গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম - গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া

গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম প্রিয় পাঠক আপনি কি গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।কেননা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম



সেই সাথে আপনি গর্ভাবস্থায় কোন সূরা পড়তে হয় , ইশারায় সিজদা দেওয়ার নিয়ম, এবং গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার আমল এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া সম্পর্কে।

উপস্থাপনা।গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম।গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয়ই থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।সেই সাথে আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিব গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার আমল এবং গর্ভাবস্থায় কোন সূরা পড়তে হয়।
আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা সে সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা আপনারা মনে মনে জানতে চেয়েছেন।আজকের আর্টিকেল আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন।তবে আপনিও গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম

প্রতিটা নারী গর্ভবতী হওয়ার স্বপ্ন থাকে একজন মা হতে চাই। গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে তারা গর্ব অবস্থায় কিভাবে বসে নামাজ পড়বে সেই নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।

গর্ভবস্থায় একজন মাকে অসুস্থতা ও তীব্র কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় এবং মায়ের গর্ভাবস্থার কষ্টের কথা উল্লেখ করে কোরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, ' আর আমি মানুষকে তার মা-বাবার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি তার মাঝে তাকে অতি কষ্টে গর্ভে ধারণ করেছে এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসাব করেছে। (সূরা আহকাফ:১৫)

গর্ভাবস্থায় যেহেতু দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা কষ্টকর অনেক ক্ষেত্রে মা বা সন্তানের ক্ষতি হতে পারে তাই অন্তঃসত্ত্বা নারীদের রমজানে রোজা রাখার ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে গর্ব অবস্থায় নামাজের হুকুম অন্য সময়ের মতোই যেহেতু সাধারণ নামাজ পড়া এই সময় অসম্ভব বা অতি কষ্ট হয় না গর্ব অবস্থায় শেষের দিকে কারো পক্ষে যদি রুকু বা সেজদাহ করা।
যদি অনেক কষ্টের হয় তখন তারা বসে নামাজ পড়তে পারবে বসেও সেজদা করতে অক্ষম হলে হাত জমিনে রেখে তার ওপর সিজদা করবে। এটা অসম্ভব হলে হাত সামনে রেখে যতটুকু ঢুকতে পারে ততটুকু ঝুঁকে ইশারায় সিজদা আদায় করবে এশারায় সিজদার সময় সামনে টেবিল বালিশ বা অন্য কিছু উঁচু জিনিস রেখে তাতে সিজদা করবে না বরং শুধু ইশারাই করবে।

আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) একবার একজন রোগীকে দেখতে গিয়ে দেখলেন, তিনি বালিশের ওপর সিজদা করছেন। তিনি বালিশটি সরিয়ে রাখলেন তখন ওই ব্যাক্তি একটি কাঠের টুকরা নিল তার ওপর সিজদা করার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কাঠের টুকরোটি নিয়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, ' তুমি সক্ষম হলে জমিনের উপর সিজদা করবে না হলে ইশারা করবে সিজদার রুকুর চেয়ে বেশি ঝুঁকবে। (সুনানে বাইহাকি:৩৪৮৪)

গর্ভাবস্থায় কোন সূরা পড়তে হয়

একজন গর্ভবতী নারী সবসময় চায় যে তার সন্তান যেন নেক হায়াত দান করে আল্লাহ তা'আলা এবং সন্তান যেন সৎ ও ভালো মানুষ। সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় মা যদি আমলের মাধ্যমে জীবন কাটায় তাহলে সে ক্ষেত্রে সন্তান আর শত এবং নেকার হওয়ার পরিপূর্ণ সম্ভাবনা থাকে এছাড়াও কোরআনের বিভিন্ন সূরাগুলো গর্ব অবস্থায় বিভিন্ন পর্যায়ে আমল করার মাধ্যমে মেধাবী সুস্থ দ্বীনদার চরিত্রবান সন্তান পাওয়া যায়।
সুন্দর এবং চরিত্রবান বাচ্চা পাওয়ার জন্য গর্ভবতী মাকে গর্ভাবস্থায় আমলও বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করার পাশাপাশি কোরআনের নির্দিষ্ট সূরা গুলো বিভিন্ন মাসে বেশি বেশি আমল করতে হবে গর্ভবতী মায়েদের কোন মাসে কোন সূরা আমল করতে হবে চলুন জেনে আসি।

