। ধানে বীজ শোধন ঔষধের নাম নিচে দেওয়া হলঃ বীজ শোধন করার জন্য দুইটি পদ্ধতি রয়েছে একটি পদ্ধতি হলো শুকনো পদ্ধতি এবং আরেকটি পদ্ধতি হলো ভেজা পদ্ধতি। আপনি যে কোন পদ্ধতির মাধ্যমে বীজ শোধন করতে পারবেন। বাজারে কার্বানডেজিন,ডায়থিন ৪৫ অথবা ইন্ডোফিল এম ৪৫ নামের ঔষধ পাওয়া যায়।

এই দুইটি ওষুধের মধ্যে আপনি যেকোনো একটি ব্যবহার করে বীজ শোধন করতে পারবেন। আপনি যদি শুকনো পদ্ধতি মাধ্যমে শোধন করতে চান তাহলে আপনি প্রতি কেজি বিজে ২ গ্রাম অথবা আড়াই গ্রাম এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন। ভেজা পদ্ধতির মাধ্যমে যদি আপনি কাজ করতে চান তাহলে এক গ্রাম ওষুধের সাথে এক থেকে দেড় কেজি পানি মিশিয়ে এক কেজি বীজে 15 থেকে 20 মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয় বীজ শোধন কাকে বলে - বীজ শোধন ঔষধের নাম সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url