প্রথম মাস-সূরা আল ইমরান ও সূরা ইনশিক্বাক তেলাওয়াত করতে হবে সূরা ইমরান তিলাওয়াত করলে বাচ্চার দামি এবং দ্বীনদার হবে এবং সূরা ইনশিক্বকাক তেলাওয়াত করলে গর্ভে সন্তান নিরাপদে থাকবে।
দ্বিতীয় মাস- সূরা ইউসুফ আমল করার মাধ্যমে বাচ্চা সুদর্শন হবে এবং বাচ্চার মন মানসিকতা ভালো হবে সুন্দর হবে।
  • তৃতীয় মাস- অধিক পরিমাণে সুরা মরিয়ম তেলাওয়াত করলে সন্তান ধৈর্যশীল পরহেজগার হবে।
  • চতুর্থ মাস - বেশি বেশি সূরা লোকমান তেলাওয়াত করলে সন্তান মেধাবী এবং বুদ্ধিমান হবে।
  • পঞ্চম মাস - সূরা মুহাম্মদ তেলাওয়াত এর মাধ্যমে সৎ এবং চরিত্রবান সন্তান পাওয়া যাবে।
  • ষষ্ঠ মাস - বেশি পরিমাণে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করলে সন্তান খুবই জ্ঞানী হবে।
  • সপ্তম, অষ্টম ও নবম মাস - গর্ভাবস্থায় শেষে তিন মাসের সূরা ইউসুফ সূরা মুহাম্মদ সূরা ইব্রাহীম এবং সূরা মরিয়ম এর কিছু অংশ আমল করতে হবে।
এছাড়াও নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে চার কুল ও আয়তাল কুরসি তেলাওয়াত করতে হবে যদিও গর্ব অবস্থায় বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতের জন্য তাগিদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কিন্তু কোন জায়গাতেই নির্দিষ্ট কোন সূরা তেলাওয়াত করতে বলা হয়েছে এমন কোন কথা লেখা নেই।

ইশারায় সিজদা দেওয়ার নিয়ম

আমাদের প্রতিটি মুমিন ব্যক্তির জন্য সালাদ ফরজ করা হয়েছে এই ফরজ আর দায়ী করা আমাদের জন্য জরুরী। রোগী মুসাফির কিংবা ভীতি লোকদের জন্য নামাজ আদায় ছাড় দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ তাদের নামাজ আদায় করতে হবে না এ বিষয়টি এমন নয় বরং নামাজ আদায়ের তাদের যে সমস্যাগুলো হবে তার বিকল্পভাবে আদায় করবে যার ফলে আল্লাহ তায়ালা নামাজের পরিপূর্ণ সওয়াব থেকে মাহরূম ও করবেন না।

ক্ষমতা অনুসারে অক্ষম ব্যক্তির নামাজ আদায় করতে হবে কিন্তু যারা রুকু ও সিজদা যথাযথভাবে পালন করতে পারবে না তারা ইশারায় সিজদা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে এবং সেইভাবেই সিজদা দিতে হবে।

রুকু ও সেজদার সঙ্গে নামাজ আদায়ের অক্ষম ব্যক্তির জন্য রয়েছে অনেক ছাড়। আর সেগুলো হল রোগী যদি দাঁড়াতেও বসতে পারে কিন্তু রুকু ও সেজদা করতে না পারে তাহলে দাঁড়ানো অবস্থায় ইশারা করে রুকু এবং বসা অবস্থায় ইশারা করে সেজাহ করবে।
যে ব্যক্তি জমিনের উপর সেজদা করতে অক্ষম সে বসে বসে রুকু ও সেজদা করবে তবে সেজদার সময় রুকুর চেয়ে বেশি নিচু হতে হবে উভয় হাত হাঁটুর উপরে রাখবে।রোগীর জন্য অন্যান্যদের মতো কইবলামুখী হওয়া আবশ্যক যদি তার কিবলামুখী হতে সমস্যা হয় তবে তার অবস্থা হিসেবে যে দিকে সহজ হয় সেদিকে আদায় করবে।

তবে রোগীর যদি জ্ঞান থাকে কিন্তু কোন হাত-পা মাথা দৃষ্টি কিংবা আঙ্গুল কোনটি সচল থাকে তবে যে অঙ্গ সচল আছে তা দ্বারা ইশারার মাধ্যমে হলেও নামাজ আদায় করতে হবে। বিশেষ করে শারীরিক বিশেষ সমস্যার কারণে যদি ধর্মীয় জ্ঞান থাকা চিকিৎসক দাঁড়ানোর পরিবর্তে বসে এবং অপূর্ব হয়ে রুকুনা করে কিংবা জমিনে মাথা রেখে সেজদা না করতে পরামর্শ দেয় তবে তার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণে কোনো বাধা নেই।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার আমল

একজন নারী যখন সন্তান গর্ভে ধারণ করে তখন সেই নারীর সবচেয়ে প্রথম চাওয়াই থাকে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার জন্য যেকোনো কাজী সে নারী করতে চায় গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার আমল সম্পর্কে যারা জানেন না তাদেরকে অবশ্যই একবার হলেও জেনে রাখতে হবে। সন্তান গর্ভে ধারণ করা একজন নারীর জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়।

গর্ভধারণ করা খুবই ফজিলতপূর্ণ একটি আমল যে কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিখ্যাত মহিলা সাহাবী উম্মে সালামা (রা.) -কে বলেছিলেন, ' তোমাদের কেউ কি এতে খুশি নয় যে সে যখন স্বামীর পক্ষ থেকে গর্ভবতী হয় এবং স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকে তখন সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সর্বদা রোজা পালনকারী ও সারারাত নফল ইবাদতকারীর মতো সওয়াব পেতে থাকবে।
তার যখন পৌঁছাব ব্যথা শুরু হয় তখন তার জন্য নয়ন শীতলকারী কি কি নিয়ামত লুকিয়ে রাখা হয় তা আসমান জমিনের কোন অধিবাসী জানেনা।যখন একজন নারী গর্ভবতী হয় সেই সময় তাকে যে আমলগুলা বেশি বেশি করতে হবে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো :

সালাত আদায় করা : সময়মত গর্ভকালীন সময়ে সালাত আদায় করতে হবে গর্ভকালীন সময়ে অশান্তি ও অস্থিরতা কাজ করে কিন্তু যথা সময়ে সালাত আদায় করার ফলে অন্তরকে প্রশান্ত রাখে এই জন্য নামাজের সময় হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বেলাল (রা.) -কে, 'নামাজের ব্যবস্থা করো এবং তার মাধ্যমে আমাকে তৃপ্ত কর।' (আবু দাইদ:৪৩৩৩) তাই গর্ভকালীন যথাসময়ে নামাজ আদায় করা চাই।
আল্লাহর জিকির: অস্থিরতা দূরীকরণের জন্য বেশি জিকির করা এটা আপনাকে ও আপনার গর্ভে সন্তানকে শান্ত রাখতে সহায়তা করে।
শুকরিয়া আদায় করা: একটু চিন্তা করে দেখুন কেবল মাতৃত্বের মাধ্যমে একজন নারী নারী জন্মের স্বার্থকতা লাভ করে কত নারী এমন আছে গর্ভবতী হওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করছে কিন্তু তাদের ভাগ্যে এই নেয়ামত জুটছে না। এইজন্য যখনই মা হওয়ার আনন্দে পুলকিত হবেন তখনই আল্লাহ তাআলা শুকরিয়া আদায় করুন।
আল্লাহ তায়ালা বলে, ' আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো অকৃতজ্ঞ হয়ো না ।'(সুরা বাকারা:১৫২)
অজু অবস্থায় থাকা: দৈহিক সুস্থতা ও আত্মিক প্রশান্তির ক্ষেত্রে অজুর ভূমিকা অপরিসীম বিশেষ করে ঘুমানোর আগে ওযু করে নেওয়া এতে নিদ্রার বিরম্বনা থেকে বাঁচা সহজ হবে।রাসুল (সা.) বলেছেন, ' যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের ওজুর মত অজু করবে।' (মুসলিম ৪৮৮৪)

কোরআন তিলাওয়াত করা: সন্তানগর্ভ অবস্থায় আনুমানিক ২০ সপ্তাহ হওয়ার পর থেকে কিছু সোনার সক্ষমতা অর্জন করে এই সময় মা যদি প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করে তাহলে বাচ্চাও কোরআনের মাঝে সম্পর্ক জুড়ে দেওয়া একটি উপযুক্ত সময়।

দোয়া করা: গর্ভকালীন মাঝে মাঝে অসহায় বোধ হয় এমন মনে হয় যে জীবনে কি করেছি মরে গেলে ভালো হবে তাই গর্ভকালীন অধিক পরিমাণে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে কেননা এই সময় দোয়া আল্লাহ কবুল করে আল্লাহ নিজে বলেছেন,' বলতো কে অসহায়ের ডাকে সারাদিন যখন কেউ ডাকে এবং কষ্ট দূর করে দেন? '(সুরা নামল:৬২)

গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া

একজন নারী যখন গর্ভ অবস্থায় হয় বা মা হওয়ার জন্য চেষ্টা করে কিন্তু তারপরও মা হতে পারে না সেই নারী অনেক বেশু হতাশ হয়ে যায়। গর্ভে সন্তান আসার পর অনেক চেষ্টার পর যখন গর্বের সন্তান আসে তখন সেই সন্তান যেন নষ্ট না হয় সেজন্য একজন নারী গর্ভে সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

অনেক মেয়েটি গর্ভে সন্তান আসার পর নষ্ট হয়ে যায় যখন কোন নারীর এমন সমস্যা দেখা দেয়। তখন কিন্তু সেই নারী অনেক ভেঙ্গে পড়ে গর্ভে সন্তান নষ্ট না হওয়ার যে দোয়াগুলো রয়েছে। আল্লাহ তায়ালার কাছে সেই দোয়াগুলো চাইতে হবে এবং গর্ভের সন্তান যেন নষ্ট হন না হয় সেজন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হবে।
সাফাতের ১০০ নাম্বার আয়াত গর্ভবতী মায়েরা পাঠ করতে পারেন যেটা অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ আয়াতের অর্থ দ্বারাই, হে আমার পারওয়ারদেগার! আমাকে এক নিয়ত সন্তান দান করুন। 'এছাড়া সূরা ইব্রাহীমের আয়াত নাম্বার ৪০ পাট করার মাধ্যমে গর্বে থাকা সন্তান সুরক্ষিত থাকে সূরা ইব্রাহীমের আয়াত নাম্বার ৪০ এর অর্থ হল 'হে আমার পালনকর্তা!

আমাকে নামাজ কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও নামাজ কায়েমকারি করুন। হে আমার পালনকর্তা এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া। 'এর পাশাপাশি সূরা আল ইমরানের ৩৮ নাম্বার আয়াতে এবং সূরা আল ফুরকানের ৭৪ নাম্বার আয়াত আমরা পড়তে পারি গর্বে থাকা সন্তান যদি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে তাহলে আমরা এই দোয়াগুলোর মাধ্যমে তাকে হেফাজতে রাখতে পারব।

এর পাশাপাশি অনেক সময় সূরা রাত এর ৮ নং আয়াত ২১ বার পাঠ করলে নিয়মিত বা নিজে তার পেটে ফু দিবেন ইনশাল্লাহ আল্লাহ গর্বের সন্তানকে হেফাজত করবে। অবশ্যই গর্ভে থাকা সন্তান যখন নষ্ট হয়ে যায় তার থেকে কষ্টের ব্যাপার একজন মায়ের পক্ষে আর থাকে না। তাই একজন নেককার ও সুস্থ সন্তান পাওয়ার জন্য এই আমল গুলো করতে পারেন ।

শেষ কথা।গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম ।গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ করে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়ার নিয়ম এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হয়েছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
এছাড়াও আপনি যদি প্রবাসী সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেল আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url